somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজ্ঞান ও দর্শন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম-দৃশ্যঃ স্টিফেন হকিং এর সাম্প্রতিক টিভি ইন্টারভিউঃ
প্রশ্নঃ আগামীকাল যদি বিশ্বজগতের পক্ষ থেকে আপনাকে একটি বিরাট উপহার দেয়া হয়, উত্তর; তাহলে সর্বাগ্রে আপণি কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবেন?
হকিং: আমি জানতে চাই, জগত অস্তিত্বশীল কেন? একেবারে না থেকে কেন কিছু না কিছু আছে?
হকিং বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগত-ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেন বৈজ্ঞানিক নিয়মের মহান সৃষ্টিশীলতায়। তাঁর ভাষায়, ‘‘যখন তুমি বিশ্ব-জগতের বিশাল আকৃতির দিকে তাকাবে, দেখবে এর মধ্যে মানুষের জীবন কতইনা তুচ্ছ এবং আপতিক। কতই না অসম্ভব!’’
প্রশ্নঃ বিশ্ব-জগতে আমরা যে এতো তুচ্ছ এটি অবলোকন করে আপনার খারাপ লাগে না?
হকিং: ধর্ম, প্রাধিকার যার ভিত্তি আর বিজ্ঞান, যা পর্যবেক্ষণ এবং যুক্তি-বুদ্ধি নির্ভর – এতদুভয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। বিজ্ঞান জয়লাভ করবে। কারন এটি কাজ করে বা এর দ্বারা কাজ হয়।

সাক্ষাৎকারের পরের অংশে তিনি তাঁর সন্তানদের প্রতি তাঁর উপদেশের কথা বলেছেন, মানুষের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা বলেছেন।

২য় দৃশ্যঃ প্রয়াত শহীদ বুদ্ধিজীব প্রফেসর ড. জি.সি. দেবের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের সিনিয়র-মোস্ট প্রফেসর ড. আবদুল মতীন স্যারকে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখার আগে নিজের হাতে তিনি সিনোপসিস লিখছেন, দেখেছি প্রায় পনের বছর আগে। ড. মতীনও ঠিক এই প্রশ্নই রেখেছিলেন আলোচনার শুরুতে, আমরা কেন? বিশ্ব কেন? এ রকম না হয়ে অন্যরকম হলো না কেন?

আসলে এই প্রশ্নগুলো বহু পুরনো। কেউ কারো কাছ হতে শিখে এ প্রশ্ন করে না। তবে অনেকেই অন্যদের কাছ হতে শুনে এগুলোর উত্তর ঠিক করে। এটি কূপমন্ডুকতা। ধার্মিক ও বিজ্ঞানবাদী – উভয় শিবিরে অধিকাংশ মানুষ এ ধরনের কূপমন্ডুকতার শিকার। (এ ধরনের শক্ত মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত।)

এ ধরনের মৌলিক দার্শনিক প্রশ্ন সবার মনেই জাগে। চিন্তাশীল, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবি, দার্শনিক তাঁরা যারা নিজে এর উত্তর বের করে; যদিও সে উত্তর অনেকের সাথে মিলে যায়। এই মৌলিক প্রশ্নে কোন ‘চূড়ান্ত বা শেষ উত্তর’ নাই। তবে আপাতঃ অর্থে বা অধিকতর গ্রহনযোগ্য কোন ‘সঠিক উত্তর’ আপনি পেতে পারেন। এটি পেতে হলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে বিজ্ঞানকে। যদিও উত্তর পাবেন দর্শন-এর কাছ হতে।
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন বিপ্লবী নেতা হাদী

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×