আপনাদের কি ধারনা সাকিব দুধের শিশু , হঠাৎ তার উপর অপবাদ চাপিয়ে ২ বছরের ব্যান?
সাকিব একটা আন্তর্জাতিক বেয়াদব।
আত্নপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ঠ সুযোগ না দিয়ে আইসিসি এত কাঁচা কাজ করে না।
ম্যাচ ফিক্সিং চেষ্টা মনিটর করছিল ক্রিকেট গোয়েন্দারা, বার বার ঘটার পরও রিপোর্ট না করার কারন জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল, সাকিবের অধিক রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে থাকা, অনেক গুরুতর অভিযোগ। সন্তোসজনক জবাব না পেলে তাকে কি করা হবে সে ভালভাবেই জানত।
পাপনকে অনেকেরই অপছন্দ।
ফেবুতে দেখলাম, সে হয়তো খেলাই বুঝে না, তবুও সে লিখেছে - সবই পাপনের চাল! জালিমের সন্তান জালিমই হয়। সাকিব কেন যে বেজন্মাদের দেশে জন্ম নিল!
দেশের ৩৫% লোক দলান্ধতার কারনে ভাল হোক মন্দ হোক এমনিতেই পাপনকে অপছন্দ।
তাদের পছন্দ বিসিবির তৎকালিন ভাইসপ্রেসিডেন্ট কোকো, আদম ব্যাবসায়ী লবি।
এছাড়াও সাধারন ক্রিকেটনুরাগিও অনেকে না বুঝেই পাপনকে অপছন্দ করে
পাপনের বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রেই অসহনিয়, বাগারম্বর পুর্ন এবং অহমিকাপূর্ণ দতে পারে।
এসব দোষের কিছু না। নেতাগিরি করলে এসব অহমিকা সাধারন ব্যাপার।
যদিও গরিব দেশটির টাইগারদের রাস্তার গলির ক্রিকেট থেকে আকাশে তুলতে যত অগ্রগতি হয়েছে কোনটি কোকোদের নয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এজাবৎ যতটুকু অগ্রগতি সবাটাই শেখ কামাল, শেখ হাসিনা, সাবের হোসেন চৌধুরী, লোটাস কামাল, পাপনদের হাত ধরেই।
যা ঘটেছিল বিভিন্ন সময়ে।
(২০০৮-১০) যখন জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিল সাকিবরা, আকসুকে জানাতে দুবার ভাবেননি।
অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক যুগের বেশি সময় কাটিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞ সাকিব বিষয়টি আকসুকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি! তাও এমন একজন জুয়াড়ির প্রস্তাব, যিনি আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত!
২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। সাকিব জানতেন, তাঁরই পরিচিত কোনো এক ব্যক্তি দীপক আগারওয়াল নামের এক ভারতীয় জুয়াড়িকে তাঁর ফোন নম্বর দিয়েছেন। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আগারওয়ালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান-প্রদান করেন সাকিব। তখনই সাকিবের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন আগারওয়াল।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় দুজনের মধ্যে আবারও বার্তা আদান-প্রদান হয়। ১৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়ার পর সেদিনই সাকিবকে অভিনন্দন জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠান আগারওয়াল। এর পরপরই তিনি সাকিবের উদ্দেশে আরেকটি বার্তা পাঠান। সেটি হলো ‘কাজটা কি এখনই হবে, সাকিবের সাবধানি উত্তর। .. নাকি আমি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?’ এখানে ‘কাজ’ বলতে মূলত দলের ভেতরের খবর পাচার করাকে বুঝিয়েছেন আগারওয়াল। কিন্তু আগারওয়ালের কাছ থেকে পাওয়া এই প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) বা অন্য কোনো দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাকে জানাননি সাকিব। যদিও এ ব্যাপারে আগারওয়ালের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান ছাড়া আর কিছুই করেনি সাকিব।
চার দিন পর ২৩ জানুয়ারি আগারওয়ালের কাছ থেকে আরও একটি হোয়াটসএপ বার্তা পান সাকিব। সেখানে আবারও দলের ভেতরের খবর ফাঁস করার জন্য সাকিবকে প্রস্তাব দেন তিনি। ওই খুদে বার্তায় আগারওয়াল লেখেন, ‘এই সিরিজের ব্যাপারে কোনো তথ্য পেতে পারি?’ দ্বিতীয়বারও কালো তালিকাভুক্ত একই ব্যক্তির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পেলেও এবারও ACU বা অন্য কোনো দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাকে বা বাংলাদেশের কাউকে কিছুই জানাননি সাকিব। বরং পরে জানাজানি তদন্ত শুরু হলে সবকিছু ডিলিট করে ফেলেন।
খুব সংগত কারনেই ডিলিট, কারন সাকিব মুল প্রস্তাব ডিনাই করলেও কিছু কিছু ইয়েস বলেছিলেন, দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ পেয়েছিল।
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাওয়া চোট কাটিয়ে ওঠার পর আইপিএলে খেলতে যান সাকিব।
২৬ এপ্রিল সানরাইজার্সের হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামেন সাকিব। সেদিনও হোয়াটসঅ্যাপে আবারও সাকিবকে বার্তা পাঠান আগারওয়াল। সানরাইজার্সের একজন নির্দিষ্ট সেই খেলোয়াড় ওই ম্যাচে খেলবেন কি না, এ ব্যাপারে সাকিবের কাছে জানতে চান তিনি। এ ছাড়া দলের ভেতরের আরও কিছু খবরও জানতে চান এই বাজিকর। সেদিন বেশ অনেকক্ষণ ধরে কথা হয় সাকিবের। বাজিগর আগারওয়াল সাকিবের কাছে তাঁর ডলার ও বিটকয়েন অ্যাকাউন্টের ইনফো চান (ডলার বিটকয়েন ট্রান্সফার করতে?)। জবাবে সাকিব বলেন, তিনি আগে আগারওয়ালের সঙ্গে ডাইরেক্ট দেখা করতে চান।
একজন জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে দিনের পর দিন চুপ থাকা? (এটি স্ট্রিং অপারেশনও হতে পারে) ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাকিব চলেছেন দাম্ভিক বেয়াদব ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাবে। আবার বাংলাদেশের বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপন কে জানাবে? কাউকেই জানায় নি।
জানিয়েছে হয়তো গডফাদার বাদলকে।
কে এই বাদল?
সাকিবের বন্ধু পরামর্শদাতা ফিলোসফার/গডফাদার ছিল লুতফর রহমান বাদল।
একজন বড় একজন ব্যাবসায়ী, স্পনসর/ফ্রানচাইজি/মালিক 'গাজী ট্যাংক ক্রিকেট', পরবর্তিতে 'লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ'। একজন আন্তর্জাতিক মাফিয়া, ঢাকা দুবাই করাচি লন্ডন। ২ নম্বরি কাজ, খেলাপি ঋন , (ক্যাসিনো) ফিক্সিং ইত্যাদি নানবিধ কারনে বর্তমানে দুদকের মামলা মাথায় নিয়ে অনেকদিন জাবত লন্ডন পলাতক।
এই বাদলের পরামর্শেই ভারত সফরের আগে হুট করে বেতন বৃদ্ধির জন্য অন্যান্ন ক্রিকেটারদের ভুলবুঝিয়ে অকারন ধর্মঘট ডেকে বসে। মুলত বাদলের প্রতিশোধমুলক এজেন্ডা পুরনের জন্যই। আর সাকিব এক বছর আগেই জানে ব্যান হবে। ব্যান হওয়ার আগে একটু হাইলাইট পাওয়ার চেষ্টা।
গত বিশ্বকাপে বিসিবি কর্মকর্তারাও বাদলকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলায় ভিআইপি আসনে আইসিসির উচ্চপদস্থ কর্তাদের সাথে দেখে বিস্মিত হয়েছেন। জানা গেছে এবারের বিশ্বকাপে এর আগের কোন ম্যাচ দেখেননি বাদল। গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে বাদলের উপস্থিতি, সাকিবের অধিক রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে থাকা এবং তার পারফরম্যান্স মিলে দানা বাঁধছে সন্দেহ।
ক্রিকেটাঙ্গনে অনেকেই জানে বাদলের হাত কত লম্বা! পাকিস্তানি লীগ ভারতীয় ক্রিকেট লিগ আইপিএলের সঙ্গে বাদলের যেভাবেই হোক একটি লিঙ্ক আছে। সেখানে বাংলাদেশের কোন কোন খেলোয়াড় এবারের আইপিএল এ সুযোগ পাবেন সেখানেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে বাদল।
এই বাদলের পরামর্শেই ভারত সফরের আগে হুট করে কথিত বেতন বৃদ্ধির জন্য অন্যান্ন ক্রিকেটারদের ভুলবুঝিয়ে আসন্ন ভারত সফর বয়কট করে ১১টি দফা জারি করে অকারন ধর্মঘট ডেকে বসে। দুদিন পর আরো ২ দফা (বিসিবির স্পনসার, বিজ্ঞাপন থেকে প্রাপ্ত এমাউন্টেরও অংশ চাই) যোগ করে মুলত বাদলের পাপনের উপর বাংলাদেশের উপর বাদলের প্রতিশোধমুলক এজেন্ডা পুরনের জন্যই। আর সাকিবতো এক বছর আগেই জানে তদন্ত হচ্ছে, ব্যান হবে। ব্যান হওয়ার আগে একটু হাইলাইট পাওয়ার চেষ্টা।
বাদল কি সাকিবকে ইউজ করলো? নাকি সাকিব নিজেই হটকারি বেয়াদব দাম্ভিকপুর্ন কাজ করলো, নাকি ব্যানের আগে একহাত নিলো? সময়ই বলে দিবে।
* বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টিভি দেখে ভাবলাম কিছু লিখি। এই পোষ্ট সবটাই আমার নিজস্ব ভাবনা, নিজস্ব ধারনা। আমার কাছে কোন প্রমান নেই। কেউ আরো কিছু তথ্য যোগ করতে চাইলে, বা আমার ভুল হলেও বলতে পারেন।
সংযোজন আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৮
আমার ধারনাই সত্য হলো। সাকিব অনেক আগেই জানতো শাস্তি হবে। পাপনের কোন ষড়যন্ত্র নেই।
আজকের 'প্রথম আলো' থেকে হুবুহু তুলে দিলাম
বাজিকর দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে সাকিবের যে বার্তা আদান–প্রদান আইসিসি প্রকাশ করেছে, তাতে এগুলোকে আংশিক মনে হতেই পারে। সাকিবও বলেছেন আগারওয়ালের পাঠানো কিছু বার্তা তিনি আগেই মুছে ফেলেছেন। তবে আইসিসির তদন্ত কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরিই নিশ্চিত হয়েছেন যে আগারওয়ালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ব্যাপি হোয়াটসএপে যোগাযোগ ও বার্তা আদান-প্রদান ছাড়া আর কোনো বড় অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নন সাকিব। তাঁর ব্যাংক হিসাবে তাঁরা কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাননি।
ফিক্সিং বা বাজিকরদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সংশ্লিষ্টতা তদন্তের জন্য আইসিসির ১০ থেকে ১২ জনের একটি অভিজ্ঞ দল আছে, যাদের বেশির ভাগই ইংল্যান্ডের পুলিশ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা। যেকোনো দেশের যেকোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারেন তাঁরা। এমনকি কোনো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ঘটনা তদন্তেও তাঁদের সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হয় না। সাকিবের ব্যাপারটিও সেভাবেই তদন্ত হয়েছে, বিসিবিকে সবকিছুর বাইরে রেখে। এ বছরের জানুয়ারি ও আগস্টে যে তাঁরা দুবার বাংলাদেশে এসে সাকিবের সঙ্গে কথা বলে গেছেন, সেসবও বাংলাদেশের সবার অজান্তে এমনকি বিসিবির অজান্তে।
শাস্তি একটা হতে পারে এবং সেটির ঘোষণা আসতে পারে বাংলাদেশ দলের ভারত সফরের সময়, তা আইসিসির কাছ থেকেই জানতে পারেন সাকিব। আইসিসি তাঁকে পরামর্শ দেয় শাস্তি মেনে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আপাতত খেলা থেকে দূরে থাকতে।
অন্যদিকে সাকিবের একটা অনুরোধ ছিল, তাঁর শাস্তির সিদ্ধান্ত যেন বাংলাদেশ দলের ভারত সফরের আগেই জানানো হয়। তিনি চাননি সফরের মাঝপথে এটা হোক। কারণ, সেটি হতো তাঁর এবং দেশের ক্রিকেটের জন্য বেশি বিব্রতকর। সে জন্যই সফরের আগে শেষ দুই দিন অনুশীলন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন সাকিব।
সুত্র - view this link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১