আমার লেখা সিরিয়াস টাইপ এমন অভিযোগ প্রায়ই শুনতে হয় :-)
এবার হাল্কা টাইপের আরেকটি পোস্ট...
পিঁয়াজ, রসুন, শুটকির তীব্র গন্ধ থেকে রেহাই পেতে, পায়ের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে, গ্রীস্মের প্রচন্ড দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি, স্ক্র্যাচড সিডি পূণুরুদ্ধার অথবা ইনসমনিয়ার সমাধানের চেষ্টা..ইত্যাদি বিষয়ে কিছু ঘরোয়া টিপস্ এবং কয়েকটি সহজ রেসিপি।
১. রসুন ও পিঁয়াজের ঝাঁঝ খাদ্যের মান বৃদ্ধি করলেও তা ধরায় হাতের উটকো গন্ধ খুব মনোহর নয় এবং তা প্রায় নাছোড়বান্দার মতো। একাধিকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়াতেও দূর হয়না! এই সমস্যার সামাধান খুব সহজ, যদি জানা থাকে। রসুন পিঁয়াজ ব্যবহার শেষে স্টেইনলেস স্টিলের চামচ অথবা কাটাচামচ পানির নিচে ধরে হাত দুটো সাবান দিয়ে চামচের সাথে ঘষে ধুয়ে নিন।(আমেরিকায় এই গন্ধ দূর করতে আলাদা ভাবে স্টেইনলেস স্টীলের টুকরো বিক্রী হয়, মানুষ আবার সেটা পয়সা দিয়ে কিনে )
২.পিঁয়াজ কাটার সময় মূল বা শিকড়ের অংশ অক্ষত রেখে কাটলে সহজ হয়, কোয়াগুলো কাটার সময় খুলে যায়না।
৩. স্টেইনলেস স্টীলের ছুড়ি চাকু, পানিতে দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখলে ধার কমে যায়। একই ধাতুর চামচ, কাঁটা চামচ ইত্যাদি পানিতে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে জৌলুস বা চকচকে ভাব নষ্ট হয়ে যায়।
৪.প্রবাসে বিশেষ করে পাশ্চাত্যের দেশে শুঁটকি মাছ রান্না একটি বিব্রতকর ব্যাপার, সবচেয়ে বেশি সমস্যা যদি এপার্টমেন্টে এই প্রচেষ্টা হয়। এসব ক্ষেত্রে লেবু বড় বন্ধু। রান্নার পূর্বে চুলোর চারপাশে লেবুর রস ছিটিয়ে নিলে ঘরে গন্ধের তীব্রতা কমে। জানালা খুললে বাতাস চালাচল সহজের সাথে সাথে গন্ধটি সহজে ছড়িয়ে যায়, তাই খোলা জানালায় ঈষদুষ্ণ পানিতে কয়েকটুকরো লেবু অথবা লেবুর রস রেখে দিলে বিব্রতকর অবস্থাটি থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়।
৫.পান করার জন্য গরম চা বা কফি যাঁরা পছন্দ করেন, চা বানানোর পর চামচটি যেন তাতে থেকে না যায় তা লক্ষ্য রাখা জরুরী। চিনি বা দুধ মিশিয়ে চামচ সাথে সাথে সরিয়ে না রাখলে তা তাপ শোষন করে পানীয়টি ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
৬.কেক বিশেষ করে ক্রিম কেক যেমন সুস্বাদু তা শুধু মানুষ নয় জীবানুরও বিশেষ প্রিয়.. খুব দ্রুত এতে পচন ধরে। কেক সংরক্ষণের সময় তাতে কয়েক টুকরো পাউরুটি রেখে দিলে কোন এক অদ্ভুত কারণে তা কিছু বেশি দিন ভালো থাকে।
৭.ডাইরিয়া জাতীয় পেটের পীড়ায় অনেকে ফল ও টক জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। এসময় ভিটামিল সি জাতীয় খাবার যেমন লেবু, কমলা, আমলকি পরিমিত মাত্রায় গ্রহন করলে তা আরোগ্য ত্বরাণ্বিত করে।
৮. শীতকালে অথবা অন্যান্য শুষ্ক আবহাওয়ার অন্চলে ঘরে হিউমিডিফায়ার না থাকলে একবাটি উষ্ণ পানি হিটারের উপর রেখে দিলে সহজে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়না এবং রাতের বিরক্তিকর শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৯.গ্রীস্মের দাবদাহে
i)কিছুটা আরাম পেতে প্রতিবার পোশাক পরিবর্তনের সময় তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ভালোভেবে গা মুছে নতুন পোশাক পড়লে কিছুটা স্বস্তিবোধ হয়।
ii)ময়লা বা অপরিস্কার কাপড় গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি করে, তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ধোয়া পোশাক পড়া ভালো।
iii)ট্যালকাম পাউডার গরমে প্রশান্তির চেয়ে অস্বস্তি বেশী বৃদ্ধি করেঘামের দুর্গন্ধ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ট্যালকাম পাউডারের চেয়ে ডিওডোরান্ট ব্যবহার অনেক বেশী কার্যকর
iv)ডিওডোরান্টের বিকল্প হিসেবে দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০. জুতা বা মোজার কারণে পায়ের দুর্গন্ধ অনেকের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর ও বড় সমস্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গরম এবং আর্দ্রতা প্রধান অন্চলে। এই ক্ষেত্রে নিরাময়ের চেয়ে প্রিকশন বা সতর্কতা বেশি কার্যকর পদক্ষেপ:
i)কখনও ভেজা পায়ে মোজা বা জুতা পরা যাবেনা। প্রয়োজনে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে পা, আঙ্গুলের ফাঁকের অংশ ভালো করে মুছে জুতো, মোজা পড়ুন।
ii)প্রতিদিন ধোয়া মোজা পরা জরুরী। প্রয়োজনে প্রতি রাতে মোজা হাতে হাতে ধুয়ে শুকিয়ে নিন iii)সুযোগ পেলে জুতো খুলে রোদে শুকিয়ে নিন, বিশেষ করে জুতোর ভিতরের অংশে যেন রোদ প্রবেশ করে।
iv)কাপড় শুকনোর ড্রায়ারের ব্যবহারের “ড্রায়ার শিট” পাওয়া যায়। যাঁরা পায়ের দুর্গন্ধের অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতায় অতীষ্ট, ড্রায়ার শিট তাঁদের জন্য স্বর্গ থেকে প্রাপ্ত সমাধান স্বরূপ- জুতোর ভিতর একটি করে শিট ঢুকিয়ে শুকনো পায়ে জুতো পড়ার পর দুর্গন্ধের কোন সম্ভাবনা নেই।
v).ড্রায়ার শিট সহজ লভ্য না হলে “বেকিং সোডা” ব্যবহার করা যায়। অব্যবহারের সময় জুতোর ভিতর বেকিং সোডা ছিটিয়ে রেখে পরিধানের পূর্বে তা ঝেড়ে ফেলতে হবে।
১১. ইনসমনিয়ায় আক্রান্তদের জন্য একটি গবেষণা লদ্ধ সমাধান:
i)রাতে ঘুমুত যাবার কয়েক ঘন্টা পূর্বে পরিমিত কায়িক পরিশ্রম/হাঁটাহাটি ঘুমে সহায়ক। সবচেয়ে ভালো হয় পরিশ্রম শেষে হটশাওয়ার বা ঈষদোষ্ণ গোসল করে নিলে।
ii)ইনসমনিয়াকদের শুধুমাত্র রাতে ঘুমের সময় ছাড়া বিছানায় না শোয়া ভালো।
iii)গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমানোর সময় নরম কাপড়ে(ওড়না, স্কার্ফ) কান ঢাকা হলে ঘুমোনো সহজ হয়।
iv)সন্ধার পর চা, কফি এবং কোক জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরী।
v)ঘুমনোর ঘরে তীব্র আলো, টেলিভিশন বা অন্যান্য শব্দ বন্ধ রাখতে হবে।
১২. বিভিন্ন ধরনের খাবার সংরক্ষণ করার ফলে অনেক সময় ফ্রীজে গন্ধ হয়ে যায়- সোডি বাই কার্ব বা খাবার সোডার একটি প্যাকেটের মুখ খুলে রেফ্রিজারেটরের ভিতরে এক কোনে রেখে দিলে এই ঝামেকা থে মুক্ত হওয়া যায়।
১৩. এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা গুলয়ে তা মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়
১৪.এক বাটি ঈষদোষ্ণ পানিতে দুই চা চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে তাতে ব্যবহার করা টুথ ব্রাশ ভিজিয়ে রাখলে ব্রাশে আটকে থাকা ময়লা পরিস্কার হয়।
১৫.নষ্ট বা স্ক্র্যাচ পড়া সিডি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সফ্টও্য়্যার পাওয়া গেলেও কারো ক্ষেত্রে তা কাজ করেছে এমন শুনিনি। সম্প্রতি কয়েকটি অদ্ভুত পদ্ধতি পড়েছি..
*মেটাল পলিশ- ব্র্যাসো বা মেটাল পলিশ স্ক্র্যাচড সিডিতে হাল্কা ভাবে বৃত্তাকারে রাব করলে তা ভালো হয়(এই পদ্ধতির জন্য ব্র্যাসো কিনেছি, এখনও প্রয়োগ করা হয়ে উঠেনি.. তবে শীঘ্রই করবো)।
*কলার খোসা - স্ক্র্যাচ পড়া সিডিতে চক্রাকারে না ঘুড়িয়ে মাঝের কেন্দ্র থেকে লম্ব ভাবে কলার খোসা ঘষে নিলে তা আবার আগের মতো হয়। (এই অদ্ভুত পদ্ধতি প্রয়োগের কোন আগ্রহ আমার নেই – কৌতুহলী কেউ চাইলে নিজ দায়িত্বে করতে পারেন)।
রেসিপিঃ
বাংলাদেশে কখনও পানিটা পর্যন্ত ফুটাতে হয়নি এমন সব ছেলে মেয়েরা প্রবাসে এসে যখন দেখেন ঘরের সব কাজ থেকে শুরু করে রান্নাটাও নিজের করে খেতে হয় তখন অনেকেই বেশ অসহায় বোধ করেন! সামান্য একটি পিঁয়াজ কাটা যে কতো বড় শিল্প, প্রতিদিনের খাদ্য ভাত, ভাজি, মাছ গোশত রান্না যে কতো জটীল ব্যাপার তা হাড়ে হাড়ে অনুভব করেন।
তাঁদের মতো নিতান্ত আনাড়ি ও অতিব্যস্ত যাঁরা শর্টকাটে ঝামেলাহীন দ্রুত রান্নার উপায় খুঁজেন তাঁদের জন্য রেসিপি। গৃহকর্ম ও রান্নার কাজে সুনিপুন/সুনিপুনাদের জন্য নয় :-)
মুরগীর ঝাল কারীঃ-
উপকরন-টুকরো মুরগী- ১-২ কেজি
পিঁয়াজ কুচি/টুকরো- ১- ১ ১/২কাপ
আদা বাটা
রসুন বাটা } ২ টেবিল চামচ
জিরা বাটা/গুড়ো
হলুদ- ১-২ চা চামচ
লবন-(স্বাদ মতো)
গরম মশলার গুড়া/দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ
তেজপাতা - দুটো
তেল- ৩ টেবিল চামচ
মরিচ(মরিচ বাটা/ গোলমরিচ গুড়া/কাঁচা মরিচ) – স্বাদ মতো
পানি- দেড় কাপ
প্রনালী:১.একটি হাড়িতে মুরগী সকল উপকরণ নিয়ে হাই হিটে চুলোয় দিন।
২ রান্নার চামচ দিয়ে মুরগীর সাথে মশলা ভালো ভাবে মাখিয়ে নিন।
৩. তেল গরম হলে মিশ্রনটি কছিুক্ষণ পর পর ভালোভাবে নাড়তে থাকুন – ১০ মিনিট
৪. মুরগী ভাজা ভাজা বা হাল্কা বাদামী হলে পানি দিন।
৫. পানি ফুটে এলে মুরগী ভালোভাবে নেড়ে পাত্রের ঢাকনা বন্ধ করে চুলোর আঁচ কমিয়ে দিন।
৬. ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভালোভাবে নেড়ে দিন(লবনের পরিমান ও সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখুন)
৭.মুরগী প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে আঁচ বাড়িয়ে ফুটে ঠলে ঢাকনা বন্ধ করে কম আঁচে আরো ১০-১৫ মিনিট রেখে চুলো বন্ধ করে দিন।
টিপস্:
*কাঁচা মরিচ ব্যবহার করলে ৬নং স্টেপে দেয়া ভালো দেয়া ভালো।
*৬ নং স্টেপে টমেটোর টুকরো, ধনেপাতা দিলে ভিন্ন স্বাদের মজাদার রান্না হয়।
*রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি বা মুরগী দ্রুত সিদ্ধ করতে শুরুতে দু টেবিল চামচ টক দৈ ব্যবহার করা যেতে পারে।
পিঁয়াজুঃ-রমজান মাসে বাংলাদেশী মাত্র প্রায় সকলের ইফতারের অপরিহার্য আইটেম পিঁয়াজু।
আমার মতো যাঁরা মুচমুচে পিঁয়াজু প্রেমী প্রবাসী অথবা দেশে অবস্থানকারী অপক্ক রাঁধুনী- তাঁদের জন্য...
উপকরন:
মুসুরের ডাল – ইচ্ছে মতো :-) (প্রথম প্রচেষ্টা হলে ১ কাপ নেয়া ভালো)
পিঁয়াজ কুচি- মুসুরের ডালের পেস্টের পরিমানের ১/৩ সমান।
কাঁচা মরিচ/হ্যালাপিনো কুচি- পরিমান মতো(ঝাল কেমন পছন্দ তার উপর নির্ভর করে)
ধনেপাতা কুচি- পিঁয়াজ কুচির পরিমানের ১/৩ পরিমান।
লবন-পরিমান মতো।
তেল: আধ কাপ
প্রনালী: ১.মসুরের ডাল ভালো করে ধুয়ে ৫/৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর বাড়তি পানি ফেলে ব্লেন্ডারে/শীল পাটায় আধা বাটা করে নিন।
২.একটি বাটিতে ডালের পেস্টটি নিয়ে তাতে পিঁয়াজ,মরিচ, ধনেপাতা কুচি ও লবন মিশিয়ে নিন।
৩.একটি ফ্রাইং প্যান(আমি ডুবো তেলে ভাজতে পারিনা, ডাল ছড়িয়ে পিঁয়াজু ভেঙ্গে যায়) কড়াই গরম করে চারপাশটা মেখে সামান্য বাড়তি থাকে সে পরিমান তেল দিন। মিডিয়াম হাই হিটে তেল গরম করুন।
৪. গরম তেলে চায়ের চামচ বা হাতের সাহায্যে অল্প পরিমানে(পিঁয়াজুর কাঙ্খিত সাইজে) ডালের মিশনটি দিন। (ফ্রাইং প্যানের সাইজ ও পিঁয়াজুর সাইজের উপর নির্ভর করে এক বারে ৪/৫ টি থেকে ১০/১২ টি পর্যন্ত ভাজা যায়)
৫.একমিনিট পর পিঁয়াজুগুলো উল্টে উনুনের আঁচ লো মিডিয়ামে কমিয়ে ৩/৪ মিনিট ভাজতে হবে। ৩/৪ মিনিট পর পিঁয়াজু গুলো উল্টে আবার ২/৩ মিনিট ভাজতে হবে।
৬.ভাজা শেষে বাড়তি তেল সাধ্যমতো ছেঁকে কিচেন টাওয়েল বা পরিস্কার খবরের কাগজের উপর রাখতে হবে তেল শুষে নেবার জন্য।
টিপস্ঃ১.পিঁয়াজু মচমচে বা ক্রিস্পি করতে ডালের পেস্টে আধ ভাঙ্গা ও গোটা ডালের পরিমান১/৩ বা ১/২ হলে ভালো।
২. বেশী আঁচে পুরো সময় ভাজলে বাইরের অংশ ভাজা হলেও ভিতরে কাঁচা থেকে যাবে।
৩.তেল গরম হয়েছে কিনা জানতে, একফোঁটা পেস্ট এতে দিয়ে দেখতে হবে, যদি দেবার সাথে সাথে তেল ফুটে ভাজা হয়ে যায় তাহলে তেল যথেষ্ট গরম।
৪.স্লটেড স্পুন বা ছিদ্র চামচে ভাজা হলে তেল ছাঁকা সহজ হয়।
৫. তেল দেবার পূর্ব পাত্র ও তেল দেবার পর তেল যথেষ্ট গরম না করে ডাল দিলে তা নীচে পাত্রের সাথে স্টিক করে যাবে।
৬.প্রতিদিন পিঁয়াজু বানানোর পদ্ধতি আরো সংক্ষিপ্ত করতে এক সাথে বেশী ডাল পেস্ট করে মুখ বন্ধ কন্টেইনারে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। ৪-৫ দিন(কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো বেশী) প্রায় ফ্রেশ থাকে।
৭. পিঁয়াজুর জন্য পিঁয়াজকুচি ও কাচামরিচ কুচি করে ফ্রীজে রেখে দিলে, কাজ বা ক্লাস শেষে ঘরে ফিরে নিমেষেই বানিয়ে নেয়া যায় মুচমুচে পিঁয়াজু!!! পিঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ২-৩ দিনের বেশী পুরনো না হওয়া ভালো।
নীচের রেসিপি দুটি ব্লগার রাশেদের জন্য প্রায় তিন বছর আগে লেখা, এখানে শেয়ার করছি :-)
পালং শাক
উপকরন: ফ্রোজেন স্পিনাশ - ১ প্যাকেট
পিঁয়াজ কুচি - ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ - ২/৩ টি
লবন- পরিমান মতো
তেল- ২ টে: চা:
প্রনালী: ফ্রাইং প্যান/ রান্নার পাত্র গরম করে তাতে তেল দিন। তেল গরম হলে পিঁয়াজ কুচি ছেড়ে বাদামি করে ভেজে নিন। স্পিনাশ দিয়ে কিছুক্ষন পর নেড়ে দিন (যেন ফ্রঝেন অংশ গুলো সব Thaw হয়ে যায়) । লবন ও কাঁচা মরিচ যোগ করে লো-মিডিয়াম আঁচে রেখে দিন ১৫ মিনিট। শাক সিদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। :-)
(একই পদ্ধতিতে ফ্রোজেন ঢেড়শ রন্না করা যায়)
বেগুন ভাজি:
বেগুন কুচি করে কেটে নিন। পাত্রে তেল গরম করে পিয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে নিন। জিরা, ধনে, হলুদ গুড়া যোগ করে কিছুক্ষণ ভেজে নিন (প্রয়োজনে সামান্য পানি যোগ করতে পারেন)। ভাজা মশলায় বেগুন দিয়ে মশলার সাথে মিশিয়ে নাড়ুন ২-৩ মিনিট। ২/৩ টি কাঁচা মরিচ দিন। স্বাদ মতো লবন দিবে ভালো করে নেড়ে আঁচ মডিয়াম লো তে রেখে পাত্রটি ঢেকে দিন।
বি: দ্র: আমি বেগুন খাইনা, সুতরাং খেতে কেমন হয় জানিনা, অন্যদের জন্য রান্না করা :-)
সুত্রঃ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ম্যাগাজিন।
আরো কিছু টিপস্ সহ আগের একটি পোস্ট