বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্ধারিত সংলাপ + ভোজ।
যেহেতু হাসিনার বাসভবন, একজনের বাসায় এসে মানুষ খালিমুখে যায় কেমনে। তাই ভোজ।
অফিসিয়াল ভোজে সাধারনত আগেই মেনু জানতে চাওয়া হয়। আফটারঅল হোষ্ট নিজে পদাধিকারে একজন প্রধানমন্ত্রী।
অফিসিয়ালি মেনু জানতে চাওয়াটা সাধারন প্রটোকল। কারন কার চিংড়িমাছে এলার্জি, কারো কাছে গরু হারাম, কারোকাছে চামড়াসহ মুরগী অপছন্দ। কারো ঠান্ডা পানি সমস্যা। এছাড়াও গাড়ী কোন গেইট দিয়ে ঢুকবে, কোথায় পার্কিং, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও মোবাইল কোথায় জমা রাখতে হবে ইত্যাদি .. তাই আমন্ত্রনে নিয়জিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এসব ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক।
পার্সন টু পার্সন যোগাযোগ করে মেনু যা পাওয়া গেছিল -
পিয়ারু সর্দারের স্পেশাল অর্ডার মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, ডা।কামাল পছন্দের চিজ কেক ফ্রম র্যাড়িসন, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি উইথ ..
কিন্তু আজ সকালে লন্ডন থেকে অহি নাজেল।
আলাপ হবে বাট কিছু খাবো না।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘নৈশভোজে অংশ না নিলেও সংলাপে কোনও প্রভাব পড়বে না।’
ফ্রন্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপি নেতারা তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে যাওয়ার পর ওনারা খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন, তাই কিছু খাবেন না।
এরপরই ফ্রন্টের শীর্ষনেতারা বিএনপির এই মনোভাবকে সমর্থন দিয়ে নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভাইবারের অজুহাত - যে সময়টা আছে আমরা চাইছি সে সময়টায় শুধু আলোচনা হোক। নৈশভোজে অংশ নিলে তো আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটবে। এই কারণেই নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কোনও কারণ নেই। সময় তো খুব মূল্যবান। সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
কি বলে..! নৈশভোজে অংশ নিলে তো কথা বলার জন্য আরো দুই ঘন্টা বেশী টাইম পাওয়ার কথা।
খালীপ্যাটে মেজাজ খারাপ হয়ে আলুচনা ভছকায়ে যাবে!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:২৪