আজ সকালে একটা কাজে টংগি ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরছিলাম বাসে করে।
বাসটা বনানী রেল-ক্রসিং পার হরার পর একটা সেনা বাহিনীর কোস্টারকে ওভারটেক করতে গিয়ে বডি ঘেষে লুকিং গ্লাসে মেরে দেয়।
এরপর আর কি আমাদের বাসের ড্রাইভার ছুটলো এই গতি নয় সেই গতিতে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো রাস্তার জ্যাম তাই সে বেশী দুর আগাতে পারছিল না। তবুও চেষ্টার কোন ত্রুটি নাই পালিয়ে অদৃশ্য হবার। অন্য দিকে সেনাবাহিনীর গাড়ীটা বার বার সিগন্যাল দেওয়ার পরও যখন থামছিল না। পিছন থেকে ধাওয়া করে বাসটাকে থামতে বাধ্য করছিল পাশাপাশি চলে, কিন্তু এরপরও বাসটা থামছিল না, তারপর আবার একটু আগে গিয়ে একেবারে বাসের সামনে গিয়ে বাসটাকে চলার বাঁধা গ্রস্থ করে শেষমেশ ধরে ফেলে।
এরপর মজার ব্যাপার হলো, আমাদের বাসের ড্রাইভার সেনাবাহিনীর ড্রাইভারের সাথে শুরু করে দিল তর্ক। কি তার উচ্চস্বরে কথার সাইজ,যুক্তি-তর্ক,অন্যায় করেও ভিতরে ভয় নাই। তাও সরকারি গাড়ী সরকারী লোকের সাথে তখন আমরা কয়েক জন বলছিলাম নিজের ভুল শিকার করে মাফ চেয়ে নাও। কে শোনে কার কথা। তারপর কিছুটা জোর করে তাকে বাস থেকে নামতে বাধ্য করে নেভীর একজন কর্মকর্তা,তাদের গেটের সামনে এই ঘটনা। তারপর সবাই বলে মাফ চেয়ে নিতে কিন্তু সেনাবাহিনীর ড্রাইভার রাজি হয়না। কারন সে বলে আমি চাকুরী করি এর কৈয়ফিয়াত দিতে হবে।
তখন বাসের ড্রাইভার পাবলিকের কথার চাপে পড়ে সেনাবাহিনীর ড্রাইভারের পা ধরে মাফ চাইতে লাগল,সে বলে আমি মাফ করে দিতে পারবো না সার্জেন্ট এসে যা করে করবে। এর মাঝে উত্তম-মাধ্যম শুরু করে প্রথমে নেভীর সেই ব্যক্তি তার হাতে থাকা সর্টস্টিক দিয়ে বাড়ি মারে ড্রাইভারের কব্জির মধ্যে মনে সাথে সাথে ফুলে বেকে গেল হাতটা, তারপর
পাবলিক ও মারতে শুরু করলো। তখন আমি দেখতে গিয়েছিলাম কোস্টারের ভিতরে কারা আছে, দেখতে পেলাম ছোট স্কুলের বাচ্চারা তখন ফিরে এসে দেখি একজন পাবলিং ড্রাইভারকে থাপ্পর মারছে। তখন আমি ড্রাইভারকে বলি ঐ ব্যাটা তুই জানস কোষ্টারের ভিতর কারা এরপর থাপ্পর মেরে বলি যদি তাদের কিছু হতো.............................
এরপর আরো বলি সেই প্রথম থেকে একমাত্র আমি তোকে বলতেছিলাম। গাড়ীটা থামাতে, (বিদেশে তাই করে তখন আমি ভাবছিলাম আমি বিদেশে আছি, এইভাবে এ্যাকসিডেন্ট করে যাওয়া ঠিক নয় সেই অবস্থায় সেই জায়গাতে থামাতে হবে না হলে পুলিশে আরো বেশী জরিমানা করবে) কিন্তু তুই তা করিস নি, প্রথমে যদি থামাতি তারপর মাফ চেয়ে নিলে তোর এই অবস্থা হতো না। প্রায় ১৫ মিনিট থাকার পর আমরা অনেকে অন্য বাসে চলে আসি। আর ড্রাইভারকে বলে আসি
লে এখন ঠেলা সামলা.............
আমার কথা হলো এই ড্রাইভাররা এত সাহস কোথায় থেকে পায়?
এসব ড্রাইভারের ক্ষমতার উৎস কোথায়?
নাকি আমাদের আইন দুর্বল?
নাকি আইনের প্রয়োগ ঠিকমত হয়না বলে এমন?