রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে আর কোন লাভ হবে না। মিয়ানমারের জেনারেলের বাচ্চাগুলি এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। শুধু শুধু এসব বৈঠক করে কালক্ষেপন হচ্ছে,সমস্যা সমাধানের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে মিয়ানমারের সাথে আর কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সমঝোতার চেষ্টা না করা। এখন থেকে বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা।
সর্বশেষ যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা ছিল, সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল চীনারা। এই পৃথিবীতে চীনারা ব্যবসা ছাড়া আর কোন কিছুই বুঝেনা, এরা সারা পৃথিবীতে গারবেজ বিক্রি করে ভরিয়ে ফেলেছে, এরা হন্য হয়ে সারা পৃথিবীতে ব্যবসায়িক বাজার খুঁজছে। এগুলোকে মানুষ বলা যায় না, এরা আধা মানুষ আধা রোবট।
চীনাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বাংলাদেশের আর বিশ্বাস করা উচিত নয়। মায়ানমারের চীনা রাষ্ট্রদূত যখন বলেছে, তারা মায়ানমারের সাথে আছে; সেই হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হবে চীনের সাথে সাথে বিশ্বের আরো প্রভাবশালী যেসব দেশ আছে তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চাওয়া।
এই রোহিঙ্গা বিতাড়নের পিছনে চীনাদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। আরাকানে চীনারা বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট করেছে, এখানে তারা পোর্ট করছে, অপরিশোধিত তেলের পাইপলাইন বসিয়েছে, এর আশেপাশে অনেকগুলো শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছে। তাই এদের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য ধর্ণা দেওয়া খুব বেশি উপকারে আসবে না। এরা নিজেদের ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিবে এবং চাইবে না রোহিঙ্গারা ফিরে আসুক তাদের ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটুক।
আপাতত বাংলাদেশের এখন যে জিনিসটা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি সেটা হচ্ছে মায়ানমার সফরে যাওয়া। কোন দেশের সাথে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য যখন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় এবং সে সমস্যা সমাধানের যদি অগ্রগতি না হয়, তাহলে সেই চুক্তির আওতায় উভয় দেশ উভয় দেশে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে।
এখন বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে অতি শীঘ্রই একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাক। সেই প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করবে, সেখান থেকে জানিয়ে দেবে এই হারামির বাচ্চা গুলো সেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার মতো কোনো ব্যবস্থা করেনি। যুদ্ধবন্দীদের যেরকম ভাবে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয় শুধুমাত্র সে রকম কিছু ব্যবস্থা করেছে। মগের বাচ্চা গুলো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কোনভাবেই আন্তরিক নয়।
এরপর সেই প্রতিনিধিদলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত এসব দেশকে দিয়ে কূটনৈতিক ভাবে চেষ্টা করা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে জরুরী কার্যকর পরিষদের বৈঠক আহ্বানের।
অন্যথায় যত দেরি করা হবে সমস্যা ততই নাগালের বাইরে চলে যাবে।
আরেকটা কাজ অতি দ্রুত করতে হবে, ক্যাম্পের ভিতর থেকে সব এনজিও ফেনজিওর লোক গুলোকে লাথি মেরে বের করতে হবে। ক্যাম্পের ভিতরে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করতে হবে, এতে জাতিসংঘের জরুরী কার্যকরী পরিষদ বৈঠকের আহ্বান এর ব্যাপারটি ত্বরান্বিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩