somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার জুলভার্নকে যেভাবে ব্লগ ছাড়া করা হল

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মনে হয় এই সামুর এই ইতিহাসটা সবার জেনে রাখা দরকার । অনলাইনের মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে তারা সহজেই সব কিছু ভুলে যায় । কোন কিছুই তাদের মনে থাকে না । তাই জুলভার্ণ কেন ব্লগ ছেড়ে চলে গেল কিংবা আরো ভাল করে বললে সে কেন যেতে বাধ্য হল সেই গল্পটা সবার জেনে রাখা দরকার ।

ব্লগে জুলভার্ন এক সময়ে তীব্র বিএনপি ঘোরোয়ানার দলে ছিল । কিন্তু সেটা ছিল অনেক আগের । মাঝে তার উপর বেশ বড় রকমের বিপদ নেমে এসেছিলো । সেই সময়ে অনেকটা সময় সে ব্লগ থেকে দুরে ছিল । এরপর যখন আবার ফিরে এল ব্লগে তখন সে একেবারে নির্ভেজাল ব্লগিং করতেন । পোস্ট লিখতেন পোস্ট পড়তেন । রাজনীতির ক্যাঁচাল থেকে দুরে থাকতেন । সবার সাথে ভাল ব্যবহারও করতেন । কোন বেহুদা তর্ক ঝামেলা এড়িয়ে চলতেন !

ঠিক এই সময়ে গলু তার পেছনে লাগলো । গলুর যা স্বভাব । জীবনে যে পোস্টের বিষয় বস্তু নিয়ে মন্তব্য করে না । যে কোন পোস্টে গিয়ে একটা আ%%দা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে বসে । এই কাজ সে দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে । জুলভার্নের ব্লগে গিয়েই ঠিক একই কাজ । যে কী পোস্ট লিখতো সে সব নিয়ে প্রশ্ন না করে অহেতুক তাকে খোঁচাখুচি শুরু করত সে । পোস্টের বাইরে গিয়ে নানান রকম মন্তব্য আর ব্যক্তিগত প্রশ্ন । প্রথম প্রথম জুলভার্ন সেই প্রশ্নের উত্তর দিত । কিন্তু সবার ধৈর্য্যের একটা সীমা থাকে । এক সময়ে বিরক্ত হয়ে নিজের ব্লগে কমেন্ট ব্যান করে দিল নিজের পোস্টে । অর্থ্যাৎ নিজের পোস্টে তার মন্তব্য সে আর গ্রহন করবে না । খুবই স্বাভাবিক একটা কাজ । আমি চাই না তাই আমার ব্লগ থেকে দুরে থাকো ।

যে কোন স্বাভাবিক মানুষই এই কাজ করবে । কিন্তু গলুর স্বভাব তো নেড়ি কুকুরের মত । পেছনে গেলেই রইলো । এবার সে তক্কে তক্ক থাকলো । জুলভার্ন ঠিক যে যে পোস্ট গিয়ে মন্তব্য করতো, গলু ঠিক তার নিচে গিয়ে তাকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করলো । প্রতিটা পোস্টে । যেখানেই জুলভার্ন মন্তব্য করে সেখানেই তার নিচে গিয়ে জুলভার্নের মন্তব্যের বিপরীতে গিয়ে মন্তব্য ।

সেখানেই ব্যাপারটা থেমে থাকলো না । যখন জুলভার্ন পোস্ট দিতো সেখানে মন্তব্য করতে না পেরে গলু নিজের একটা পোস্ট দিয়ে জুলভার্ণকে খোঁচাতে শুরু করতো। দিনের পর দিন এই কাজ সে করে গেছে । সবার সামনে । সকল সুশীলরা চামচা দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছে । সকল মানুষের ধৈর্য্যের একটা সীমা থাকে ! যখন ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গছে তখন সে বাধ্য হয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছে ।

মাঝে মাঝে আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে গলু জুলভার্নের পেছনে কেন লেগেছিলো?

কয়েকটা সম্ভবণা আছে । প্রথমটা হচ্ছে জুলভার্নকে ব্লগের সবাই সম্মান করতো । এমন কি লীগের লোকজনও । কিছু কিছু দল কানার কথা আলাদা অবশ্য । তবে একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সবাই তাকে সম্মান করতো । অন্য দিকে গলুর চামচা বাদ দিয়ে কেউ বিশ্বাস করে না সে যুদ্ধ করেছিলো । অবশ্য এই কথা বিশ্বাস করার কোন কারণও নেই । আর তার চামচা বাদ দিয়ে কেউ তাকে সম্মানও করে না । এই একটা ঈর্ষা ! তাকে কেউ দাম দিচ্ছে না কিন্তু জুলভার্নকে সবাই দাম দিচ্ছে এটা থেকে জুলভার্নের পেছনে লাগা । আরেকটা কারণ হতে পারে পারিবারিক স্টাটাস । নিম্ন পরিবার থেকে উঠে আসা গলু জুলভার্নের পারিবারিক ইতিহাস জেনে এই হা হুতাশ টা বেড়েছে কেবল । থাকে না এমন কিছু । তার বেলাতে সেটাই হয়েছে । যারা জুলভার্ন সম্পর্কে জানেন তারা এই ব্যাপারটা আঁচ করতে পারবেন । আরেকটা কারণ হতে জ্ঞানের অভাব । গলু তার সারা জীবনে কোন বই পড়েছে কিনা সন্দেহ । তার লেখার ধরণ দেখলেই বুঝতে পারবেন কত খানি সংকীর্ণ জ্ঞানের অধিকারী। এই পোস্ট গুলো সে লেগে পত্রিকার সংবাদ পড়ে তারপর নিজের একটা আ^%$ছা মনভাব পেশ করে যার কোন ভিত্তিই আসলে নেই । অন্য দিকে জুলভার্ন প্রচুর বই পড়ে । তার জানার হিসাব করলে গলুর তার নখের যোগ্যতাও রাখে না । এই সব কারণই যথেষ্ঠ !

এই ইতিহাস লেখা থাকুক। মানুষ যেন ভুলে না যায় । গলুর চামচা সকল সুশীল চামচারাও মনে রাখুন এই গল্প ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×