গত দেড় মাসে ঢাকা শহরের মত একটি ব্যস্ত শহরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বেশ কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের জাতীয় কাউন্সিল করেছে। সম্ভবত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাউন্সিল এখনো বাকি। তবে সেগুলো খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে।
ঢাকা শহরের কর্মব্যস্ততা ও যানজট সম্পর্কে মোটামুটি সবারই ধারনা আছে। মেট্রোরেলের চলমান কাজের জন্য গুলিস্তান থেকে মিরপুরে যাওয়া আসায় মোটামুটি ঘন্টা তিন-চারেকের ব্যাপার। এরকম ব্যস্ত সড়কের পাশে কিছুদিন পর পর এমন মহাসমাবেশ করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে যায়।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এখন যে অবস্থানে আছে এই অবস্থান থেকে এরকম মহাসমাবেশ করে এসব অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্তের ঘোষণা না দিলেও চলবে। একান্তই যদি দিতে হয়, তাহলে কোন বড় ধরনের কনফারেন্স হলের ভিতর অথবা ঢাকার বাইরে এমন সমাবেশের আয়োজন করে ঘোষণা দিতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এসব মহাসমাবেশে যারা অংশগ্রহণ করে এরা কোন না কোনভাবে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে অথবা হওয়ার আশায় আছে। এই ধরনের সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে, যানজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। উপরন্ত এগুলো মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সরকার এবং দল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়। এছাড়াও জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচলের প্রতি সরকারের আন্তরিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এরপরেও যদি এমন সমাবেশ ঢাকার ভিতরে করতেই হয় তাহলে সবগুলো অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ত্বের ঘোষণা একটি সমাবেশের মাধ্যমে দিয়ে দিতে পারে। এতে সময় এবং অর্থের সাশ্রয় দুটোই হবে। এক সমাবেশের ভিতরে সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বের ঘোষণা আসলে, নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর নাখোশ হবেন না, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবেন না। শেখ হাসিনা চাইলে এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব। সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ কমাতে শেখ হাসিনা এমন উদ্যোগ নিলে আশাকরি সকলেই খুশি হবে।তাই আগামীতে আওমীলীগের সব অঙ্গসংগঠনের কাউন্সিল একটি সমাবেশের ভিতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪