somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবাই বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করুন

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সবাই বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করুন

পৃথিবীর কোন জাতি পৃথিবীর কোন দেশ তার ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করে না।

প্রত্যেক বাঙালীর উচিত বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করা।
এটি পার্বন প্রিয় বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতি।
প্রতিটি জাতীরই একটা নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার থাকে! এটা তাদের জাতীয়তার প্রতিক! আর আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় এই ভিত্তিতেই হয়েছিলো! বাঙ্গালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তিতে!
সুতরাং পহেলা বৈশাখ আমাদের বাঙালীয়ানার প্রতিক, বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য ধারণ করে!

মালয়, ইন্দো, চীন, জাপানিজ, কোরিয়ান, ল্যাটিন আমেরিকা, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ! প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বিপপুঞ্জ
এই ধরণীর কোথাও কেউ দেখাতে পারবে না ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করতে!
ইরানীরাও খ্রীষ্টপূর্ব ১২০০ শতাব্দীর প্রাচীন জরথুস্ত্র পৌত্তলিক আমলের নিজস্য নববর্ষ 'নওরোজ' খোমেনি রাজ আসার পরও বাতিল করে নি। ইরানে এখনো রাষ্ট্রিয় ভাবে পালিত হয়। প্রাচীন পারস্যের জাতীয় ধর্ম জরথুস্ত্র, যা মূলত বর্তমানে আধুনিক ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের জরথুস্ত্রীয় সম্প্রদায় কর্তৃক নওরোজ পালিত হয়। ইরাক, তুর্কির কুর্দি জনবহুল অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া সহ বিস্তীর্ণ আরব এলাকায় নওরোজ কিছুটা ভিন্নভাবে হলেও যেভাবেই হোক পালিত হয়।

ভারতের পশ্চিমবাংলা ছাড়া অন্যান্ন এলাকায়ও বাংলা মাসের মত এপ্রিলের মাঝামাঝি ফসলি নববর্ষ পালিত হয়।
আমাদের পাশের দেশ বার্মা (মায়ানমার) ওদের নববর্ষ থিংগিয়ান (Thingyan) আমাদের মতই ১৩ থেকে ১৭ই এপ্রিল যে কোন একটি দিনে বা ৫ দিন ব্যাপি হয়।
পাকিস্তানের শিন্ধু ও পাঞ্জাবেও এপ্রিলের মাঝামাঝি তারিখে নববর্ষ তথা ফসল কাটা নিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়।

কারণ টা স্পষ্ট, সেখানে ধর্মের সাথে জাতি, জাতীয়তা সংস্কৃতির কোনোও বিরোধ নেই!
নিজ জন্মভূমি, নিজ দেশ, নিজ জাতি সত্তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতকরা পরিপূর্ণ মানুষ না।
মানুষ না হলে ধার্মিক হওয়ার সুযোগ নেই।
নৃ-তাত্বিক, জাতীয়তার সাথে ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে অশিক্ষিত মোল্লাদের কথায় যারা গুবলেট পাকায় তাদের কাঠ বলদ ছাড়া কি বলা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×