ব্লগে এবং ফেইসবুকের অনেক পুরনো লেখা পড়বেন, যেখানে বিএনপির নেতৃত্ব সংকট, আন্দোলন, কর্ম পরিকল্পনার সমালোচনা অথবা কটাক্ষ করে কেউ পোষ্ট দিয়েছে। পোষ্ট গুলি পড়ার পর সেগুলির নিচে মন্তব্য গুলি পড়বেন, সেখানে দেখবেন বিএনপির এই সমস্যা গুলি অনেকে মানতে একেবারেই নারাজ ছিলেন। কেউ কেউ আবার উল্টো আওমীলীগই এসব সংকটে আছে বলে পাল্টা যুক্তি ছুড়ে দিয়েছে।
আজকে এই সময় এই ধরণের পোষ্ট দিলে এর বিরোধিতা কেউ সরাসরি করবে না, শুধু এর জন্য আওমীলীগকে দায়ী করবে এবং এগুলির জন্য আওমীলীগকে পস্তাতে হবে বলে মন্তব্য দিবে।
বেগম জিয়া কারাবন্ধী হওয়ার সাত দিন আগে বিএনপির গঠনতন্ত্রের (৭,ক) একটি সংশধনী করে গেছেন। সেখানে বলা হয়েছিল "দুর্নীতির দায় প্রমাণিত ব্যক্তি বিএনপির কোন পর্যায়ের কমিটি ও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।" বাংলাদেশ আইনে ফৌজদারি মামলায় কেউ ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে এবং সাজা শেষ হওয়ার পর আরো ৫ বছর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
যাইহোক বিএনপির এই গঠনতন্ত্র সংশোধনের কারণে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএনপি'র একজন কর্মী মোজাম্মেল হোসেন উনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন বিএনপির গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি না মোজাম্মেল হোসেন একজন বিএনপি'র কর্মী, বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে না হলেও বেগম জিয়াকে ভালবাসলেও এরকম আবেদন করতে পারতেন না উনি। তবে যেই করুক আবেদনটি ঠিক আছে, এখন দেখার বিষয়, মওদুদ, খন্দকার মাহবুব, জয়নাল সাহেবরা মিলে আইনের কোন ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে এটাকে হালাল করতে পারেন কিনা। তারেক জিয়া ও বেগম জিয়াকে তাদের নেতার আসনে ধরে রাখতে পারেন কিনা।
তবে আপাতত খোলা চোখে যেটা দেখা যাচ্ছে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে নেতৃত্বে থেকে বাদ না দিলে নির্বাচন কমিশন তাদের গঠনতন্ত্র গ্রহণ করার কোন উপায় খুঁজে পাবে না। কেননা এমতবস্থায় বিএনপির এই গঠিনতন্ত্র গ্রহণ করলে দুর্নীতির সাথে নির্বাচন কমিশনের আপোস করার শামিল হবে।
এই অবস্থায় বিএনপির কি করনীয়? আমাকে যদি বলেন আমি বলবো বিএনপির উচিত হবে নির্বাচন বর্জন করা কেননা বেগম জিয়া আর তারেক জিয়া ছাড়া বিএনপি এর চেয়ে ভালোভাবে কেউ চালাতে পারবে না!
আপনি কি অন্যকিছু ভাবছেন?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫