somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ খুরশীদ আলম
যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

হাশরের ময়দানের কঠিন অবস্থা ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ

১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাশরের ময়দানের কঠিন অবস্থা ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ
(পর্ব- এক)
সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য। দুরুদ ও সালাম বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবাদের প্রতি।
মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ এহসান ও অনুগ্রহ হলো হায়াতে জিন্দেগী। যে ব্যক্তি সংক্ষিপ্ত দুনীয়ার জিন্দেগীকে আল্লাহ পাকের নির্দেশিত এবং রাসুলের (সাঃ) এর প্রদর্শীত তরিক্বায় অতিবাহিত করে চীরস্থায়ী জান্নাতের পথ সুগম করছে নিঃসন্দেহে তিনি দুনীয়া ও আখেরাতে কামিয়াব। অপরদিকে মহানবী (সাঃ) এর উম্মত হতে পারা কম সৌভাগ্যের বিষয় নয়।
নিশ্চয়ই হাশরের ময়দানে প্রত্যেকটি বনি আদম মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে চারটি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
এক. হায়াতে জিন্দেগী কোন পথে কাটিয়েছ?
দুই. যৌবনকাল কিভাবে কাটিয়েছ ?
তিন. কোন পথে সম্পদ উপার্জন করেছ?
চার. অর্জিত সম্পদ কোন পথে ব্যয় করেছ ?


ছবিঃ ইন্টারনেট হতে

হাশরের ময়দানে প্রত্যেকে নিজ নিজ হিসাব নিয়ে চিন্তিত থাকবে। নবী-রাসুলগণও ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি বলে বিভোর হয়ে পড়বেন। ব্যতিক্রম শুধু মুহাম্মাদুর রাসুলউল্লাহ (সঃ)। উম্মতের জন্য অস্থির নবিজি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাবেন। হাশরের ময়দানে কোটি কোটি বনি আদম উলঙ্গ অবস্থায় উঠবেন। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনকে মনে হতে পারে। আসলে সেই সময় কেউ কারো লজ্জাস্থানের দিকে তাকানোর ফুসরতটুকুও পাবেনা। দু’টি পায়ের পাতা রাখার মতো জায়গা পাবে প্রত্যেকে। নিজের হিসাবের চিন্তায় এতোটা অস্থির থাকবে যে, হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকবে প্রত্যেকে। এভাবে কেটে যাবে পঞ্চাশ হাজার বছর। কেউ টেরও পাবেনা- এতো দীর্ঘ সময় কিভাবে কেটে গেল।
দুনীয়া একটি পরীক্ষাগার, হাশরের ময়দান ফলাফল প্রকাশের স্থান। এখানে প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে ফলাফলের ভাল-মন্দ। দুনীয়ার পরীক্ষায় পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থী বুঝতে পারে তার জন্য কি ফলাফল অপেক্ষা করছে- এজন্য তাকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হয় না। প্রশ্ন কমন পড়লে শিক্ষার্থীর আনন্দের আর সীমা থাকেনা। পক্ষান্তরে যে শিক্ষার্থী সময়ের মূল্যায়ন যথাযথভাবে করেনি সে প্রশ্নপত্র হাতে পেলে নিজের চুল ছিঁড়ে। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পর্যন্ত করেনা কারণ তার প্রস্তুতি ভাল নয়। পক্ষান্তরে হাশরের ময়দানে ইচ্ছা না থাকলেও সকলকে উঠতে হবে, ফলাফলের জন্য দাঁড়াতে হবে, ফলাফল গ্রহণ করতেই হবে। সেখানে কোন নেতার নেতৃত্ব দেয়ার কোন সুযোগ থাকবে না।


ছবিঃ ইন্টারনেট হতে

দুনীয়ার পরীক্ষায় সিলেবাস দেয়া হয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার এক বছর আগে। কিন্তু প্রশ্নপত্র একবছর আগে দেয়া হয়না। পরীক্ষায় কি আসবে তা একবছর আগে ঠিক ঠিকভাবে বলা হয় না। অথচ আখেরাতের প্রশ্ন কি হবে, কি কাজ করলে সেথায় ভাল অবস্থান তৈরী করা যাবে তা দুনীয়ার জীবনে জন্মগ্রহণ করার প্রথম দিনই বলে দেয়া হয়েছে। এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে মানা বা না মানার। ফলাফল বস্তুত তাই হবে যেরূপ এখানে প্রস্তুতি নেয়া হবে। প্রত্যেকে তার ভালমন্দ ফলাফল হাতেনাতে দেখতে পাবে। এটিই ঈঙ্গিত দেয়া হয়েছে সূরা যিলযালের শেষ দুইটি আয়াতে কারিমায়।
দুনীয়ার পরীক্ষায় একবার ফেল করলে আবার পরীক্ষা দেয়া যায়, দুনীয়ার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা হারলে জজ কোর্টে, জজ কোর্টে হারলে হাইকোর্টে, হাইকোর্টে হারলে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করে মামলায় জিতার আশা করা যায় কিন্তু আখেরাতের প্রথম ঘাটি কবরে হারলে আর কোথাও জিতার বা পুনরায় আপীল করে দুনীয়ায় এসে ভাল কাজ করে জিতার আশা করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×