রাসেল দেশে ফেরল শুধুমাত্র জোশনার খাতিরে।
যদিও ৫ বছর আগে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিকাটির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল পাশের গ্রামের আরেকটি ছেলের সাথে। জোশনাও মন থেকে বরটিকে গ্রহন করতে পারেনি।
তাই এবারের পরিকল্পনা পুরোনো প্রেমিকার হাত ধরে পলায়ন।
বিমান বন্দর থেকে নেমে সোজা বাস ষ্ট্যান্ডে।
কিন্তু কপাল মন্দ ছুটির মওসুম হওয়াতে বাসের টিকেট একটিও অবশিষ্ট নেই।
নিজ এলাকার এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়ে গেল এরি মধ্যে। তিনিও দেশে ফিরছেন। বিদেশ ফেরত রাসেলের বাড়ী ফেরার তাগাদা দেখে, রাসেলের প্রতি সদয় হয়ে তার টিকেট দিতে রাজী হলেন এক শর্তে। কিছু জিনিসপত্র পৌছে দিতে হবে তার বাড়িতে।
মনের আনন্দে ট্রেনে চড়ল রাসেল। ভদ্রলোকের বাড়ির ঠিকানা জানার পর আনন্দ শতগুন বেড়ে গেল দুষ্ট চরিত্রের রাসেল। জিনিসপত্রগুলো আর কেউ নয় জোশনার হাতেই পৌছে দিতে হবে।
বাস গন্তব্যে পৌছলে তড়িঘড়ি করে জোশনার শশুর বাড়ীর দিকে নাচতে নাচতে রওয়ানা দিল সে, রাত তখন অনেক।
জোশনার বাড়ীর কাছাকাছি একটা অন্ধকার মত জায়গায় কয়জন লোক ঘিরে ফেলল তাকে। সবকিছু দিয়েও লোকগুলোর পরিত্রান মিলল না রাসেলের। তাদের উদ্দ্যেশ অন্যকিছু।
আজ রাতেই এই পথ ধরেই ফেরার কথা ছিল জোশনার স্বামীর।
তাই প্রেমের যে পথটি তাতে কাটা হয়ে দাড়িয়েছিল যে লোকটি তাকে অর্থাত স্বামীকে সরিয়ে দিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেয় মেয়েটি। রাসেলের জন্য সবকিছু এমনকি খুন করতেও প্রস্তুত ছিল জোশনা।
কিন্তু জোশনা কল্পনাও করতে পারেনি তার পরিকল্পনায় স্বয়ং তার প্রেমিকটিই প্রান হারাতে বসেছে। প্রেমের সমাধি রচনার প্রাথমিক কাজটি সেরে ফেলতে চলেছে দৃর্বত্তগুলো তারই নির্দেশে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪