“Rivers do not drink their own water; trees do not eat their own fruit; the sun does not shine on itself and flowers do not spread their fragrance for themselves. Living for others is a rule of nature. We are all born to help each other. No matter how difficult it is. Life is good when you are happy; but much better when others are happy because of you.”
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এক রঙা এক ঘুড়ির ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হলো গত ১৮ই নভেম্বর। এলিফ্যান্ট রোডের কবিতা ক্যাফেতে ঘুড়ি স্কুলের শিশুদের সাথে নিয়ে এই আয়োজনে আমরা সময় কাটিয়েছি।
বাংলা ব্লগের শুরুর সময়ে ঘুড়ির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
২০০৮ সালে।
ঘূড়ির এই দীর্ঘ পথচলায় ব্লগের অনেকের সহায়তা সহযোগিতা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।
দীর্ঘ একটা সময় আমরা পার হয়ে এসেছি। গত করোনাকালে দেশ ও দেশের বাইরেও ঘুড়ির কার্যক্রমের কথা ছড়িয়ে গেছে। আমরা নিজেরাও কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছিলাম। শিশু অধিকার ও সুরক্ষায় আমরা আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবো এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন সমাপ্ত হয়।
গত ১৪ বছরে আমরা কী করেছি?
০১- দেশের বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত্ জেলা শহরে আনুমানিক সাড়ে চার হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
০২- করোনাকালে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ১০ হাজার ৫০০ শিশু ও মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
০৩- করোনাকালে শিশুদের মাঝে ৫ বার প্রায় ৩০০ শিশুর পরিবারকে ত্রাণ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
০৪- করোনাকালে সর্বমোট ৭০০ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
০৫- রক্ত ও জরুরী ঔষধ সরবরাহ করেছি।
০৬- করোনাকালে ১৪২ টি মধ্যবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
০৭- ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে একাধিকবার স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজন করেছি আমরা। ১৫০০ এর বেশি শিশু ও অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরী ঔষোধ দেয়া হয়েছে।
০৮- দুস্থ কয়েকজনের চিকিতসায় সহায়তা তাদের পাশে থেকেছি আমরা।
০৯- ঢাকায় একটি স্কুল পরিচালনা করছি আমরা যেখানে বিনা বেতনে বস্তি ও পথে থাকা শিশুরা পড়ছে। সকল কিছু ফ্রি।
১০- ঢাকা মহানগরীতে ফল উতসবের নামে যে আয়োজনটি এখন হয় তার শুরুটা করেছিলাম আমরা এক রঙা এক ঘুড়ি। আমরা টানা ৩ বছর প্রায় ২২০০ শিশু ও দুস্থ মানুষকে ফলমূল প্রদান করেছি।
মোটা দাগে এগুলো আমাদের কাজের ফিরিস্তি। এ ছাড়াও আরো নানাবিধ হাবিজাবি কাজে আমরা যুক্ত ছিলাম। আগামীতেও এগুলো আরো জোরেশোরে চালু থাকবে পাশাপাশি আরো কিছু উদ্যোগে আমরা যুক্ত হবো এই আশা রাখছি। শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় আমরা অবদান রেখে যেতে চাই।
ভালো থাকবেন সকলে।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬