"তুমি অবুঝ নও" শিরোনামটা এ কারণেই দিলাম কারণ তাদেরকে কিছু কিছু কুটিল, জটিল, হিংস্রাত্বক মনোভাব স্পর্শ করে না ওঁরা আমাদের চেয়ে অবশ্যই অবস্থান মনের দিক থেকে অনেক উচু অবস্থানে। আমি তাদেরকে অটিজম বা বিশেষ শিশু বলতে নারাজ। তারপরও বলতে হয়, অটিজম একটি বিকাশগত সমস্যা । যার কারণ , লক্ষন ও প্রতিকার আমরা কম বেশী সবাই জানি । আমি জানি যে, এ বিষয় নিয়ে অনেকেই সচেতন । কিন্তু আরও সচেতনতা প্রয়োজন । একটা সুস্থ শিশু আর বিশেষশিশুর আচরণ সমস্যা আকাশ পাতাল ফারাক নয়। একটা সুস্থশিশুও মাঝে মাঝে এমন আচরণ করে যার ভুক্তভোগী অনেক মা, বাবা । আমাদের দেশের সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন না, আবার উদাসীন ও না। এই সমস্যার সমাধান কোন ঔষধ না। সচেতন , কাউন্সিলিং, সাইকো থেরাপি, স্পিচ থেরাপি আরও অনেক প্রক্রিয়া যা শিশু বিকাশ কেন্দ্র (সরকারি) এবং প্রাইভেট সেক্টর এ দেয়া হয়।
আমার পরিচিত আমেরিকা জন্মনেয়া শিশুর ৩বছর পরে যখন বিহেভিয়ার প্রবলেম এবং ও কোন বাচ্চাদের সাথে মিশতে পারতো না, তখন ওকে আমেরিকার হসপিটালের একজন সাইকো থেরাপিস্ট ৩ মাস বাসায় এসে ( without any cost) প্রশিক্ষণ দেওয়ায় সেই শিশু (১০ বছর) আজ স্বাভাবিক একটা স্কুলে পড়ছে । এবার আমাদের দেশের একজন সফল মা 'এর কথাও বলি। মা ' সন্তানের এই অবস্থা দেখে চাকরী ক্যারিয়ার এর চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাচ্চার পিছনে লেগে থেকে আজ তিনি একটি সফল মেয়ের সফল মা । মেয়েটা এবার মেট্রিক পরীক্ষার্থী।
সিয়াম নামের তরুণ ছেলে যিনি অটিজমতাকে জয়ী করে পযর্টন করপোরেশন চাকরি করছেন। তিনি ড্যানি রহমান PFDA এর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এর একমাত্র ছেলে। এই মায়েদের হাজারো সালাম । সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে স্বাভাবিক জীবন সম্ভব। সাইকো থেরাপি বা স্পেশাল শিক্ষা দানের মাধ্যমে প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে অকুপেশনাল থেরাপিস্টের পরামর্শও আবশ্যক। বিশেষ স্কুলের পাঠদানের শেষে পুনরায় স্বাভাবিক স্কুলে পাঠদান সম্ভব। অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জীবনযুদ্ধকে সম্মান জানাই। সবশেষে বলি, একজন বিশেষ শিশুর সবার আগে প্রয়োজন সচেতন ও সহনশীল মা ও বাবা, যাদের যত্ন ভালোবাসা আর সচেতনতা পারে শিশুটির জীবন বদলে দিতে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬