কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো নির্বাচনের আগে লাফালাফি করছে।
ঋন/সুদ ভিত্তিক ব্যাংকিং অর্থনীতিতে আমেরিকা সহ সমগ্র বিশ্বে খেলাপি ঋন একটি বিষফোড়া।
২০০৮ সালে আমেরিকায় লেহম্যান ইনভেস্টমেণ্ট ব্যাংক ৬০০ বিলিয়ন ডলার খেলাপির কারনে দেউলিয়া হলে সমগ্র আমেরিকার অর্থনীতিতে ধাক্কা খায়, এরপরের ধাক্কাট বার্নার্ড ম্যাডফের ইনভেস্টোমেণ্ট কোম্পানী। গ্রাহকদের নিঃস্ব করে হাতিয়ে নিল প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
শুধু আমেরিকা না, সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসলো তার ধারাবাহিকতায়। ৩ বছরে শতাধিক ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, বাকি বেচে থাকা ব্যাঙ্কগুলো ৫ ছয় মাস কর্মিদের কোন বেতন দিতে পারেনি।
আমেরিকাতে সেই বছরগুলো ছিল কারবালার মাতমের মতন। কয়েক মিলিয়ন মধ্যবিত্তের ঘর বাড়ি, চাকুরি হারায়ে স্রেফ পথে বসে যেতে হইছিল। (তথ্য সুত্রঃ ফোর্বস)
২০০৮-১০ আমেরিকা সহ সার বিশ্বে বিশ্বমন্দা নেমে আসার পরে অনেকেই এই সমস্যাটাকে পুঁজিবাদের সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেন। নোয়াম চমস্কি এই জায়গায় গ্লোবাল এই সমস্যার কারন দেখান পুঁজিবাদী নিওলিবারেলিজম।
ব্যাঙ্কগুলোর চলেই সেধে ঋন দেয়া, এরপর সুদ। প্রয়জনে দালাল লাগিয়ে ঋন গছিয়ে দেয়া
খেলাপি ঋন কোথায় নেই?
গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাব মতে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি এবং খেলাফি লোনের পরিমান ৩০০০০ কোটি রুপির উপরে,
ভারতীয় ' রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার' হিসাব মতে শেষ পাঁচ বছরে ব্যাংক প্রতারনা বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে মোট ২৩ হাজারের মতন। তাতে খোয়া গেছে এক লক্ষ কোটি রুপির উপরে। (সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
২০১০-১১ গ্রিসের সবগুলো ব্যাঙ্কের বেহাল অবস্থা সবাই দেখেছে। নিজের একাউন্টের টাকাও তুলতে পারতোনা, এটিএম মেশিনে সপ্তাহে মাত্র ১০ ইউরো লিমিট।
উদিয়মান অর্থনীতির বাংলাদেশ এসবের ব্যাতিক্রম হবে, এমনটা আসা করা যায় না।
কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো নির্বাচনের কদিন আগে এসব নিয়ে লাফালাফি করছে।
বাংলাদেশের ১০ বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঘটনা কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো খুজে বের করে নি।
বর্তমান সরকারই উদ্ঘাটন করেছে, মামলা করেছে, আসামীদের জেলে রেখেছে।