বাজার থেকে সেই কবেই হাওয়া হয়ে গেছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, হেক্সিসল সহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে যা লাগে তার সবই।
অথচ ফেসবুকে বুষ্ট করা পেজের জ্বালায় হোম পেজ ব্রাউজ করা যায় না। শত শত কোম্পানি এসব বিক্রি করছে। এসব আপনাকে বাজারে গিয়ে কিনতে হবে না তারাই হোম ডেলিভারি দেবে।
তাহলে মার্কেটে নেই কেন?
কেন এই সংকট?
কারণ আছে।
'লোভ' হচ্ছে সে কারণ।
স্বার্থান্ধ এক জাতি হয়ে উঠেছি আমরা। বেদনার ব্যাপার হচ্ছে এবারই প্রথম দেখলাম শুধু আমরা নই প্যানিকড হয়ে এই কর্ম করেছে প্রায় বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ।
আমাদের দেশের অনেকের ভাব দেখে মনে হচ্ছে কাল পরশুর মধ্যে চাল ডাল পিয়াজ কেনাকাটিও শেষ করে ফেলবে। তারা ভাবেনি সবার সামর্থ্য নেই! এভাবে মজুদ করে ফেলা যে মঙ্গলজনক হচ্ছে না বরং এতে করে আমরা সকলেই যে বিপদে পড়তে পারি সেই ভাবনাটূকু নেই মনে! ইতিমধ্যে বাজারে আগুন। সব জিনিসের দাম চড়া। একা একা বাঁচতে চাওয়ার এই অভ্যাস আমরা রপ্ত করেছি ভালোভাবেই। তবে এতো কিছু বুঝলেও তারা বুঝতে পারে না করোনা ভাইরাস রোগটিই ছোঁয়াচে।
মানুষের জীবনই যদি না বাঁচে তবে টাকা দিয়ে কি হবে?
এই ভাইরাসকে রুখতে হলে প্রথমেই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের অতি অবশ্যই সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কিসের কি। সব চলছে হৈচৈ মুডে।
কাকে কি বলবো, আমরা সবাই একই দোষে দোষী!
সারা পৃথিবী থমকে গেছে।
আমাদের হুশ নেই!
দুর্ভাগ্যজনক।
কিছু করার 'সময়' কি অবশিষ্ট আছে?
খুব অবাক হই এই ভেবে যে, এই বাংলাদেশ নিয়েই জীবনানন্দ দাশ একদিন লিখেছিলেন:
এই পৃথিবীর এক স্থান আছে - সবচেয়ে সুন্দর করুণ
সেখানে সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে মধুকুপী ঘাসে অবিরল,
সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল।
আমাদের সেই দেশটি কই? মানুষগুলো এমন বদলে গেলো কিভাবে?
যাযাবর প্রজাপতি উড়ে যায়। এই নগরে ভাটফুলের রেণু কোথায়...
নীলসাধু
.
.
#নগরে_সাধু
২০০৩২০২০
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯