somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সারপ্রাইজ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সানিয়ার মন ভীষণ খারাপ। কিছুই ভালো লাগছে না। ও চুলের নতুন বব কাট দিয়েছে, সুন্দর করে সেজেছে, নীল শাড়িটা পড়েছে। ওর নীল চুড়ি নেই, ভাইয়া এইটাই আগে খেয়াল করবে! অবশ্য নীল শাড়ি দেখেই ভাইয়া খুশি হয়ে যাবে। ভাইয়া নীল খুব পছন্দ করে।
সানিয়া আজ কলেজেও যায়নি। ভাইয়া বলেছে ওর জন্মদিন একটা সারপ্রাইজ দিবে। অথচ আজকে এনাটমির একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস ছিল।

ভাইয়া এলেই ওরা বেড়াতে যাবে। স্পাইস ক্লাবে খেয়ে, যাবে নদের পাড়। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে কিছুক্ষণ হাটবে, নদের পাড়ে যতগুলো চায়ের দোকান আছে সবগুলো থেকে চা খাবে। তারপর নৌকায় চড়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন যাবে। নদী থেকে নাকি বাগান ভালো দেখা যায়।

ভাইয়ার বাইক নিয়ে আসার কথা। ভাইয়া আসছে না।এত দেরি করছে কেন?
নিহানও সুন্দর করে সেজেছে! সাজা আর ঘুরাঘুরিতে ওর দারুণ আগ্রহ। আর ভাইয়া মেহরাব হাসান, দাদা মনিরুজ্জামান সোহাগ এলেতো কথাই নেই, হইচই করে একাকার করে ফেলে! ফটফট করে গল্প করে, স্কুলে কি হল, কোন টিচার ক্লাসে ঘুমিয়ে পরে, কোন আপা ক্লাসে সুন্দর করে সেজে আসে কিন্তু কিছুই পড়াতে পারেন না!আরও কত কি!
অপেক্ষা করে আজ নিহানও ক্লান্ত হয়ে পরেছে। ভাইয়ার আসার খবর নেই। ও একটু পরপর জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছে, যদি ভাইয়া আসে! যতবার বাইকের হর্ণ শোনে ও দৌড়ে জানালার কাছে যায়। সানিয়াও কান পেতে রাখে।
নিহান সকালে কিছুই খায়নি, বাইরে গিয়ে খাবে তাই।
কেক আর ফ্রাইড রাইস ও খুব পছন্দ করে!

আজ সানিয়ার জন্মদিন! ভাইয়া কখনো এটা ভুলে যায় না। তাহলে আজ এমন হল কেন?
অবশ্য কখনো ভুলে না, এটা ঠিক না। ২০২০ সালে একবার ভাইয়া ভুলে গেল।

ভাইয়া বলেছিল সে জন্মদিনে খুব মজা করবে।তখন সানিয়া সেভেনে পড়তো।ঐদিন কোন পড়াশোনা নেই, সারাদিন ঘুরে বেড়ানো হবে, বাইরে খাওয়া আর হলে সিনেমা দেখা হবে। ঠিক ৫ই ফেব্রুয়ারী ভাইয়া সব ভুলে গেল।সানিয়া খুব মন খারাপ করলো। ওয়াশরুমে কিছুক্ষণ কাঁদলো, যাতে মা দেখতে না পায়। সানিয়ার আম্মু আবেদা সুলতানা খুব শান্ত, মেয়েদের কখনো বকেন না।

আশ্চর্য! আইনের কত ধারা ভাইয়া মনে রাখে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। কোন কারণে এই মানুষটার জন্মদিন মনে থাকে না।সানিয়া কত কি ভেবে রেখেছে, ভাইয়া এটা করবে, ভাইয়া ঐটা করবে! ভাইয়া কিছুই করলো না, একটা ফোনও না। সানিয়ার খুব রাগ হল, ও সিদ্ধান্ত নিল ভাইয়ার সাথে আর কথা বলবে না৷
কয় দিন পরই ভাইয়া ময়মনসিংহ এল, এতএত জন্মদিনের গিফট নিয়ে! সানিয়া,নিহানকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ালো, বাইরে খাওয়ালো, গল্পের বই কিনে দিল।
ও যা যা ভেবেছিল, ভাইয়া সবই করলো! ভাইয়া ওকে একটা চিঠিও লিখেছিল সেবার।

সানিয়া,
আমার যে জন্মদিন মনে নেই, তা নয়। আল্লাহ মানুষকে সবকিছু একসাথে দেন না৷ যার টাকা আছে তার সময় নেই, যার সময় আছে তার টাকা নেই।

আমি ঠিক সময়ে তোমার জন্মদিনে তোমাকে নিয়ে আনন্দ করতে পারিনি। আমি অপরাধ করেছি!বিরাট অপরাধ! এর ক্ষমা নিশ্চয়ই নেই!
তবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কথা দিচ্ছি, কোনদিন যদি আমার বাড়ি হয় সেখানে একটা রুম থাকবে "সানিয়া ঘর"। সেখানে তুমি ছাড়া আর কেউ যাবে না, অন্য সময় সে ঘর তালা বন্ধ থাকবে। তুমি যখন ইচ্ছে চলে আসবে, আর কেবল তখনই ঐঘর খোলা হবে। আমরা ভাইবোন মিলে ঘরে বসে থাকবো, গল্প করবো।তোমার শৈশবের গল্প, আমাদের আনন্দের গল্প! কষ্টের গল্প বাদ। আমি তোমার প্রিয় খাবার রান্না করবো, তুমি-আমি খাবো। এর মাঝেই আমি তোমার হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নিবো," সানিয়া, বোন আমার, তোমার এই জন্মদিনে আমি কিছুই করতে পারিনি।আমি লজ্জিত।আমায় মাফ কর।"

ভালো থেকো।

ইতি,
তোমার ভাইয়া
মেহরাব হাসান খান

প্রতিবার জন্মদিনে সানিয়া এই চিঠি খুলে পড়ে। আর সেদিন মন খারাপ, রাগ করেছিল বলে কষ্ট পায়। সে বুঝতে পারে, ভাইয়ার কাছে টাকা ছিল না। তাই সেবার ভাইয়া আসেনি। তখন ভাইয়ার চাকরি ছিল না তো। সানিয়া দরজা বন্ধ করে কিছুক্ষণ কাঁদে, নিহানটা দেখতে পেলে আবার ক্ষেপাবে। এটা নিয়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে! পাজিটা এত মজা করতে পারে!

তবে আজ কি হল? ভাইয়া আসছে না কেন? ফোন ধরছে না কেন? অবশ্য ভাইয়াটা এমনি, এতএত প্ল্যান করে এখানে ঘুরতে যাবে, ওখানে ঘুরতে যাবে।আর বেশিরভাগ প্ল্যানই শেষ মূহুর্তে বাতিল হয়ে যায়!তাতে ভাইয়ার কিছু আসে যায় না, সে আবার নতুন প্ল্যান করতে থাকে। আর নিহানতো আছেই, ভাইয়ার প্ল্যানের নিত্য সঙ্গী!

নিহান খেতে বসেছে, ও দুপুরেও কিছু খায়নিতো। খিদে পেয়েছে খুব। ওদের বাবা সারোয়ার জাহান, দাদা মনিরুজ্জামান পাশেই বসে গল্প করছিলেন।। বাবা বললেন," কি ব্যাপার সানিয়া এখনো শাড়ি বদলাও নাই? শাড়ি পাল্টে হাত-মুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে ফেল। মেহরাব আজকে আসবে না। ও দায়িত্বহীন, সারা জীবন এমনি ছিলো।যাও যাও,,শাড়ি পাল্টে এসো।"
নিহান বললো,"না আব্বু, দেখবে ভাইয়া ঠিক আসবে। দাদা, ভাইয়া, আপু এরা কেউ কখনো সানিয়া আপির জন্মদিন ভুলে যায় না।"
সানিয়ার দিকে তাকিয়ে আবার বললো,"আপি তুমি তৈরি থাকো, দেখবে ভাইয়া তোমাকে নিশ্চয়ই কোন সারপ্রাইজ দিবে!দারুণ কোন সারপ্রাইজ।

রাত ৮টা বেজে গেল। মেহরাবের আসার খবর নেই। নিহান, সানিয়া কেউ কাপড় বদলায়নি। নিহান বারান্দায় ফুলের গাছ, খাচায় সাদা পায়রার সাথে কথা বলছে।"আচ্ছা, ভাইয়া কি আজ আসবে? না আসবে না?" পায়রা দুটো ডানা ঝাপটে কি বলছে, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
সানিয়া আর আবেদা সুলতানা ডাইনিংএ খাবার সামনে নিয়ে বসে আছে। একটু দূরেই পেপার পড়ছেন সারোয়ার জাহান। মনিরুজ্জামান সন্ধ্যার আগেই চলে গেছেন।

ছোট ডাইনিং রুম। একপাশে বিশাল জানালা, জানালা গলে চাদের আলো ডাইনিং টেবিলে পড়েছে। আশ্চর্য! আজকে চাদের আলো এডিসন সাহেবকে হারিয়ে দিয়েছে। আজ যে ভরা পূর্ণিমা!
দুপাশের দেয়ালে দুটো ছবি, একটাতে নিহানকে কোলে নিয়ে সানিয়া বসে আছে।নিহান সানিয়ার চুল ধরতে চাইছে, ও দিচ্ছে না, দুজনই হাসছে।
আরেকটা ছবিতে নদীতে নোকা চলছে। সানিয়া অনেকক্ষন ধরে ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে, নৌকা চলছে। নদীর স্রোতের ঝিরিঝিরি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কি অসাধারণ! আশ্চর্য! সানিয়া আগে খেয়ালই করেনি।
ঘরে দেয়াল ঘড়ির টিকটিক শব্দ ছাড়া ঘরে কোন শব্দ নেই।সানিয়া, আবেদা সুলতানা, সারোয়ার জাহান কেউ কথা বলছে না। তবে মাঝেমধ্যে নিহানের কথা শোনা যায়।
"উপ দশ, বিশ,......ভাইয়া আসবে? ভাইয়া আসবে না?"

নীরবতা ভাঙলো সানিয়া। মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,"আম্মু, চল আমরা ঢাকা যাই। হয়তো এটাই ভাইয়ার সারপ্রাইজ। ভাইয়া চাচ্ছে আমরা ওর বাসায় যাই। ভাইয়া নতুন বাড়ি করছে, আগে যেখানে থাকতো ঐদিকেই। খুজে পেতে সমস্যা হবে না।যাবে?"
আবেদা সুলতানা কি বলবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। ততক্ষণে নিহানও সানিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বললেন,"না, রাত অনেক হয়েছে।"
অগত্যা দুই মেয়ের ছলছল চোখের দিকে তাকিয়ে রাজি হলেন।
আবেদা সুলতানা রেডি হতেই ওরা রওনা হয়ে গেল। সারোয়ার জাহানও শার্ট-প্যান্ট পরে রেডি হয়েছিলেন। তাকে কেউ সাথে যেতে বলছে না। উনার খুব ইচ্ছে উনি মেয়েদের নিয়ে হইচই করেন।কিন্তু কেউ তাকে ঠিক কাছে টানে না। কোন আশ্চর্য কারণে এদের চাচাতো ভাইবোনের মধ্যে অনেক টান।আজও উনার ইচ্ছে হয়েছিল মেহরাব কি সারপ্রাইজ দেয় দেখার।উনি লজ্জায় বলতেও পারলেন না।

ওরা ঢাকা পৌছালো রাত ১১টায়। বাসা খুজে পেতে সমস্যা হল না। ভাইয়া যেমন বলেছিল, ঠিক তেমনিভাবে খুজে পাওয়া গেল।
নিহান বাসার গেট দেখে খুব খুশি হল। সেখানে সাদা শ্বেত পাথরে রেডিয়াম কালিতে লিখা "নিহান কুটির"। গেট খুলে দিল আসাদ,ও ভাইয়ার সাথে থাকে অনেক দিন।

বাসায় চারটি রুম। ঢুকতেই ডানপাশের দরজাটায় কাঠে খোদাই করে লিখা " সানিয়া ঘর"। নিহান হুটহাট সব ঘর খুজে দেখল, ভাইয়া কোথাও নেই।
সানিয়া ঘর দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেল। কিন্তু ঘর তালা দেয়া, চাবিতো নেই।ও বারবার ভাইয়াকে কল দিতে থাকলো। রিং হয় না!

অস্থির নিহান বান্ধবীকে কল দিল। গড়গড় করে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে,"তুই ঘুমিয়ে পড়েছিস? তোরা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে ঘুমাস আমি বুঝিনা। আজকে যে কি আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেছে জানিসতো না। আজকে সানিয়া আপির জন্মদিন, কিন্তু ভাইয়া একটা সুন্দর বাসায় বানিয়ে নাম দিয়েছে "নিহান কুটির"। তুই কুটির মানে জানিস, জানবি কিভাবে? তর মাথায়তো গোবর!
নাম কুটির হলে কি হবে! বাসার সামনে একটা বড় ফুলের বাগান, কি ফুলের গাছ নেই? সব আছে! একটা দোলনা আছে, একটা ছোট পুকুর আছে!বসার ঘরটা সবচেয়ে সুন্দর, দেয়ালে আমার একটা ছবি আছে, আমি গালে হাত দিয়ে হাসছি।ঐযে বলেছিলাম না, আমরা স্মৃতিসৌধে বেড়াতে গিয়েছিলাম।সেখানে তোলা। তোরা বেড়াতে আসিস, দেখবি খুব মজা হবে।
আপির ঘর কেমন হয়েছে?
একদম ভালো হয়নি!পঁচা হয়েছে।"

সানিয়া, ওর আম্মু নিহানের কথা শুনে হাসলো। তবে মুখ থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ গেল না। ওরা অনেকক্ষণ ধরেই মেহরাবকে ফোনে চেষ্টা করছে, পাচ্ছে না।

রাত তিনটা। সানিয়া বারান্দায় রকিং চেয়ারে ঘুমিয়ে পরেছে। নিহান মায়ের কোলে মাথাগুজে সোফায় ঘুমিয়ে পরেছে। আবেদা সুলতানা মেয়েদের কাপড় পাল্টে ঘুমাতে বলেছেন। কেউ রাজি হয়নি। ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভাইয়া এলে আজ পুরান ঢাকা যাবে। যত রাতই হোক ওরা যাবে, পুরান ঢাকায় খাবার দোকানগুলো সারা রাত খোলা থাকে।কাচ্চিবিরিয়ানি যত বাসি হয়, স্বাদ তত খোলে।

আসাদের ডাকে আবেদা সুলতানার ঘুম ভাঙলো।
"চাচী আম্মা, ও চাচী আম্মা। দেহেন বাসার সামনে গাড়ি আইছে। আপনেরে ডাকে।"
আবেদা সুলতানা ধরফরিয়ে উঠে বাইরে এলেন। কিসের গাড়ি, এতো একটা এম্বুলেন্স!

পুলিশ সাদা কাপড় সরিয়ে কিছু একটা দেখিয়ে বললো,"দেখুনতো চিনতে পারেন কিনা?"
আশ্চর্য! এখানে কোন লাশ নেই। আছে একদলা মাংসপিণ্ড! কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না, এটা কার লাশ? আবেদা সুলতানা হতাশ দিশেহারা চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন।
পুলিশ হরহর করে বলে যাচ্ছে,"ময়মনসিংহ হাইওয়েতে এক্সিডেন্ট করেছেন। ট্রাক চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। পকেটের আইডি কার্ড, কাগজপত্র দেখে....."
পাশেই দুটি শপিং ব্যাগ, একটাতে আকাশী-নীল শাড়ি, আরেকটাতে লাল টকটকে শাড়ি। হ্যা, এই দুটিই সানিয়া, নিহান চেয়েছিল গতকাল।
আবেদা সুলতানা অপলকে তাকিয়ে আছে মাংসপিন্ডের হাতটার দিকে, বামহাতটাই কেবল অক্ষত। হাতে সোনালী Titan ঘড়িটা তখনো চলছে, ঘড়িটা সারোয়ার জাহানের। মেহরাব কাকার ঘড়িটা পছন্দ করে নিয়ে নিয়েছিল। হাতের আঙুলে আরেকটা জিনিস আটকানো, ঐটার রুপালী পাতে খোদাই করা "সানিয়া ঘর"।

আবেদা সুলতানা হাত থেকে চাবির রিংটা ছুটিয়ে নিয়ে ঘরের দিকে হাটলেন।
ততক্ষণে সানিয়া নিহান, দুজনে ঘুম থেকে জেগেছে। নিহানটা ঠোঁট বাকিয়ে বললো," ভাইয়া এসেছে, তাই না?ভাইয়াকে বল, ওর সাথে কথা নেই। এতক্ষণে সময় হল আসার?ইশ! আমার সাজ নষ্ট হয়ে গেছে! এখন আমাকে আবার নতুন করে সাজতে হবে।"
নিহানের চোখেমুখে আনন্দ, ও তাড়াহুড়ো করে সাজতে চলে গেল।

সানিয়া চোখ কঁচলে মায়ের দিকে তাকালো।ছোটবেলা থেকেই ওর ঘুম চট করে ভাঙে না। আবেদা সুলতানা মেয়ের হাতে "সানিয়া ঘর"এর চাবিটা দিলেন।
সানিয়া শব্দ করে হেসে ফেললো।
সানিয়া তালা খুলে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,"আম্মু বাইরে থেকে তালা দিয়ে দাও। ভাইয়া আমাকে কি সারপ্রাইজ দিবে? আমিই ভাইয়াকে চমকে দিবো!তাড়াতাড়ি কর, ভাইয়া চলে এল তো!ভাইয়াকে বলবে, আমি আসিইনি!"

সানিয়া অপেক্ষা করছে, কখনো ভাইয়া তাকে খুজে বের করবে!নিহান অপেক্ষা করছে, কখন ভাইয়ার সাথে বেড়াতে বের হবে! মানুষ অপেক্ষা ছাড়া আর কিইবা করতে পারে? অপেক্ষাই বারবার মানুষের কাছে সারপ্রাইজ হয়ে ফিরে আসে।অপেক্ষা নিরন্তর।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×