তিলতিল করে ক্ষুদ্র থেকে সিন্ধুতে পরিণত হওয়া
বাঙালি জাতির ইতিহাসের-
একটা গৌরব বরাবরই দখলদারী ছিল,
বীর জাতি হিসেবে ছিলো বিশ্বের বুকে পরিচিতি।
সেই বীর জাতি-
কালের জাতাকলে দীর্ঘদিন প্রায়শ্চিত্ত করেছে-
কাল থেকে কাল পরাধীনতার শিকলে বাঁধা পড়ে;
অপরের গোলামী করে শোধ করেছে
নিজেদের বেঈমানীর কুফল,
ধীরে ধীরে মিলিয়ে গিয়েছিল গৌরব বীরত্বের।
বহুকাল,
বহুপ্রাণের বিনিময় আবারো ফিরে সেই গৌরব-
স্বাধীনতা আর সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাথে;
সে ছিলো এক মহান নেতার গুণ-নেতৃত্বের।
বর্বর পাক-জাতির হত্যাযজ্ঞ আর ধ্বংসাবশেষ
শূন্য থেকে শুরু হয় পথচলা আলোর দিকে-
সে ছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতৃত্ব।
যে মহান নেতৃত্ব ও নেতার নাম
শ্রদ্ধা ভরে ভালোবাসায় স্মরণ করে ইতিহাস-
'ইতিহাসের মহানায়ক-
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'।
যাঁর নেতৃত্বগুণে বাংলার সাত কোটি প্রাণে
ধ্বনিত হয় একই প্রতিধ্বনি-
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখে গেলেন-
ত্রিশলক্ষ শহীদের প্রাণ!
আমরা পেলাম স্বাধীন রাষ্ট্র- মুক্তির স্বাদ।
সেই ঐক্য সেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা-
সেই বলিষ্ঠ প্রতিবাদী ধ্বনি প্রতিধ্বনি-
শুনি না আর কোন হৃদয়ের,
ভাসে না দক্ষিণা হাওয়ায় সেইদিন থেকে;
যেদিন থেকে অকৃতজ্ঞতার চরম রূপ-
দেখিয়েছিলাম আমরা!
যেদিন-
যিনি নিজের সমস্ত জীবন
আমাদের চিন্তায় পার করে গেছেন,
পৃথিবীর বুকে একটা অবহেলিত জাতির জন্য-
একটা নির্দিষ্ট নিজস্ব সার্বভৌম দেশ এনে দিলেন;
যাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছিলাম একতা-
বীরত্বের মহা গৌরব,
তাঁকেই খুন করেছিলাম আমরা!
সেদিন থেকেই অন্ধকারে ডুবে গেছে
আমাদের আলো, শ্রদ্ধা-ভক্তি-বিশ্বাস;
হারিয়েছি প্রতিবাদী অন্তর, অহংকার-সত্যের।
শিহরিত হই বিস্ময়ে- কতটা অকৃতজ্ঞ হলে-
কোন জাতি খুন করতে পারে জাতিরপিতা!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫