somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায় কি সঠিক বলে মনে করেন আপনি?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অপরাদতত্ত্বে একটা কথা আছে, কোন লোক কাউকে খুন করলে সে যত সাবধানতার সহিত হত্যাকাণ্ডটি করুক; সে লোকটি কোনো না কোন ক্লু অবশ্যই রেখে যাবে। এতবড় হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্র, ক্ষমতায় থাকা বিএনপি এত পরিমান ক্লু রেখে গেছে তাতে অপরাধীদের চিহ্নিত করা খুবই সহজ। রাষ্ট্রযন্ত্র ক্ষমতায় থাকা দলটির সাথে যেভাবে বিলীন হয়ে গিয়েছিল তা সত্যিই আশ্চর্যের, বিস্ময়ের!
আপনি যদি ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলাটি দেখেন এর উপর প্রাপ্ত তথ্য গুলোকে নিজের লজিক দিয়ে খন্ডন করেন তাহলে অবশ্যই এই রায়টিকে সঠিক বলে মেনে নিবেন। শুধু দুইটি জিনিস আপনি নিজের লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করেন; জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় এবং জজ মিয়াকে তথা গ্রেনেড হামলাকারীকে আটক করার জন্য তৎকালীন তিন কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর কর্তৃক ঘোষিত এক কোটি টাকা পুরুস্কার হিসেবে দেওয়া! এছাড়া শেখ হাসিনা তার ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতরে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন বোনাস হিসেবে বেগম জিয়ার একটা উক্তি এর সাথে জুড়ে নিতে পারেন। এগুলি এনালাইসিস করে আপনি নিজেই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন খুব সহজেই।
তবে আপনি যদি এখনো মনে করে থাকেন জজ মিয়াই গ্রেনেড হামলাকারী তাহলে রায়টিকে আপনার কাছে সঠিক হয়েছে বলে বিশ্বাস করানোটা অসম্ভব এবং আপনি তারেক জিয়াকে আপনার জীবনের আদর্শ মনে করে থাকবেন।
যাইহোক আমরা সবাই মোটামুটি জানি রাষ্ট্রের প্রশাসন যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে তাদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তবে এই রায়ের পর দেখলাম আসলে কতটা একাকার হয়ে যায়! রাষ্ট্র বলে সেখানে যেন আলাদা কোনো সত্তা ছিলনা। এগুলো খবুই ভয়ঙ্কর ব্যাপার স্যাপার এবং এসব এখনো বন্ধ হয়নি যা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কথা। এটা একটা ভয়ংকর রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যাধির নির্দেশক।
২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায়টি আমাদের জন্য মাইলফলক তবে দেশের ক্ষমতায় থাকা দল ও রাষ্ট্র যে দুইটি আলাদা সত্তা এটা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারলেই সত্যিকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×