সবাই বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করুন
পৃথিবীর কোন জাতি পৃথিবীর কোন দেশ তার ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করে না।
প্রত্যেক বাঙালীর উচিত বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করা।
এটি পার্বন প্রিয় বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতি।
প্রতিটি জাতীরই একটা নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার থাকে! এটা তাদের জাতীয়তার প্রতিক! আর আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় এই ভিত্তিতেই হয়েছিলো! বাঙ্গালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তিতে!
সুতরাং পহেলা বৈশাখ আমাদের বাঙালীয়ানার প্রতিক, বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য ধারণ করে!
মালয়, ইন্দো, চীন, জাপানিজ, কোরিয়ান, ল্যাটিন আমেরিকা, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ! প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বিপপুঞ্জ
এই ধরণীর কোথাও কেউ দেখাতে পারবে না ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করতে!
ইরানীরাও খ্রীষ্টপূর্ব ১২০০ শতাব্দীর প্রাচীন জরথুস্ত্র পৌত্তলিক আমলের নিজস্য নববর্ষ 'নওরোজ' খোমেনি রাজ আসার পরও বাতিল করে নি। ইরানে এখনো রাষ্ট্রিয় ভাবে পালিত হয়। প্রাচীন পারস্যের জাতীয় ধর্ম জরথুস্ত্র, যা মূলত বর্তমানে আধুনিক ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের জরথুস্ত্রীয় সম্প্রদায় কর্তৃক নওরোজ পালিত হয়। ইরাক, তুর্কির কুর্দি জনবহুল অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া সহ বিস্তীর্ণ আরব এলাকায় নওরোজ কিছুটা ভিন্নভাবে হলেও যেভাবেই হোক পালিত হয়।
ভারতের পশ্চিমবাংলা ছাড়া অন্যান্ন এলাকায়ও বাংলা মাসের মত এপ্রিলের মাঝামাঝি ফসলি নববর্ষ পালিত হয়।
আমাদের পাশের দেশ বার্মা (মায়ানমার) ওদের নববর্ষ থিংগিয়ান (Thingyan) আমাদের মতই ১৩ থেকে ১৭ই এপ্রিল যে কোন একটি দিনে বা ৫ দিন ব্যাপি হয়।
পাকিস্তানের শিন্ধু ও পাঞ্জাবেও এপ্রিলের মাঝামাঝি তারিখে নববর্ষ তথা ফসল কাটা নিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়।
কারণ টা স্পষ্ট, সেখানে ধর্মের সাথে জাতি, জাতীয়তা সংস্কৃতির কোনোও বিরোধ নেই!
নিজ জন্মভূমি, নিজ দেশ, নিজ জাতি সত্তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতকরা পরিপূর্ণ মানুষ না।
মানুষ না হলে ধার্মিক হওয়ার সুযোগ নেই।
নৃ-তাত্বিক, জাতীয়তার সাথে ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে অশিক্ষিত মোল্লাদের কথায় যারা গুবলেট পাকায় তাদের কাঠ বলদ ছাড়া কি বলা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪২