আবারো শুরু হয়েছে অপপ্রচার।
স্থুলভাবে অপপ্রচার।
"ফারাক্কা বাধের ১১৯টি সুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে"।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে শুখনো মৌশুম বাদে নর্মাল টাইমে বাধের গেইটগুলো খোলাই থাকে।
শুখনো মৌশুমে ফারাক্কা গেট বন্ধ থাকে ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে পানি ছাড়া হয়।
এপ্রিল মে মাসে পানির ফ্লো দেখে থেকে ফারাক্কার সবগুলো গেইট খুলে দেয়া হয়। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাঁধের গেটগুলো মাষ্ট খোলা থাকবেই।
এরপরও বড় আকারের বন্যায় বিপুল পানির প্রবাহ গেট-ফেট কিছুই মানে না। ওভার ফ্লো হয়, মানে বাধের উপর দিয়ে পানি উপচে প্রবাহিত হয়।
ডিসেম্বর জানুয়ারীতে আবহাওয়ার অবস্থা পানির ফ্লো দেখে আবার ফারাক্কা গেট বন্ধ থাকে ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে পানি ছাড়া হয়।
৪৫ বছর যাবৎ এভাবেই চলছে।
প্রথম আলো রিপোর্টেও হেডলাইন করেছে একটু চতুরতার সাথে (ফারাক্কার ১১৯ সুইচ গেট খোলা, হু হু করে ঢুকছে পানি)
ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার কারণে রাজশাহীতে পদ্মার পানি বাড়ছে কি না, প্রথম আলোর - গতকাল ফারাক্কার কাছে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিবছরই জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খোলা থাকে।
এটি তাদের নিয়মিত ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। প্রকৃতপক্ষে, কয়েক দিন ধরে গঙ্গা ও পদ্মা অববাহিকায় নিম্নচাপজনিত অতিবৃষ্টিতে পানি উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উজানে ভারতে বিভিন্ন জেলায় এবং ভাটিতে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার জন্য সতর্কতা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।