আমাদের সমাজে আদর্শ, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এই শব্দগুলো অহরহ ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে এগুলোর প্রকৃত অর্থ ও তাৎপর্য না জেনেই শব্দগুলো ব্যবহার করে থাকি। সাধারণের কাছে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পার্থক্য নজরে পড়ে না। আমরা দুটোকে এক মনে করি। কিন্তু বিষয় দুটি সম্পূর্ণ আলাদা এবং সুনির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে। মূল্যবোধ সামাজিকভাবে নির্দিষ্ট আবর্তে বিদ্যমান। যা শুধু স্থান ভেদে পরিবর্তিত হয়। নীতি থেকে বিচ্যুত জীবন কখনো নৈতিকতা সম্পন্ন জীবন হতে পারে না। তাই গভীর তাৎপর্যবাহী শব্দগুলোর ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সুখের দিশারী অথবা সমস্যাসৃষ্টিকারী আচার-আচরণ কীরকম হবে তার ইঙ্গিত দেয় নৈতিক মূল্যবোধের নির্দেশিকা সমূহ। কতিপয় মানুষ মনে করেন যে- আমাদের প্রচুর ধনসম্পত্তি ও ক্ষমতা থাকলেই জীবন সফল। কিন্তু আমরা সেসব পেলেও সন্তুষ্ট হই না এবং এগুলি হারানোর ভয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকি। আমরা যত বেশি পাই, বিশেষ করে অপরকে বঞ্চিত করে যখন পাই, আরও বেশী শত্রুর সৃষ্টি করি। আমাকে কেউ পছন্দ করে না- এমন কথা যখন কেউ বলবে না, তা হবে সফল জীবন। আমরা যদি বহু মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে পারি এবং মানুষ যদি আমাদের উপস্থিতিতে সুখী হয়, তবে সেটি হল সফল জীবন। সেক্ষেত্রে আমাদের কত টাকা ও ক্ষমতা আছে তা বিচার্য্য নয়। যাই ঘটুক না কেন আমরা মানসিক সহায়তা পাবো। আর তা সেসবের মোকাবিলায় শক্তি যোগাবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে জনপ্রিয় কথাশিল্পী আনিসুল হক একবার বলেছিলেন, বুয়েটের কোনো এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল চাকরি জীবনে তাদের মধ্যে কে কে ঘুষ খাবে? উত্তরে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হাসতে হা বোঝা যাচ্ছে, সুযোগ পেলে তারাও হয়তো ঘুষ হাতছাড়া করবে না। ধরে নেয়া হয়, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়, তারাই যদি ঘুষ নেয়ার মতো গর্হিত কাজকে স্বাভাবিক মনে করে, তাহলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আমরা তাদের কী শিক্ষা দিচ্ছি?
মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে বড় পার্থক্য হল, মানুষ নৈতিকতাসম্পন্ন জীব, অন্য প্রাণী তা নয়। ন্যায় আর সত্যের পথ অনুসরণ করে অন্যের ক্ষতি না করে যতটুকু সম্ভব উপকার করা, অপরের কল্যাণ করা প্রতিটি নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের কাজ। নৈতিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সততা, মহত্ত্ব, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা। লোভ-লালসা, উচ্চাভিলাষ ও বিবেচনাহীন জৈবিক কামনা মানুষকে অসৎ পথে পরিচালিত করে। ফলে সমাজ ও দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু আমরা নৈতিকতা আর মূল্যবোধকে এক করে সত্যিকারের নৈতিকতা থেকে দূরে সরে পাশ্চাত্যের সামাজিক মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নৈতিক মূল শিক্ষা থেকে এক ধরনের বন্য জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজছি। ভিক্টোরিয়ান যুগের শিক্ষা দর্শনে Spare the rod spoil the child নীতির প্রচলন ছিল। তখন মনে করা হতো কঠোর অনুশাসনের মধ্যে না রাখলে শিশু-কিশোররা পথভ্রষ্ট হয়,পড়াশোনায় অমনোযোগী হয় এবং ভালো করে পাঠ আত্মস্থ করতে পারে না। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে শিক্ষা সম্পর্কে এ ধরনের কঠোর চিন্তাভাবনা দূর হয়েছে। পরিবারে মা-বাবার সঠিক নির্দেশনা পেলে একটি শিশু ছোট থেকেই ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। আর পরিবারে মা-বাবা যদি শিশুর বিকাশকালে তার আবেগ, মন, আচরণ সম্পর্কে অপরিপক্ব থাকে, তাহলে সেই পরিবারে শিশুর বিপথগামিতার আশঙ্কা থাকে বেশি। বাবা-মা, বা পরিবারের অন্য সদস্যদের অসদাচরণ, মিথ্যাচার, দুর্নীতিপরায়ণতা, ভারসাম্যহীন ব্যবহার শিশু-কিশোরকে বিপথগামী করে তোলে। প্রতিটি ধর্মেই রীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের কথা বলা হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে। কারণ মানবজীবনের উন্নয়নে ও মানবকল্যাণের সব বিষয়ের প্রধান নির্ণায়ক হল নীতি ও নৈতিকতা। নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে প্রাতঃস্মরণীয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি সহজবোধ্য গল্প আছে। আমার বিশ্বাস অনেকেরই এ গল্পটি জানা। যাদের জানা নাই তাদের জন্য গল্পটি সংযোজন করলাম।
গরিব একটি ছেলে কোনো অবস্থাপন্ন লোকের বাড়িতে কাজ করত। ঘরদোর মোছা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। একদিন কাজ করার সময় নির্জন ঘরে অনেক সুন্দর ও মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রীর মধ্যে একটি সোনার ঘড়ির প্রতি তার নজর পড়ে।
সে ঘড়িটি হাতে নেয়। আহা, হীরাখচিত কী সুন্দর ঘড়ি! মূল্যবান ঘড়িটি ছিল গৃহকর্তার খুবই শখের বস্তু। ঘড়িটির প্রতি তার লোভ হল, একবার হাতে নেয়; পরক্ষণেই আবার জায়গা মতো রেখে দেয়। লোভ ক্রমে বাড়তে থাকলে মনস্থির করে সে ঘড়িটি চুরি করবে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বোধোদয় হল যে লোভ সংবরণ করতে না পেরে ঘড়িটি নেওয়া মানে চোর হওয়া। চুরি করে ধরা পড়া মানে শাস্তি পাওয়া, শাস্তি ভোগ করা। আর আমি চুরি করে মানুষের হাত এড়িয়ে যেতে পারলেও ঈশ্বর তো একজন রয়েছেন।
মায়ের কাছে অনেকবার শুনেছি যে আমরা তাকে দেখতে পাই না বটে; কিন্তু তিনি সবখানে বিরাজমান এবং সবকিছুই প্রত্যক্ষ করছেন। তার অগোচর বা অজানা কিছুই নেই।
এসব বলতে বলতে তার মুখ মলিন হল এবং সারা শরীর কেঁপে উঠল। তখন সে ঘড়িটি যথাস্থানে রেখে দিয়ে বলতে লাগল- লোভ করা খুবই মন্দ কাজ, লোকে লোভ সংবরণ করতে না পারলেই চোর হয়। আমি চোর হব না। চোর হয়ে ধনী হওয়ার চেয়ে সৎপথে থেকে গরিব থাকা অনেক ভালো।
তাতে চিরকাল নির্ভয়ে ও সুখে থাকা যায়। চুরি করতে চাওয়াতেই আমার এত মনোযন্ত্রণা হল, চুরি করলে না জানি আরও কী হয়। এই বলে সেই সুবোধ, শান্ত, সচ্চরিত্র ও গরিব ছেলেটি আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে ঘরদোর পরিষ্কারে মনোনিবেশ করল।
গৃহকর্তা এ সময়ে পাশের ঘরে থেকে ছেলেটির সব কথা শুনতে পেয়েছিলেন। তিনি পরিচারিকার মাধ্যমে ছেলেটিকে তার সামনে ডেকে পাঠান। সস্নেহে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কী কারণে আমার ঘড়িটি নিলে না?’
ছেলেটি হতবুদ্ধি হয়ে গেল, কোনো জবাব দিতে পারল না; কেবল মাথানত করে করুণ দৃষ্টিতে গৃহকর্তার মুখের দিকে চেয়ে রইল। ভয়ে তার সর্বাঙ্গ আড়ষ্ট হল, চোখে পানি ছল ছল করছে।
তাকে এরূপ দেখে গৃহকর্তা সস্নেহে বললেন, ‘তোমার কোনো ভয় নেই, তুমি এমন করছ কেন? আমি তোমার সব কথা শুনেছি এবং শুনে তোমার প্রতি কী পরিমাণে সন্তুষ্ট হয়েছি তা মুখে প্রকাশ করতে পারব না। তুমি গরিবের সন্তান বটে; কিন্তু আমি কখনও তোমার মতো সুবোধ ও ধর্মভীরু ছেলে দেখিনি। ঈশ্বর অল্প বয়সেই লোভ সংবরণ করার যে শক্তি তোমাকে দিয়েছেন সেজন্য তাকে প্রণাম কর ও কৃতজ্ঞতা জানাও।’ অতঃপর তিনি ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে তার হাতে কিছু টাকা দেন এবং বলেন, ‘এখন থেকে তোমার আর ঘর পরিষ্কার ইত্যাদি নীচ কাজ করতে হবে না। তুমি বিদ্যাভ্যাস করলে আরও সুবোধ ও সচ্চরিত্রবান হতে পারবে। আমি তোমার লেখাপড়া ও যাবতীয় খরচ বহন করব।’ নিজ হাতে তিনি ছেলেটির চোখের পানি মুছে দিলেন।
গৃহকর্তার মুখে এমন সব কথা শুনে ছেলেটির চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু বইতে থাকে। পরদিন সে বিদ্যালয়ে ভর্তি হল এবং নিজ চেষ্টায় অল্পদিনে লোকসমাজে বিদ্বান, চরিত্রবান ও ধর্মপরায়ণ বলে গণ্য হয়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে সংসারযাত্রা নির্বাহ করতে লাগল।
দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের চারদিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও উন্নতির কোনো সীমা-পরিসীমা না থাকলেও নীতি ও মূল্যবোধের দিক দিয়ে আমরা বেশ পিছিয়েই রয়েছি।
আজকাল মূল্যবোধ শব্দেরও ব্যাপক ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়। এই শব্দের অর্থ মানুষের আচরণ পরিচালনকারী নীতি ও মানদণ্ড। মানুষের আচরণের মানদণ্ড বিশ্বাস ও নীতির ওপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সব মানুষের বিশ্বাস একই হয় না। একজন ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষ ইসলামের আদর্শিক বিশ্বাসের ভিত্তিতেই মূল্যবোধ নির্ণয় করে। ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তি অপরকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সালাম দিয়ে থাকে। অপর দিকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে অপরকে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী মানুষেরা নিজেদেরকে ‘স্রষ্টার প্রতিনিধি’ বলে মনে করে থাকে। সে কারণে স্রষ্টার দেয়া ইসলামী বিধানের আলোকে তার মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে মূল্যবোধের ধারক ও বাহক কখনো স্রষ্টার বিধানের বাইরে জীবনকে পরিচালিত করতে পারে না। মানুষ সামাজিক জীব। বাঁচতে গেলে আমাদের অপরের সহায়তার প্রয়োজন। এ শুধু সদ্যজাত শিশু বা সেবা কেন্দ্রের জরাগ্রস্ত বৃদ্ধের কথা নয়, বরং জীবনভর আমাদের অপরের সেবা যত্ন প্রয়োজন হয়। ভালবাসা ডোরে বাধা বন্ধুত্ব থেকেই আমরা মানসিক ভরসা পাই এবং সেটাই জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলে। যাদের সঙ্গেই আমাদের দেখা হোক না কেন, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তুলতে চাই সামর্থ । নৈতিকতার গভীর বিশ্বাস সেই সামর্থ দেয়। আজকাল মূল্যবোধ শব্দের ব্যাপক ব্যবহারও লক্ষ করা যায়। এই শব্দের অর্থ মানুষের আচরণ পরিচালনকারী নীতি ও মানদণ্ড। মানুষের আচরণের মানদণ্ড বিশ্বাস ও নীতির ওপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সব মানুষের বিশ্বাস একই হয় না। একজন ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষ ইসলামের আদর্শিক বিশ্বাসের ভিত্তিতেই মূল্যবোধ নির্ণয় করে। ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তি অপরকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সালাম দিয়ে থাকে। অপর দিকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে অপরকে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী মানুষেরা নিজেদেরকে ‘স্রষ্টার প্রতিনিধি’ বলে মনে করে থাকে। সে কারণে স্রষ্টার দেয়া ইসলামী বিধানের আলোকে তার মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে মূল্যবোধের ধারক ও বাহক কখনো স্রষ্টার বিধানের বাইরে জীবনকে পরিচালিত করতে পারে না।
বর্তমান সমাজে নানারকম দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটায় নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটেছে। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে দুর্নীতির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কোনো রকম অন্যায়ই যেন আজ অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না। নীতিভ্রষ্ট মানুষ নিজেকে অপরাধী বা হীন বলে গণ্য করে না। দুর্নীতির মাধ্যমে বিত্তশালী হয়েও সংকোচবোধ করে না, বরং অর্থের অহংবোধে গৌরবান্বিত হয়। সুস্থ, চরিত্রবান ও আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার জন্য সকল প্রকারের অপরাধ নির্মূল করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে জাতীয় জীবন থেকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সমাজের সর্বস্তরের দুর্নীতির অবসান ঘটাতে নৈতিকতা চর্চা প্রয়োজন। সমাজ জীবন থেকে অনৈতিকতা ও মূল্যবোধহীনতা দূর করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এর মোকাবেলা করতে হবে। সাধারণ জনগণকে নৈতিকতার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সর্বোপরি আপামর জনগণের মধ্যে সচেতনতার জোয়ার সৃষ্টির প্রয়োজন হবে। সমাজে, দেশে, রাষ্ট্রে ও জাতিতে সব প্রকার বিভেদ, অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে। অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রশাসনিক কাজে নীতিবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। একথাও স্মরণ রাখতে হবে যে, সুন্দর, সফল, কল্যাণকর ও সুখী সমাজ গঠন করার জন্য কেবল বৈষয়িক শিক্ষা নয়, ইসলামের নৈতিক শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। কারন একটা দেশ, জাতির জন্য নীতি, নৈতিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সুখের চাবিকাঠি হল নীতি,নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৬