এ্যাপল এসই ২ এর সম্ভাব্য মকআপ ডিজাইন।
আগামী বছরের প্রথম দিকে বাজারে এ্যাপল এর আইফোন এসই ২ আসতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরেই তেমনটাই কানাঘুষা চলছে। প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিশ্বের বড় বড় সাইটগুলো এ বিষয়ে বেশ ক'মাস ধরেই লিখা লিখি হচ্ছে। এ মাসের প্রথম দিকেও আমি তেমনি একটা লিখা প্রকাশ করেছি আমার ব্যক্তিগত ব্লগে।
কেজিআই সিকিউরিটিজ এর এ্যানালিস্ট মিং-চি কুয়ো, যিনি এ্যাপল প্রোডাক্ট নিয়ে বিভিন্ন সময় সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করে খ্যাতি অর্জন করেছেন, মূলত তার মতামতের পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে এ ব্যাপারে বেশ বিশ্লেষণ চলছে। তুলনামূলকভাবে কমদামী এই আইফোন বাজারে আসার মূল কারণ হিসেবে, স্যামসাং এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দী কোম্পানীগুলোর এক চেটিয়া বিশ্ব বাজার দখলদারিত্বকে দেখা হচ্ছে। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বিগত এক দশকে সবচেয়ে বেশী স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে এবং এখনো তা হচ্ছে। সে হিসেবে, উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা অনেক বেশী সেখানে বাজার ততটা বৃদ্ধি পায় নি। ক্রেতার ক্রমবর্ধমান ক্রয় ক্ষমতাই মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পুরো ব্যাপারটা বোঝার জন্য এ সম্পর্কে ২০১৫ সালে এবং অতি সম্প্রতি আমি আরও একটা লিখা লিখেছি, যেটা পড়ার অনুরোধ থাকবে।
ক্রমাগত ফ্ল্যাগশীপ আইফোন এর দাম বেড়ে যাওয়ায় এ্যাপলের ফোনগুলো উয়ন্নশীল দেশগুলোর ক্রেতাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেও উন্নত দেশগুলোতে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে যদিও শতকরা হারে সেটা উল্লেখযোগ্য কোন বিষয় নয়। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, প্রতি বছর স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর এটার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান উন্নয়নশীল দেশগুলোর। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এই কাতারে রয়েছে চীন, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো অত্যন্ত জনবহুল দেশগুলো।
স্যামসাং এবং অন্যান্য নামী দামী এশিয়ান ব্রান্ডগুলো তুলনামূলকভাবে এইসব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অনেক ভালো করছে। বিভিন্ন মূল্যের স্মার্টফোন বাজারে সহজলভ্যতার কারণে এ্যাপল এশিয়ায় খুব একটা ভালো করতে পারছেনা। এই অবস্থাকে সামনে রেখেই মূলত এ্যাপল কমদামী এই এসই ২ ফোন বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিত আমার লিখাগুলোতে ইতোমধ্যে ব্যাখ্যা করে প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭