somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিল্মালোচনা

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি শর্টফিল্ম/ডকুমেনট্রি’র প্রিমিয়ার শো চলছে।

ফিল্মটি বিদেশী গল্প “Put the social key” অবলম্বনে করা হয়েছে। যার বাংলা নাম “সামাজিক পুটকি”।

ওএস শটে দেখা যায় একটি নারী মাটির চুলায় রান্না করছে।
তারপর ক্যামেরা চলে যায় গ্রামের হাট বাজার, ধান ক্ষেতে।
ওয়াইড শটে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। সেখানে অনেক গরু-গাভী ঘাস খাচ্ছে। কিছু গরু গোয়ালে ফিরছে। ফোকাস হচ্ছে একটি বিশেষ গরুর উপর, যেটি এই ফিল্মের মূল চরিত্র।

এবার স্ক্রিনে শুধু মূল গরুটিকে প্রোফাইল থেকে দেখা যায়। ক্যামেরা গরুটির মুখ থেকে ধীরে ধীরে পশ্চাতদেশের দিকে এগিয়ে যায় [ট্রলি শট]।
পশ্চাতদেশ ক্রস করে খানিক দূরে চলে যায় ক্যামেরা। দেখে মনে হয় গরুটি কিছুটা টেনশনে আছে।
ক্যামেরা প্যান করে গরুর লেজের গোড়ার দিকে চলে আসে। দেখা যায় লেজটি জায়গা ছেড়ে একটু আলগা হওয়ার চেষ্টা করছে।
ক্লোজ শটে গরুর বাইনদুয়ার দৃষ্টিগোচর হয় ক্রমে। সেখানে অতি শ্লথ গতিতে সংকোচন প্রসারণ লক্ষ্য করা যায়।
অতপর দ্বার উন্মুক্ত হয়ে সেখান থেকে বর্জ্য নির্গত হয় থপ-থপ শব্দে।
এক্সট্রিম ক্লোজে সেই সংকোচন প্রসারণ আবার দেখা যায়। তবে এবার আগের চাইতে দ্রুত।

ঠিক এই সময় বেরসিকের মত বিদ্যুৎটা চলে গেল। আয়োজকরা ভাবলো, সময় নষ্ট না করে একটি কাজ করা যাক। উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ আলোচক আছেন। শর্টফিল্মটি যতটুকু দেখানো হয়েছে, ততটুকু পর্যন্ত আলোচনা করা যাক এই ফাঁকে।

সেই ধারাবাহিকতায় এক আলোচক আলোচনা শুরু করলেন।

“ফিল্মে শেষ বিকেল দেখানো হয়েছে কেন? কারণ, আমাদের সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় আমাদেরকে এক্কেবারে সবকিছুর পেছন দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডিরেক্টর এখানে দারুণ একটি ‘মন্তাজ’ উপস্থাপন করেছেন। সূর্য যেমন ডুবছে, তেমনি আমাদের সমাজও ডুবছে। হাঃ হাঃ হাঃ”।

এই পর্যায়ে তিনি তাঁর বাঁ হাতের সমস্ত আঙ্গুলের ডগাকে একত্র করে, দর্শকদেরকে তা দেখিয়ে, সেখানে কৃত্রিম সংকোচন প্রসারণ ঘটিয়ে, আবার বলা শুরু করলেন।

“এই যে গরুর পুটকির সংকোচন প্রসারণ, এর মানে কি?
এটা আসলে মেটাফোর হিসেবে দেখানো হয়েছে। আমাদের সমাজেও কি নৈতিকতার সংকোচন প্রসারণ চলছে না প্রতিনিয়ত”।

কারেণ্ট চলে এসেছে এই সময়ে।
ফিল্ম আবার শুরু হয়েছে। এবং শেষও হয়ে গেছে এক সময়।

অবশেষে বোঝা গেল, এটি একটি এনজিও’র তৈরী করা গরুর বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উত্পন্ন সংক্রান্ত ডকুমেনট্রি।

উল্লেখ্য অনুষ্ঠান শেষে সেই বিশিষ্ট আলোচককে সেখানে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।

[ এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে করতে পারেন, অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নাই ]
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×