জামাত কোন বাংলাদেশী দল নয়, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক দল।
আন্তর্জাতিক ওহাবী-সালাফি কট্টর মতাদর্শে একটি বিদেশী সংগঠন
বিশ্বযুদ্ধ শেষে ইঙ্গ-মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসাবে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে জামাতের মতো সংগঠনের জন্ম। এই দলগুলোর আদর্শ ও অর্থের জোগানদাতা সৌদি রাজতন্ত্র। সাম্রাজ্যবাদিদের সৌদি বাদশাহীতন্ত্রকে জন্ম দেওয়ার সেই হিসাবটা অনেক পুরোনো।
সামরিক সরকারগুলো নিষিদ্ধ জামাত পাকিস্তান থেকে আনিয়ে নাগরিকত্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। পরে অর্থ বিত্ত ব্যাবসা ব্যাঙ্ক ক্লিনিক দিয়ে আরো ধনাড্ড করে দিয়েছে।
লন্ডন-নিউইয়র্ক বাঙ্গালী কমুনিটির মোটা অংকের জাকাত ফেত্রার মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন হাত ঘুরে এদের ফান্ডেই চলে আসছে।
একমাস পর পর বিভিন্ন চ্যারিটির নামে (বন্যাদুর্গত, কাষ্মিরের শিশুদের জন্য বা রহিংগাদের জন্য) লোকজন জড় করে চলে ফান্ডরাইজিং। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে অর্থ বিত্তের ভিত্তিতে সবচেয়ে ধনী দল জামাত। জামাতি নেতারা ব্যাক্তিগত ভাবে বৈধ উপার্জন ছাড়াই শত শত কোটিপতি।
জামাত দলটি কখনোই গনতান্ত্রিক ছিলনা। দলের ভেতরও কখনো গনতন্ত্র ছিলনা।
কার্ফিউয়ের ভেতর ক্যান্টনমেন্টে দল গঠনের পর জামাত নেতাদের পাকিস্তান থেকে আনিয়ে জামাতিদের ওপেন রাজনীতি অধিকার দিতে তথাকথিত বহুদলীয় গনতন্ত্র নামে জামাত পুনর্বাসন করা হয়।
জামাতিদের গঠনতন্ত্রে গনতন্ত্র নেই। পিপলস রিপাবলিকে জনগন দেশের মালিক।
দেশের সকল দলেরই মুলনীতি 'রাষ্ট্রের মালিক জনগন'।
কিন্তু জামাতি গঠনতন্ত্রে রাষ্ট্রের মালিক আল্লাহ। তথা আল্লার প্রতিনিধি জামাতের আমির বা ইরানের আদলে গ্রান্ড আয়াতুল্লা। নামকাওয়াস্তে নির্বাচন হবে কিন্তু বাদশার মত রাষ্ট্রের মালিক আমির বা আয়াতুল্লা বা বাদশা পদটা চীরস্থায়ী ।
গনতন্ত্র তখন ঘনতন্ত্র , এর নাম জামাতি গনতন্ত্র।
তত্তাবধায়ক আমলে জামাত মুচলেকা দিয়ে নির্বাচনে এসেছিল। শর্ত ছিল ৬ মাসের ভেতর আমিরতন্ত্র ভিত্তিক গঠনতন্ত্র সংসোধন করবে, নতুবা নিবন্ধন বাতিল।
জামাত আন্তর্জাতিক ওহাবী-সালাফি সংগঠন, আল্লার নাম ভাংগিয়ে আমির-আয়াতুল্লা তন্ত্রে বিশ্বাসি গঠনতন্ত্র সংসোধন করার প্রশ্নই আসে না।
নিবন্ধন হীন জামাত নেতারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে আদর্শ চেইঞ্জ করে কোন ডিসক্লেইমার দেয় নি,
বুদ্ধিজীবি হত্যা গনহত্যার জন্য কখনো অনুতপ্ত ছিলনা, এখনো নেই। এরপরেও ২২ জন বিএনপির-ঐক্যফ্রডের জামা গায়ে দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে নির্বাচনে এসেছে। আমিরতন্ত্র ভিত্তিক গঠনতন্ত্র, বা আদর্শ কিছুই চেইঞ্জ করেনি।
বিএনপিকে কখনোই গনতান্ত্রিক দল বলা যায় না।
সব রাজনৈতিক দল তৈরি হয় মুল থেকে, কিন্তু এদের জন্ম হয়েছে আগা থেকে।
হত্যা ষড়যন্ত্র ও সেনা ছাউনির অন্ধকারে তৈরি হয়েছে দল। ক্ষমতায় আসাও পেছনের দরজা দিয়ে।
গত ১০ বছর পেছনের দরজা দিয়ে আসার যত পদ্ধতি আছে সবই করেছে।
দলটি গনতান্ত্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় নি দলটি কখনোই গনতান্ত্রিক ছিলনা। দলের ভেতরও কখনো গনতন্ত্র ছিলনা। কার্ফিউয়ের ভেতর ক্যান্টনমেন্টে দল গঠনের পর জামাত নেতাদের পাকিস্তান থেকে আনিয়ে জামাতিদের ওপেন রাজনীতি অধিকার দিতে তথাকথিত বহুদলীয় গনতন্ত্র নামে আগে জামাত কে আগে পাকিস্তান থেকে এনে পুনর্বাসন করা হয়।
এরপর অন্যান্ন রাজনৈতিক দলকে শুধু ঘরোয়া রাজনীতি করার অনুমতি দেয়া হয়।
২১ বছর রেডিও টিভিতে মিডিয়ায় মুজিবের নাম একবারও উচ্চারিত হয় নি। (এখন এদের মুখে বাক স্বাধীনতার দাবী)
২০০১ এর পর এরা লাগামছাড়া দুর্নিতীর মচ্ছব শুরু করে। এর সাথে চলে একের পর এক বিরোধী রাজনিতিক হত্যাকান্ড।
৫ বছর পুরো শাসনকাল দুর্নিতীতে ৫ বার ১ম স্থানে। ( অতচ ২০০৯ এর পর থেকে দুর্নিতী কমতে কমতে ১৭ তম)
ফেয়ার নির্বাচনে ওরা কখনোই বিশ্বাসি ছিল না, এরা ২০০৬ এ স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ও ছবিসহ ভোটার আইডি পদ্ধতি প্রত্যাক্ষান করেছিল। ২০০৬ এর শেষের দিকে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার যুক্ত করে দুই দফা চক্রান্ত তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা গুবলেট করে তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থার কবর রচনা করেছিল।
১৯৯৫ তেও ফেয়ার নির্বাচনে তামাসা শুরু করলে গনভ্যুথ্যানে পতন হয়েছিল।
একক ভাবে বিএনপি বা পরে বিম্পি-জামাতের ব্যবস্থাপনায় কখনোই কোন ভাল নির্বাচন দিতে পারে নি। দেয়ার ইচ্ছাও ছিল না।
এই সব গনতন্ত্রহীন ও কথিত আল্লাওয়ালা আমিরতন্ত্রের লোকজনকে নিয়ে কামাল সাব নাকি ভোটের অধিকার ও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
উনি ও জাফরুল্লারা নির্বাচনেও দাড়ান নি,
দলের বা জোটের নেতা কে?
অষ্পষ্ট, কেউ জানে না।
তষ্কররা নির্বাচনে জয়ী হলে নৈতিক ভাবে বা আইনত ওনাকে নেতা মানতে বাধ্য নন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭