অনির্বাণ!
এভাবে চলে যাওয়ার নামই কি জীবন!
দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল
অনেকটা বছর
অনেকগুলো সময়কে আজ আর
একসাথে জড়ো করতে পারিনা।
অবাক বিস্ময়ে খুঁজে ফিরি
শৈশব, কৈশোর সহ জীবনে ঘটে যাওয়া
আরো কত রকম গল্প!
লাটাই থেকে ছিঁড়ে যাওয়া লাল-নীল ঘুড়ির পিছনে
দৌড়ে ছিলাম মেঠোপথ
রাত করে ফিরলেই মায়ের বকুনি!
কত স্বাধ ছিল সেই জীবনের!
আজ ইট পাথরের দেওয়াল জুড়ে বিবর্ণ অভিশাপ
হত্যা ,খুন রাহাজানি-
অগণিত লাশের মিছিল
নামহীন গোত্র পরিচয় বিহীন
পড়ে থাকে মর্গে বেওয়ারিশ চত্বরে!
আইন চলে নিজস্ব গতিতে
ধারা উপধারা বুঝবার স্বাধ আমার আগেও ছিলনা
আজ ও নেই!
আমি সাধারণ মানুষের সাবলীল কথাগুলো বুঝি
একটি মানুষ ও মরবে না বিচার বিহীন!
আর একটি নারী ও শালীনতা হারাবেনা এই বাংলায়
আমার লাল সবুজ পতাকার বৃত্ত জুড়ে
ত্রিশ লাখের ও বেশী মানুষের রক্ত!
আমার জমাট বাঁধা কষ্টগুলো
অনাহারী জনতার প্রলয় নিনাদ!
হে দেশ মাতা
অস্ফুট স্বরে কেঁপে উঠেনা বুঝি তোমার হৃদয়!
অনির্বাণ তোর এই অবলায় চলে যাওয়ার গল্প
আমায় রোজ ভাবিয়ে তুলে
এ দেশের প্রতিটি অনির্বাণ
আজ অপমৃত্যুর প্রতীক!
ছেলে হারা মায়ের কান্না
বিষণ্ণ বদনে বসে থাকা পতিহারা নারী!
বিষে বিষে আমি আজ অন্ধ
অন্ধ আমার বিবেক!
রোজ হাতরে টের পায়
চুলগুলো সব সাদা হয়ে আসে...।
সময় বেশী আর নেই
তোদের আত্নাকে বলিস আমায় ক্ষমা করে দিতে!!