আমার গত লিখাটি পোস্ট করার ঠিক কুঁড়িদিন পর আজ আবার লিখতে বসেছি। গত ক'দিনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। গত লিখায় আমার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলাম। যারা লিখায় সাাঁড়া দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা। অনেকটা মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই জানাতে এলাম, বিগত ১২ই জানুয়ারি আমার বাবা আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন, চির নবান্নের দেশে।
বাবাকে বিদায় জানাতে তাই অনেকটা অনাকাঙ্খিতভাবেই আমার হুট করে আবারও বাংলাদেশে আসা। এয়ারপোর্ট থেকে সোজা গ্রামের বাড়ি গিয়ে মরদেহ বহনকারী গাড়ি, হাজারো মানুষের উৎসুক চোখ এড়িয়ে মা, বড় ভাইকে দেখেই যেন চব্বিশ ঘন্টারও বেশী সময়ের ভ্রমণ ক্লান্তি উধাও হয়ে গিয়েছিলো। অজানা কষ্টে বুক ফেঁটে কান্না পেয়েছিলো। বাবার নিরব নিথর বরফাচ্ছন্ন দেহটা দেখে মনে প্রশ্ন জেগেছিলো বাবার কি একটুও ঠান্ডা লাগছেনা? গত বছরের ফেব্রুয়ারীতে যখন এলাম তখনতো বাবার জন্য ইলেকট্রিক হিটিং বেড নিয়ে এসেছিলাম এবারের ঠান্ডার কষ্টতে যেন তাকে ভুগতে না হয় সে জন্যেই। হলোনা, তিনি তার আগেই চলে গেলেন। বাবার সাথে আমার আবারও দেখা হলো ঠিকই, কিন্তু এবার আর তাকে সালাম করা হলোনা। বাবাও আমাকে জিজ্ঞেস করেননি,"আসতে আমার কোন কষ্ট হয়েছে কিনা"। তিনি আর কোনদিনও জিজ্ঞেস করবেন না সে কথা।
এই পোস্টের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এ পক্ষ থেকে উপস্থিত সকল সদস্যকে, দোহার থানার ডিউটি অফিসার এবং সরকারী কর্মকর্তাদের যারা রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই চেনা অচেনা হাজারো মানুষকে যারা আমার বাবার জানাজায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ব্লগের আপনাদের সবার প্রতিও অনুরোধ থাকবে, আপনারা আমার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, পরম করুনাময় মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে শান্তিতে রাখেন, তার আত্মার প্রতি সদয় হোন। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২