somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেজুর

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রায় ৬০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে খেজুরের চাষ শুরু হয়েছে। খেজুর সুমিষ্ট ফলের মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি খেজুর গ্রহণ স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যের জন্য প্রয়োজন। এক কিলোগ্রাম খেজুর থেকে প্রায় ৩০০০ ক্যালরি পাওয়া যায়; যা আমাদের দৈনিক ক্যালরি চাহিদা পূরণে যথেষ্ট। খেজুরে উচ্চমাত্রায় প্রাকৃতিক চিনি, যথা- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ পাওয়া যায়। তাই শক্তি আকস্মিকভাবে কমে গেলে সেটা দ্রুত পূরণে খেজুরের জুড়ি নেই। খেজুরের মাধ্যমে রোজা ইফতার করলে ইফতারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের বাজে অভ্যাস ত্যাগ করা সহজ হয়। কারণ দেহ যখন খেজুরের উচ্চমানের পুষ্টি উপাদান শোষণ করা শুরু করে, তখন ক্ষুধার ভাব দ্রুত প্রশমিত হয়। খেজুরে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম আছে, যা অর্ধবেলা উপোস থাকার পর আমাদের স্নায়ুর পদ্ধতিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
বাজারে বিভিন্ন প্রকার খেজুর পাওয়া যায়। খেজুর শুকনো অথবা তাজা ফল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যেভাবেই গ্রহণ করা হোক না কেন, এর উপকারিতার কোনো তারতম্য হয় না। দুধ, দই, পাউরুটি, মাখনের সঙ্গে খেজুরের পেস্ট মিশিয়ে গ্রহণ করা যায় যা প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের জন্য উপকারী। অসুস্থতা হতে আরোগ্য লাভের সময় অথবা যে কোনো ক্ষত সারাতে এই পেস্ট বিশেষভাবে কাজ করে।
খেজুর আশ, পটাসিয়াম ও কপারসমৃদ্ধ ফল। এই ফলটি যদিও গুরুত্বপূর্ণ সব পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ, তবু এর ক্ষুদ্রাকৃতির জন্য যথাযথ পুষ্টিলাভে বেশি খেজুর গ্রহণ করা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদানগুলো হলো :
খাদ্য আঁশ - ৬.৭ গ্রাম
পটাশিয়াম - ৬৯৬ মিলিগ্রাম
কপার - ০.৪ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ - ০.৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম - ৫৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ - ০.২ মিলিগ্রাম
চিনি - ৬৬.৫ গ্রাম।
আমাদের দেহের সুস্থতা রক্ষার জন্য এই পুষ্টি উপাদানগুলো বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। খেজুর থেকে প্রাপ্ত অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় আঁশ আমাদের পরিপাকতন্ত্র ও মলাশয়ের সুস্থতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন। মলাশয়কে সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজ করতে এই আঁশ সাহায্য করে। মলাশয়ের ক্যানসার, কোলাইটিস ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে খাদ্য আঁশ বিশেষ উপকারী। খেজুর থেকে প্রাপ্ত আঁশ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও করে।
খেজুরকে লাক্সাটিভ হিসেবে গণ্য করা হয়। খেজুরকে রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে সিরাপ হিসেবে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
খেজুর খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ ফল। ম্যাগনেসিয়ামের অ্যান্টিইনফ্লাম্যাটরি ভূমিকার জন্য এটি ধমনিগাত্রের প্রদাহ রোধ করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত খেজুর গ্রহণে হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও খেজুর উপকারী।
ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও খেজুর হতে প্রাপ্ত সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার হাড়ের যথাযথ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই খনিজ উপাদানগুলো হাড়কে মজবুত করে অস্টিওপোরোসিসকে প্রতিরোধ করে। বয়স্ক ব্যক্তিদের দুর্বল, ভঙ্গুর হাড়ের সুরক্ষায় খেজুর বিশেষভাবে উপকারী।
খেজুরে বিদ্যমান লৌহের জন্য একে রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে পরিপূরক খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। খেজুর জন্মগত লৌহের ঘাটতি পূরণ করে রক্তাল্পতা দূর করে।
খেজুরের জৈব সালফার নানা রকম অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দূর করে।
গর্ভকালীন শেষ চার সপ্তাহ খেজুর নিয়মিত গ্রহণ করা হলে প্রসব বেদনা হ্রাস পায় ও ঝুঁকিমুক্ত প্রসব সম্ভব হয়। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণেও খেজুরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
দৈনিক একটি খেজুর গ্রহণে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাতকানার বিরুদ্ধে খেজুর খুব উপকারী একটি ফল।
সূত্র NTV
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×