somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশিষ্ট নারীবাদী শিক্ষাবিদ বীণা মজুমদারের ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভারতীয় নারীবাদী প্রমিলা শিক্ষাবিদও বামপন্থী কর্মী বীণা মজুমদার। ভারতে নারী আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ভারতে নারীদের গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। প্রথম মহিলা শিক্ষাবিদ হিসেবে সক্রিয়তার পাশাপাশি নারী গবেষণায় পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারতে নারীদের মর্যাদাবিষয়ক প্রথম কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে টুওয়ার্ডস ইকুয়ালিটি শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশের নারীদের অবস্থার বিষয়ে তুলে ধরেন। ১৯৮০ সালে ভারতীয় সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার (আইসিএসএসআর) অধীনে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা সেন্টার ফর ওম্যানস ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (সিডব্লিউডিএস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া তি্ি দিল্লিভিত্তিক ওম্যানস ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সেন্টারের জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন। ২০১০ সালে তিনি স্মৃতিকথাভিত্তিক মেমরিজ অব এ রোলিং স্টোন প্রকাশ করেন। আজ শিক্ষাবিদ বীণা মজুমদারের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৭ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে নারী আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বীণা মজুমদারের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


বীণা মজুমদার ১৯২৭ সালের ২৮ মার্চ ভারতের কলকাতার মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠা ছিলেন। তার বাবা প্রকাশ মজুমদার পেশায় প্রকৌশলী ছিলেন। তার কাকা আর.সি. মজুমদার সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসবেত্তা ছিলেন। কলকাতার সেন্ট জোন্স ডাইওসিসান গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে বিদ্যালয় জীবন পার করে বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ওম্যানস কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে আশুতোষ কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে অবস্থানকালে আশুতোষ কলেজ গার্লস স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। কলেজে থাকাকালীন রামা রাও কমিটির সমর্থনে সভা-সমাবেশ আয়োজন করেন। ঐ কমিটি উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কন্যাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের অল্প কিছুদিন পর অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন ও সেখান থেকে ১৯৬২ সালে ডি.ফিল সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে বীণা মজুমদার ১৯৫১ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে বর্ণাঢ্যময় কর্মজীবন শুরু করেন। অল্প কিছুদিন পরই পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রথম সচিব হন। পরবর্তীতে বারহামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সচিবালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এপ্রিল-ডিসেম্বর, ১৯৭০ সময়কালে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও সামাজিক পরিবর্তন শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য শিমলায় ভারতীয় এডভান্স স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের ফেলো মনোনীত হন। ১৯৭১-৭৪ সময়কালে ভারতের মহিলাদের মর্যাদাবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালে এ কমিটি ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ছিল। তাকে সাথে নিয়ে কমিটি পুণর্গঠিত হয় ও পরবর্তীতে সদস্য সচিবরূপে নিযুক্ত করে।


ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫২ সালে প্রথিতযশা সঙ্গীতজ্ঞ শঙ্কর মজুমদারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন বীণা মজুমদার। পাটনায় কর্মরত অবস্থায় তারা একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। বিয়ের পর ‘মজুমদার’ বানান সংশোধন করনে। এ দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। তিন কন্যা ও এক পুত্রের মধ্যে এক কন্যা মার্কসবাদী ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সীতারাম ইয়েচুরি’র সাবেক স্ত্রী ছিলেন। ৮৬ বছর বয়সে স্বল্পকালীন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ মে, ২০১৩ তারিখে দিল্লির একটি হাসপাতালে তার দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি তার সন্তানদের রেখে গেছেন। আজ শিক্ষাবিদ বীণা মজুমদারের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। ভারতে নারী আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বীণা মজুমদারের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×