somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথা বলার শক্তি ফুরানোর আগেই কিছু বলে রাখা দরকার

০৫ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাল চিন্তাগুলিকে ডাইরিতে বেঁধে রাখুন। ডাইরীবন্দী ভাল চিন্তা গুলি পোষ মেনে গেলে আর চলে যাবেনা আপনাকে ছেড়ে। আর অপবিত্র চিন্তারা এসে দেখবে, এখানে পবিত্রতার স্বর্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত। ওরা ফিরে যাবে অন্যত্র। আপনার মনের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পাবে শুধু সুচিন্তারাই। মনীষীরা বলেন, “চিন্তা থেকেই কাজের উৎপত্তি।” আর আমরা জানি কাজই মানুষকে বড় কিংবা ছোট করে।

কথা বলার শক্তি ফুরানোর আগেই কিছু বলে রাখা দরকার। ঠোঁট, জিহ্বা, মুখ কিছুদিন পরইতো বিকল হবে। কিছু পরেইতো অব্যাহতি নেবে হাত আর পা। কী-বোর্ড দাপিয়ে বেড়ানো এই দশ আঙ্গুল। চোখ আর মস্তিষ্ক। রিৎপিণ্ডও। আগে ভাগেই, তড়িঘড়ি করে কিছু ব্যাথার কথা, আশার বাণী; কিছু আবেগ আকুতি, ইচ্ছা অভিব্যাক্তি ডাইরীর পাতায় লিখে রাখুন। অনন্তলোকের বাসিন্দা হওয়ার পর আপনার ক্রমবর্ধমান পদোন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবে এগুলি।

আমাদের সবার ঠোঁটে একটি সত্য কথা, “আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ”। তবে কথাটির সত্যতা চোখে দেখতে চাইলে, একটি শিশুর যুবক হওয়া দেখতে হবে। এক সময় আপনার মত টগবগে তরুণ যোয়ানের ব্যাপারেও উচ্চারিত হত এই সত্য কথা। আপনার তৎপর অস্তিত্বটিই সেই কথার জীবন্ত দৃষ্টান্ত।

আপনার যে চোখ দুটো বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও ইতিহাসের বিপুল জ্ঞান মেধার হাতে নিয়মিত তুলে দেয়, তা দু’টো যুবক চোখ। আপনার যে মেধা এই সব উপাদানকে প্রক্রিয়া করে হৃদয়গ্রাহী একটি বক্তৃতার রূপ রেখা আঁকে, তা যৌবনের আলোয় আলোকিত এক মেধা। উচ্চ মানের বক্তৃতা-ভাষণটি আপনার যে সুললিত কণ্ঠস্বর অতিক্রম করে বেরিয়ে আসে, তা একটি যৌবন দ্বীপ্ত কণ্ঠস্বর। যে জিহ্বা, যে দাঁত, যে ঠোঁটের কারণে সবার কাছে “স্পষ্ট ভাষী” হিসেবে আপনি স্বীকৃত, তারা সবাই তাদের যৌবনের জন্য গর্বিত।
কিন্তু এরা যেদিন যৌবন হারাবে, আপনার ভাষণ-বক্তব্য ‘স্পষ্ট’ , ‘তথ্যবহুল’ , ‘আবেদনময়’ , ‘হৃদয়গ্রাহী’ প্রভৃতি বিশেষণও হারিয়ে ফেলবে। সেদিন থেকেই। একথা সত্য না হলে চাকুরি থেকে অবসর নিতে হতনা কাউকেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×