somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিটিশ আমলের নিয়মে চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিং

০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রিটিশ আমলের নিয়মে চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিং

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিঙে নম্বরপত্র সংক্রান্ত কোন কাজে গেলে আপনি ফিরে যাবেন সেই ১৯২১ সালে। আমার ধারণা তখনকার সময়ও রেজিস্টার বিল্ডিঙে কাগজপত্র তুলতে গেলে এখনকার নিয়ম অনুসরণ করতে হত। পার্থক্য শুধু--তখন ছিল ১৯২১ আর এখন ২০১৩।
শেখ হাসিনা সরকার অনেক কিছুকেই ডিজিটালাইজড করেছেন। কিন্তু ঢাবি সম্ভবত তার ডাকে আশানুরূপ সারা দেয়নি। মার্কশিটসহ অন্যান্য কাগজ তুলতে গেলে যে পরিমাণ হুজ্জতি পোহাতে হয়, তখন মনে হবে, 'কোন দুঃখে যে এইখানে ভর্তি হয়েছিলাম!' সামান্য জিনিসের জন্য এতো ঘুরতে হয়, উফ!! রেজিস্টার বিল্ডিং--হল--আবার রেজিস্টার বিল্ডিং--জনতা ব্যাঙ্ক--আবার রেজিস্টার বিল্ডিং। কঠিন চক্কর। কয়েকদিন কেবল দৌড়াতে হবে। (মনে হবে রেজিস্টার বিল্ডিঙে আগুন দিতে পারলে শান্তি হত।)

অথচ, এসব কম্পিউটারে একটা ক্লিকের কাজ। ব্যস। তা না। সেই ম্যানুয়াল সিস্টেমে চলছে সব। ৩০৮ এ গেলে দেখা যাবে লোকজন মামুলি দুই-একটা কাজ করছে আস্তে ধীরে। কেবল একজন সারাক্ষণই ব্যস্ত--মার্কশিট লেখেন যে লোকটা।

আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা দেখলে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারি না। যে শিক্ষার জন্য এতো কিছু, তার খবর নাই। প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ খরচ। হল-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস-শিক্ষকদের থাকার কোয়ার্টার ইত্যাদি ইত্যাদি। এতো সব কার জন্যে? মূল বিষয়টা তো হোল শিক্ষাদান। ওটাই তো প্রশ্নের মুখে। তবে এতসব অপচয়ের মানে কি?

উন্নত বিশ্বের কোন দেশটায় এমন ফ্রি শিক্ষা ও থাকার জায়গা মিলে? ব্রিটিশরা নিয়ম করেছে এবং সেসবের আপডেট তাদের দেশে তারা করেছে সময়ের সাথে সাথে। কিন্তু আমরা রয়ে গেছি সেই অন্ধকূপে।

যাহোক, এতো কথা বলে লাভ কি? মাননীয় ঢাবির ভিসি, আল্লাহর দোহাই রেজিস্টার বিল্ডিঙের কিছু করুন। কিছু ওয়েবসাইট খুললেই ডিজিটালাইজেশন হয়ে যায় না। ব্রিটিশ আমল থেকে বেরিয়ে ২০০৩ সালে আসুন। সমস্ত কিছু অতিসত্বর কম্পিউটারাইজড করুন। ছাত্ররা দরকার হলে ৫০০ টাকা বেশি খরচ করতে রাজি আছে, কিন্তু অহেতুক সময় নষ্ট ও ব্রিটিশ আমলের দাদা-দাদির যুগে যেতে চায় না। নিদেনপক্ষে রেজিস্টার বিল্ডিঙ থেকে কাগজপত্র উঠাতে হলে কি করনীয়--এইসব তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবে দিন। কাজ সহজ করুন।

খোদার কসম বলছি, রেজিস্টার বিল্ডিঙে গেলে কোন সুস্থ মানুষের মাথা ঠিক রাখা দায়। হুদাই এতসব নিয়ম। কাজ হয়ে যাওয়ার পর মনে হবে--আর কোনদিন যদি এইখানে পা দিছি, মু..ও আসমু না। রাবিশ!!
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×