ভাল চিন্তাগুলিকে ডাইরিতে বেঁধে রাখুন। ডাইরীবন্দী ভাল চিন্তা গুলি পোষ মেনে গেলে আর চলে যাবেনা আপনাকে ছেড়ে। আর অপবিত্র চিন্তারা এসে দেখবে, এখানে পবিত্রতার স্বর্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত। ওরা ফিরে যাবে অন্যত্র। আপনার মনের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পাবে শুধু সুচিন্তারাই। মনীষীরা বলেন, “চিন্তা থেকেই কাজের উৎপত্তি।” আর আমরা জানি কাজই মানুষকে বড় কিংবা ছোট করে।
কথা বলার শক্তি ফুরানোর আগেই কিছু বলে রাখা দরকার। ঠোঁট, জিহ্বা, মুখ কিছুদিন পরইতো বিকল হবে। কিছু পরেইতো অব্যাহতি নেবে হাত আর পা। কী-বোর্ড দাপিয়ে বেড়ানো এই দশ আঙ্গুল। চোখ আর মস্তিষ্ক। রিৎপিণ্ডও। আগে ভাগেই, তড়িঘড়ি করে কিছু ব্যাথার কথা, আশার বাণী; কিছু আবেগ আকুতি, ইচ্ছা অভিব্যাক্তি ডাইরীর পাতায় লিখে রাখুন। অনন্তলোকের বাসিন্দা হওয়ার পর আপনার ক্রমবর্ধমান পদোন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবে এগুলি।
আমাদের সবার ঠোঁটে একটি সত্য কথা, “আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ”। তবে কথাটির সত্যতা চোখে দেখতে চাইলে, একটি শিশুর যুবক হওয়া দেখতে হবে। এক সময় আপনার মত টগবগে তরুণ যোয়ানের ব্যাপারেও উচ্চারিত হত এই সত্য কথা। আপনার তৎপর অস্তিত্বটিই সেই কথার জীবন্ত দৃষ্টান্ত।
আপনার যে চোখ দুটো বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও ইতিহাসের বিপুল জ্ঞান মেধার হাতে নিয়মিত তুলে দেয়, তা দু’টো যুবক চোখ। আপনার যে মেধা এই সব উপাদানকে প্রক্রিয়া করে হৃদয়গ্রাহী একটি বক্তৃতার রূপ রেখা আঁকে, তা যৌবনের আলোয় আলোকিত এক মেধা। উচ্চ মানের বক্তৃতা-ভাষণটি আপনার যে সুললিত কণ্ঠস্বর অতিক্রম করে বেরিয়ে আসে, তা একটি যৌবন দ্বীপ্ত কণ্ঠস্বর। যে জিহ্বা, যে দাঁত, যে ঠোঁটের কারণে সবার কাছে “স্পষ্ট ভাষী” হিসেবে আপনি স্বীকৃত, তারা সবাই তাদের যৌবনের জন্য গর্বিত।
কিন্তু এরা যেদিন যৌবন হারাবে, আপনার ভাষণ-বক্তব্য ‘স্পষ্ট’ , ‘তথ্যবহুল’ , ‘আবেদনময়’ , ‘হৃদয়গ্রাহী’ প্রভৃতি বিশেষণও হারিয়ে ফেলবে। সেদিন থেকেই। একথা সত্য না হলে চাকুরি থেকে অবসর নিতে হতনা কাউকেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯