২০ তলা ফারুক-রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এই বহুতল অফিস ভবনে আগুন ছড়ালো কি করে? এখানেও কি কেমিক্যাল গোডাউন ছিল?
এবার ভদ্রলোকদের অভিজাত এলাকায় আগুন লাগলো।
জানালা দরজা সব বন্ধ, এরপর পর্দার উপর পর্দা। নইলে তো প্রেষ্টিজ থাকে না। দিনদুপুরেও বদ্ধ রুমে টিউবলাইট, বাহারি এসি। বাহিরে সুর্যের আলো না বৃষ্টি কিছুই বোঝার উপায় নেই। আগুন দেখা আগুন বোঝা তো আরো দুরের ব্যাপার।
ফাইল ছবি
অনেকেই আগুন লাগার পর একঘন্টার পরও বুঝতে পারেনি আগুন লেগেছে কি না। যখন টের পেল ততক্ষনে শিড়িতে আগুন-ধোঁয়ায় ভর্তি।
মামুলি একটা ফায়ারএলার্ম সবাইকে বাচিয়ে দিতে পারতো।
আমেরিকায় ও উন্নত দেশসমুহে ভবনের প্রতি ইউনিটে ফায়ার এলার্ম থাকে। সব এলার্ম একসাথে বাজে না, একটা একটা করে বাজে, যাতে শিড়িতে ঠেলাঠেলি হুড়াহুরি না হয়।
আগুন নেভানোর চেয়ে মানুষ বাচানো জরুরি।
দশ-বার জন মারা গেছে বলছে মিডিয়া গুলো। আমার ধারনা একশত ছাড়িয়ে যাবে।
* আপডেট ২৯সে মার্চ
আমাদের 'ফায়ার ব্রিগেড' যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
আগুন যে পর্যায়ে ছিল পুরো বিল্ডিঙ্গই পুড়ে আসেপাশের ভবনগুলোও পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
কিন্তু পানির সংকট থাকার পরও পানিবাহি গাড়ির সাহায্যে মাত্র ৪-৫ ঘন্টার ভেতর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে,
১৪-১৫ তলায় থেকে পানি ছেটানোর ল্যাডার মারফত চরম ঝুকি নিয়ে অনেক মানুষ উদ্ধার করেছে।
৬টি ফ্লোর পুড়ে গেলেও স্বল্পসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে বাকি ১৮ টি ফ্লোর রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
২৫ জন মারা গেলেও ভবনে অবস্থানরত হাজার মানুষ বেচে যায়।
পাবলিকও অনেককে বাচিয়েছে।
পাশের বিল্ডিঙ্গের কাচের জানালা ভেঙ্গে তক্তা ফেলে অনেককেই নিরাপদ যাগায় নিয়ে যায়।
অতচ কিছুদিন আগে একই মাত্রার আগুন লন্ডনে ২৪ তলা আবাসিক ভবন গ্রিনফিল টাওয়ারের আগুন।
লন্ডনের অভিজ্ঞ ফায়ার সার্ভিস সর্বশক্তি দিয়েও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, ২ দিন জাবত জলছিল গ্রিনফিল টাওয়ার। নিজস্য নির্বাপন ব্যাবস্থা, পর্যাপ্ত ফায়ার একজিট, বিকল্প শিড়ি থাকার পরও গ্রিনফিল টাওয়ারের আগুনে একশতর মত মানুষ মারা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৮