somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পদাতিক চৌধুরি
আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

মরীচিকা ( পর্ব- ১৯ )

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নতুন পাঠকদের লিংক পাওয়ার সুবিধার্থে রূপনারায়ণের তীরে সুসজ্জিত উদ্যান আটান্নগেটে অনির্বাণ প্রসঙ্গে গল্প করতে করতে শেফালী ম্যাডামের বর্ণনার পরবর্তী অংশ -

কলেজ ক্যান্টিন, সিনেমা হল, কিংবা অন্যত্র কোথাও আড্ডা মারতে মারতে হঠাৎ কোন খাবারের দরকার হলে সবার আগে আমি পার্টস থেকে টাকা বের করতাম । প্রথম দিকে বন্ধুরা মুখে সামান্য টাকা-পয়সা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাইলেও দেখতাম তাদের শেয়ার করার মানসিকতার বড্ড অভাব । অথচ আগবাড়িয়ে খরচ করার ফলে ওদের মধ্যে একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছিল যে আমার বাবার বিরাট অর্থ ; মহাসমুদ্র আরকি। সেখান থেকে সামান্য কিছু খরচ হলেও তেমন কিছু অসুবিধা হবে না । আসলে ছোটথেকে বাবা আমাকে কখনো অন্যের কাছ থেকে কিছু নিতে শেখায় নি । বাবাকে প্রায়ই বলতে শুনতাম দেওয়ার হাত উপরে, নেওয়ার হাত নিচে। বড় হয়ে সারাক্ষণ বাবার কথাটি আমার মাথায় থাকতো । স্কুলে উপরের ক্লাশে পড়াকালীন আমার বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু খেতে কেমন যেন অস্বস্তি হত । অথচ মুখ ফুটে বলতে পারতাম না যে খাব না । যাইহোক বন্ধুদের পেছনে এইভাবে অকাতরে খরচ করে একটা সময় আমি বুঝতে পারি যে আমি বেশ লুজার হচ্ছি । উল্টে আমার বন্ধুদের আমাকে ঝেড়ে খাওয়ার অদ্ভুত একটা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে ছিলাম । আরো একটি অভিজ্ঞতা আমাকে বন্ধুদের প্রতি মনটাকে প্রচণ্ড বিষিয়ে তুলেছিল । ওদের সঙ্গে খোলা মনে মেশার ফলে আকার-ইঙ্গিতে ওরা আমার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল । প্রথম দিকে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে ওদেরকে বোঝানোর রাস্তা নিয়েছিলাম । কিন্তু উল্টে ওরা আমার যুক্তিগুলো নিয়ে এমন উপহাস করত যে পরে নিজের কাছে নিজেই যেন খুব ছোট হয়ে যেতাম । বাস্তবে তখন আমি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে শিখেছি ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে খোলা মনে মেশার কুফল ।

সদ্য কলেজে ভর্তি হয়ে আমি অনেকটা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম । বুঝতে পারলাম যে বাবা-মায়ের শৃঙ্খলা বোধের মধ্যে গার্লস স্কুলের গন্ডির মধ্যে বেড়ে ওঠা আমার পরাধীন জীবন থেকে মুক্ত হতে চাওয়ার বাসনাতেই কুসঙ্গে পড়ে গেছি । নিজেকে এবার আস্তে আস্তে লাগাম পড়াতে লাগলাম । যদিও ওরা তখনও আমার পিছু ছাড়েনি । কাজেই হঠাৎ করে বন্ধ না করে আড্ডা দেওয়ার সময়টা ধীরে ধীরে কমাতে লাগলাম । আমার মনমরা ভাব লক্ষ্য করে একসময় যাকে গাঁইয়া বলে মনে অবজ্ঞা করেছি, সেই অনির্বাণই একদিন হঠাৎ এগিয়ে আসে এবং জিজ্ঞাসা করে ,
- গত কয়েকদিনে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি । জানিনা আমার এভাবে আগবাড়িয়ে তোকে জিজ্ঞাসা করাটা উচিত হবে কিনা । কিন্তু যদি কিছু মনে না করিস , তাহলে একটা প্রশ্ন করব?
- আমাকে নিয়ে তোর এতটা গৌরচন্দ্রিকা করার কি আছে? মনে যদি কোন প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করতে পারিস।
- ধন্যবাদ তোকে। কলেজে এতদিন তোকে যেভাবে দেখে আসছি সেখানে গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে তোর গুটিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না ।
- না না! রিজার্ভের কি আছে? অনেকদিন পড়াশোনা তেমন করিনি। এখন বইপত্র খুলে দেখছি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। এই নিয়ে একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। সে জন্য হয়তো তোর এমন মনে হতে পারে ।
- ওকে,ফাইন! যদি পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমার কাছে যথেষ্ট নোটপত্র আছে দরকার হলে বলতে পারিস ।
- অশেষ ধন্যবাদ তোকে। প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই বলবো তখন কিন্তু না করতে পারবি না ।


উল্লেখ্য ওটাই ছিল অনির্বাণের সঙ্গে আমার প্রথম কথোপকথন।ইতিমধ্যে ক্লাসে সবার সঙ্গে কথাবার্তা টুকটাক হয়েছিল।যাদের মধ্যে বিশেষ কয়েকজন ছিল অত্যন্ত কাছের।সে দিক থেকে দেখলে কথা হয়নি শুধু অনির্বাণের সঙ্গে। অথচ যেদিন প্রথম কথা হল,সেই দিনেই ছেলেটির মিষ্টি আচরনে বেশ খুশি হয়েছিলাম। ওর সম্পর্কে আমার ভিন্ন মানসিকতার কারণে তখন নিজেকে বেশ লজ্জিত লাগছিল। একটা গাঁইয়া ,ছেলে কারো সঙ্গে মেশে না কথাও বলেনা, সারাক্ষণ হাই পাওয়ারের চশমা পড়ে নিজেকে বিদ্বান বলে জাহির করে, সেই ছেলেটির মধ্যে যে একটি সুন্দর হৃদয় আছে এবং সে যে অন্যের মুখায়ব দেখে মনের ভাষা বুঝতে পারে সেটা ভেবে আমার বেশ আশ্চর্য লাগছিল। এরপর থেকে অনির্বাণের সঙ্গে ক্লাসে টুকটাক কথাবার্তা হতো তবে কখনোই বন্ধুসুলভ নয়,নিতান্ত সহপাঠীর পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল।বেশ কিছুদিন পরে হঠাৎ করে অনির্বাণকে পরপর কয়েকদিন কলেজে না আসতে দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। ও ছিল প্রচণ্ড রকম সিরিয়াস স্টুডেন্ট।বন্ধুবান্ধব না থাকার কারণে হোক বা পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতার কারণেই হোক অনির্বাণ কোন ক্লাস মিস করত না। আড়ালে আবডালে আমরা এজন্য ওকে স্কুলবয় বলেও কত উপহাস করেছি । এহেন স্কুলবয়ের হঠাৎ অন্তর্ধান সপ্তাহ অতিক্রম করে যখন মাসে পড়লো তখন প্রত্যেক স্যার ম্যাডামের মুখে মুখে ওর অনুপস্থিত নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাকেও বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল অথচ ক্লাসের কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি ।

অস্বীকার করবো না যে শেষের বেশ কিছুদিন ওর সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা হওয়াতে ও কিছু নোটস আদান প্রদান করাতে আমি হয়ে উঠেছিলাম ক্লাসে ওর একমাত্র বন্ধু। যে কারণে ওর এই অন্তর্ধান আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। কলেজের দুই বন্ধুকে ওর সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়ার কথা বললে তারা তো পাত্তাই দেয়নি উল্টে এমন হাসাহাসি শুরু করেছিল যে মনে হল বুঝি আমি কোনো অপরাধ করে ফেলেছি । একদিন কি একটা প্রসঙ্গে শুনেছিলাম ও গড়িয়ায় একটি মেসে থাকে। বাড়ি কোথায় খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, বাসন্তীর অন্তর্গত উচ্ছেডাঙা গ্রামে ওদের বাড়ি।মেসে থাকলে কলেজে আসবে না - এটা হতেই পারে না । ধরে নিয়েছিলাম বাড়ির কেউ বা নিজে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছে ; যে কারণে গ্রামে চলে যাওয়াতে কলেজে সাময়িক অনুপস্থিত হয়ে যাওয়া।যাই হোক আরো কিছুদিন অতিক্রান্ত হল কিন্তু ও না আসায় বা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার কোন মাধ্যম না পেয়ে এক প্রকার নিরুপায় হয়ে একদিন সকালে বালিগঞ্জ থেকে ট্রেন ধরে সোজা রওনা দিলাম ওর গ্রামের উদ্দেশ্যে। ট্রেন ধরে ক্যানিংএ পৌঁছালাম। ওখান থেকে মাতলা নদী সহ পরপর দুটি নদী পার হয়ে অবশেষে বাসন্তী থেকে একটি অটো রিজার্ভ করে যখন ওদের গ্রামে পৌঁছালাম তখন দুপুর একটা বাজে । অনির্বাণকে গ্রামের সবাই এক বাক্যে ভালো ছেলে বলেই জানে । বাড়িতে গিয়ে জানতে পারলাম ও বাড়িতে নেই । ওর মায়ের প্রচন্ড অসুখ । বাড়িতে চৌদ্দ- পনের বছরের একটি ছোট বোন আছে। সেই-ই মায়ের দেখাশোনা করছে । আমি অনির্বাণের কথা জিজ্ঞেস করতেই বারান্দা থেকে নিচে নেমে পায়ের দিকে চোখ রেখে হাত কচলিয়ে যন্ত্রের মত একটার পর একটা উত্তর দিয়ে গেল । নাম জিজ্ঞাসা করতেই,
-আজ্ঞে ! সংঘমিত্রা মুখার্জি। ডাকনাম মুনিয়া।
মনে মনে ভাবলাম এমন দাদার এমন বোন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কথা বলতে বলতে কিছুক্ষণের মধ্যে ওর বাবা এসে হাজির হলেন। চেহারার মিল দেখে বুঝতে বাকি থাকলো না যে উনি অনির্বাণের বাবা। মানুষটির বেশভূষার মধ্যে চূড়ান্ত দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। মুখভর্তি কাঁচা- পাকা দাড়ি। মাথাভর্তি বিশালাকার টাক। একটি পুরনো সাইকেল হেঁটে হেঁটে চালিয়ে উঠোনের এক প্রান্তে জিওল গাছের গায়ে দাঁড় করিয়ে সরল মিষ্টি একটি হাসি নিয়ে যখন সামনে এলেন আমি সৌজন্যে নমস্কার করে পরিচয় দিতেই ,
- আহারে! মা লক্ষ্মীকে কোথায় যে বসতে দিই। মুনিয়া ! মা তুই, দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিস? যা শিগগির গিয়ে টুলটা নিয়ে আয়।
- আপনি একদম ব্যস্ত হবেন না মেসোমশাই। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতেই আমি বেশ স্বচ্ছন্দবোধ করি।
- না ,মা! তুমি সে বাইরে যেমন করে আরাম পাও করো। কিন্তু আমার বাড়িতে যখন এসেছো তখন আমার নিজেরও তো একটি ভাল লাগা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ।
মুনিয়ার এগিয়ে দেওয়া কাঠের টুলে বসতে বসতেই,
- মেসোমশাই ! অনির্বাণ দীর্ঘদিন কলেজে না যাওয়াতে প্রায় সব স্যার ম্যাডাম ওকে নিয়ে দুশ্চিন্তিত । আমার সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা হতো তাই খোঁজ নিতে এলাম । ওর কাছ থেকে শোনা গড়িয়ার মেসের সন্ধান জানা না থাকায় আপনাদের গ্রামেই চলে এলাম ।
- হ্যাঁ মা ! তুমি কষ্ট করে কতদূর থেকে এসেছ।কি বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দেব ,তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। তবে অনির্বাণ একটা মস্ত বড় কাজে বাইরে গেছে।
- মস্ত বড় কাজে বাইরে?কি কাজে মেশোমশাই ?
- সুপার সাইক্লোনের পর উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দর ও তৎসন্নিহিত এলাকায় যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে ত্রাণ সরবরাহের কাজে একটা সেবা সংঘের হয়ে ওখানে ত্রাণ নিয়ে গেছে।
- অনির্বাণ তাহলে এখন উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দরে ত্রাণের কাজে আছে?
- হ্যাঁ মা !
- কিন্তু বাড়িতে যে মাসিমা খুবই অসুস্থ।ও কি জানে মাসিমার অসুস্থতার খবর?
- কিছুটা জানে।যখন গেছিল তখন এতটা বাড়াবাড়ি ছিল না। কিন্তু গত কয়েকদিনে তোমার মাসিমার অসুখটা বড্ড বেড়ে গেছে।ত্রাণের কাজে অনির্বাণ এর আগেও অনেক জায়গায় গেছে। এবার বরং মায়ের অসুস্থতার জন্য প্রথমে রাজি ছিল না। কিন্তু তোমার মাসিমা এক প্রকার জোর করেই পাঠিয়েছেন। তোমার মাসিমা স্বপ্ন দেখেছিল হাতের দু গাছ সোনার বাউটি উনি যেন ত্রাণের জন্য দান করেছেন । মায়ের স্বপ্নকে সার্থক করতেই অনির্বাণের ত্রাণ কাজে অংশ নেওয়া। আমিও তোমার মাসিমার যুক্তিকে খন্ডন করতে পারিনি। ভাবলাম মুনিয়া আছে , আমিও আছি, সামলে নিতে পারব ।

এতক্ষণ বাইরের বারান্দায় কাঠের টুলের উপর বসে কথা বলছিলাম।অসুস্থ মায়ের আদেশ পালন করতে ছেলেকে এমন ত্রাণকাজে সুদূর পারাদ্বীপে যেতে হয়েছে শুনে মনের মধ্যে শ্রদ্ধার আধারটি ভরে উঠলো।এমন মানুষের পদধূলি যে নিতেই হবে, ভেবে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা ঢুকে গেলাম কিছুটা স্যাতসেতে টালির ঘরের মধ্যে।পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেই উনি আঁতকে উঠলেন। কোনোক্রমে যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীরটাকে টানতে টানতে উঠে বসলেন ।
- হ্যাঁ, মা ! আমি তোমাদের সব কথা শুনেছি । কি আর করব ,এত বড় একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদ্ধারে শামিল হওয়ার সৌভাগ্য সবার কপালে জোটে না।আমি সুস্থ থাকলে তোমার মেশোমশাইকেও পাঠাতাম। কিন্তু অতটা সাহস পেলাম না । মুনিয়া ছোট মানুষ। একা সামলাতে পারবে না । আর তাছাড়া ওকে এতটা চাপ দেওয়াও ঠিক হবে না ।
- আপনার ঠিক কি ধরনের অসুখ মাসিমা ?
- মা রে! আমি হাঁটা চলাচল করতে পারি না। এমন কি বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও পারিনা । জোর করে একটু দাঁড়ালে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়তে হয় । ডাক্তার বলছে জয়েন্ট থেকে তরল নিঃসরণ কমে গেছে,যার ফলে দাঁড়ানো বা হাঁটাচলার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট ফুলে ঢোল হয়ে যায়। যে কারণে আমাকে সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকতে হয় ।
- মাসীমা! আপনার অসুখটাও তো যথেষ্ট কঠিন, তা সত্ত্বেও ওকে বাইরে পাঠালেন?
- হ্যাঁ, মা! আমি তবু যন্ত্রণা নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছি । কিন্তু ওখানে কত লোক মারা গেছে । চারিদিকে শুধু বীভৎস ধ্বংস লীলা, ,মৃত জীব জন্তুর স্তুপ । তোমার মেসোমশায়ের কাছে পেপারে ছবিগুলো দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম। আমার অসুস্থতার কারণে তাই প্রথমের অনির্বাণ যেতে রাজি ছিল না। আমি একপ্রকার জোর করেই ওকে পাঠিয়েছে । বলেছিলাম তুমি বাড়ি থাকলে যত বেশি না আনন্দ পাব তার চেয়ে শতগুণ বেশি খুশি হব ঐ সমস্ত পীড়িত মানুষের ত্রাণের কাজে হাত লাগালে ।

সেদিন আমার হাতে আর সময় না থাকায় অটো নিয়ে ফেরার রাস্তা ধরি । ওদের বাড়ি থেকে ফেরার চতুর্থ দিন ঠিক আড়াইটা নাগাদ কলেজের একজন গ্রুপ ডি স্টাফ শ্রেণিকক্ষে এসে আমাকে খোঁজ করে অফিস রুমে দেখা করতে বলেন । প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলাম । কলেজে আবার আমাকে কেই বা ফোন করবেন শুনে । বাবা তো প্রায় সপ্তাহের রবিবার আসেন নতুবা আমি নিজে যায় বাড়িতে । তাহলে এমন কে আছেন যিনি আমাকে ফোনে খোঁজ নিবেন?
যাইহোক এরকম ভাবতে ভাবতে অফিস রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম ।

চলবে .....


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩০
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×