বাংলাদেশ সরকারের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। প্রথমদিকে সরকার এর প্রকোপ কিংবা ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পেরেছে তখন মোটামুটি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। গরিব দেশ, যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে করা যায় সেভাবে করার চেষ্টা করেছে। তবে সাধারণ মানুষ সরকারকে সাহায্য করেনি। সবচেয়ে অসহযোগিতা করেছে মোল্লারা।
বাংলাদেশের মানুষ মোল্লাদের কথা যতখানি মানে,শুনে সরকারের কথা তার অর্ধেকও শুনেনা। মোল্লারা প্রথম থেকেই মাঠে খুব সরব ছিলো, মানুষকে ভুল মেসেজ দিতে থাকে। ভাইরাস কি, কিভাবে ছাড়ায় এই সম্পর্কে না জেনে গায়েবী ফর্মুলা দিতে থাকে। মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে মনের আনন্দে রাস্তায় ঘুরাঘুড়ি করতে থাকে আর সরকারকে জালেম, নাস্তিক বলে গালাগাল করতে থাকে।
শেখ হাসিনা কোন সভা করলে মানুষকে টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসা লাগে কিন্তু মোল্লাদের সভায় মানুষ নিজ থেকে আসে। যেখানে মানুষ নিজ থেকে যায় সেখানের কথাবার্তা মানুষ মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং বেশি বিশ্বাস করে। কিন্তু আমাদের মোল্লা, হুজুররা বিজ্ঞান বুঝে কম, এরা বাস্তবিক ব্যাপার গুলো ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে অলৌকিক করে ফেলে। এই অলৌকিক কথাগুলো বিশ্বাস করে মানুষ বাড়ি ফিরে যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়।
যদি আমাদের মোল্লারা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাবলী তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে প্রচার করতো তাহলে খুব সহজেই এদেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। যাইহোক, করোনা ভাইরাস মোল্লাদের অনেক কথাই ভুল প্রমান করে দিয়েছে। মানুষ কিছুটা হলেও এখন মোল্লাদের এসব আজগুবি কথা শুনলে কপালে ভাঁজ ফেলে। আগামী অনেকদিন মোল্লাদের মার্কেট নিচের দিকে থাকবে।
তবে সত্য এই যে এসব মোল্লাদের কারণেই আমাদের কমিনিউটি ট্রান্সমিশন দ্রুত হয়েছে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৫