ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০১৯ । আমি সাধারনত প্রতি বছর ই এক বার যাওয়ার চেষ্টা করি । তবে এবার একটু তাড়াতাড়ি চলে গেলাম । কেন গেলাম সেটাও বলব । তবে চলুন ঘুরে আসি ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০১৯ থেকে ।
বসেন বসেন, বইস্যা যান । আর এখানে হবে , আসেন আসেন, আইস্যা যান , টিকেট লইয়া যান ।
আমি প্রথম একা এসেছি তখন ১৫ টাকা দিয়ে ঢুকে ছিলাম । তারপর ২০ টাকা । আজ একে বারে ৩০ টাকা । আগামী বার মনে হয় ১০০ টাকায় চলে যাবে ।
আগে বানিজ্য মেলার গেট এত সুন্দর হতো যা বলার বাইরে । এবারের গেট দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা হলেই হয় ।
ঢোকার পর হাতের বামেই দেখবেন সিঙ্গার ভাইবেন না এখানে সিংগাড়া পাওয়া যায় ।
এই বিশাল ঘর দেইখা ভয় পাইছি । তাই ভিতরে যাই নাই ।
কিচেন সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে । বন্ধু বলল কিনবি নাকি । আমি বললাম আমার কি বিয়ে হয়েছে । আর মহাপুরুষেরা সন্ন্যাসী হয় । তাদের এসব লাগে না ।
এত বড় তাওয়া তে কি ভাজবে তাই ভাবছি । বাংলাদেশে তো তিমি মাছ পাওয়া যায় না ।
এইটা সম্ভবত পাকি গলি । পাকিস্তানি দোকান বেশি ।
"পানি নিয়ে ভাবনা আর না, আর না
পেড্রোলো পাম্প আছে আর নয় ভাবনা "
বিজ্ঞাপন টা মনে পরে গেল ।
পাকি গলির এক সাইড ।
পাকি গলির অন্য সাইড ।
আসে পাশে অনেক ব্লেজার ও কটি বিক্রি করছে । দাম ও কম মনে হচ্ছে । তবে কেন জানি বাতিল জিনিশ নিয়ে এসেছে এখানে । যদি কপচানো যায় আরকি ।
চাঁদর, কুশন আর বালিশ বিক্রি হচ্ছে । তবে এসব ব্যাচেলারদের জন্য না । আমার মনে হচ্ছে এটা সংকেত । বিপদ সংকেত । সবাই আমাকে মিলে বিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে ।
এইটা ভাল লাগছে । তবে দাম এত বেশি কেন ?
ড্রাগন দেখতাম টিভিতে । তারপর শুনলাম থাইল্যান্ডে । এবার দেখলাম ঢাকায় । এখন আর কষ্ট করে থ্যাইল্যান্ড যেতে হবে না । থাইল্যান্ড চলে এসছে আপনার কাছে ।
অনেক দোকানের এখনো কাজ ই শেষ হয় নাই ।
এখানে লাইভ শুটিং চলছে । এক মোটা মত মহিলা আর এক বাচ্চা কে দিয়ে শুটিং হচ্ছে । লোকজন দাঁড়িয়ে দেখছে । আমি বিষয়বস্তু কিছুই বুঝি নাই ।
বেস্ট বাই । এবার প্রাণ আরএফএল গ্রুপ পুরোটা দখল করে ফেলেছে । ভবিষ্যতে কি আছে কে জানে ।
বন্ধু বলব অল টাইম খাই । আমিও বললাম আমি জানি আমি অল টাইম খাই । এতে বলার কি আছে ।
বিশাল জুসের শো রুম । এত বড় শো রুমে জুস রেখে কি হবে সেটাই বুঝলাম না ।
পক্ষির বাসায় কাউকেই দেখলাম না ।
এই ছবি তোলার আগে মোবাইল হাত থেকে পরে যায় । মানে হলো নতুন একটা মোবাইল কিনতে হবে ।
দেশি বিদেশী পাশাপাশি ।
গরমে চা খাওয়া গেলে, শীতে আইসক্রিম খাওয়া যায় ।
দেশি পন্য । তবে বাইরে ভিতরে সব কিছুই বিদেশ থেকে আসা ।
কেকা আন্টির প্রিয় শো-রুম । ওনার কথা মাথায় রেখেই এই শো-রুম দেয়া হয়েছে ।
স্পিড খেলে গাড়ির মত স্পিড আসবে কিনা জানি না । তবে এইটা আসল গাড়ি নাকি নকল সেটা নিয়ে মানুষ গবেষনা করছে ।
ওয়াল্টন আমাদের পন্য ।
বাইকার তো, তাই বাইক দেখলে মাথা ঠিক থাকে না ।
ছোট থাকতে অনেক খেয়েছি মিল্ক ভিটা ।
স্কুল ও কলেজে অনেক সাইকেল দাপিয়ে বেড়িয়েছি । আজ সেই কথা মনে পরল । আহা কি দিন ছিল ।
ইসলামী ব্যাংক এর প্রদর্শনী ।
চত্ত্বর ।
খড় দিয়ে বানানো ঘর ।
গাছ দেখে ভাল লাগল । মেলায় গাছ থাক জরুরী ।
যে পথ দিয়ে ঢুকেছি । সেখান দিয়েই বের হলাম ।
এবার যেই কাজে গিয়েছিলাম সেটার কথা বলি । নতুন একটা মোটরসাইকেল নিয়ে এসছে রোড মাস্টার । সেটা দেখতেই বস পাঠালেন । বললেন যাও বানিজ্য মেলায় নতুন বাইক আসছে । গিয়ে দেখি নতুন আরও দুটো বাইক আসবে । সব গুলোর ছবি তুলে নিয়ে আসলাম । আরকি বস খুশি হয়ে গেলেন । তবে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে পারলাম না । তারপরও ভাল লাগল । ধীরে ধীরে দায়িত্ব নিতে শিখে গিয়েছি । বসদের ছাড়া এখন অনেক জায়গায় যেতে পারি ।
তবে এসব ঘুরাঘুরির চেয়ে বই পড়া ভাল ।
ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । বই পড়ুন । আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২