somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজিন রিভিউ- Zero

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



http://facebook.com/rajinreview/

শাহরুখ খানের মুভি। টিকেট কি পাওয়া যাবে? ... পেয়ে তো গেলাম, সিট কি পাওয়া যাবে?
ওরে আল্লাহ! এইটা মুভির থিয়েটার নাকি হরতালের ঢাকা শহর? একটা মানুষও আসে নাই! কি আর করা? নিজের ট্যাকা বিসর্জন করে দেখে আসলাম এক ফ্লপ মুভি জিরো।

কাহিনী জানা যাক। শাহরুখ এক বামন ব্যক্তি। তার শুধু উচ্চতাটাই কম। এছাড়া সব ধরণের শয়তানি আর বদমাইশি তে সে অনেক উপরে। নিজের বাপ কি যে ব্যবসা করে আল্লাহই জানে। পুরা শহরকে সে ট্যাকা বিলায়ে বেড়ায়। বয়স প্রায় ৪০। কিন্তু বিয়ের খবর নাই। এদিকে ছোট্ট শহরের বিয়ের ঘটক ভাই এর কাছে “মহিলা ইলন মাস্ক” ( আনুশকা শর্মা) নিজের বিয়ের বায়োডাটা দিয়ে রাখসে। দেখা হয় দুজনার। আনুশকা ও শাহরুখ – দুজনেরই শারীরিক সমস্যা থাকা সত্বেও দুর্ব্যবহারে দুজনেরই এক নম্বর। তার পর শুরু হয়ে যায় ভালবাসা। শাহরুখ তার দুই হাত খুইলা দাড়ায় পড়ে । আর সেই আগের মুভিগুলির স্টাইল চলতে থাকে। এ পর্যন্তই মুভিটি কিছুটা বোধগম্য ছিল। পরে কী যে হইলো! মীরাট, দিল্লী, মুম্বাই, নিউ ইয়র্ক, চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, প্লুটো কোন জায়গা বাদ রাখে না। মাঝে মধ্যে আবার কিছু অতিথি শিল্পীরা “হাই-হেলো” বলে যায়। শেষ দৃশ্য দেখে মাথার চুল ছিড়তে যাবো। হায় হায় চুল ছিঁড়ে না কেন? সব শেষ করে ফেললাম নাকি?

মুভির ভালো দিকগুলি কিছু বলি। শাহরুখের অভিনয় বেশ ভালো হয়েছে। বামন চরিত্রে বেশ মুগ্ধনীয় লেগেছে। তবে চরিত্রটির বামন হওয়ার ব্যাপারটি পরের দিকে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। শাহরুখ কে বামন করার জন্য যেরকম গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে সেটা প্রসংশনীয়। পার্শ্ব অভিনয়ে জীসান আইয়ুব ভালো করেছেন। তবে সব চেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল ক্যাটরিনা কাইফ। তার চরিত্রটি খুব কম সময় পেলেও সেটা বেশ রোমাঞ্চকর ছিল। যদিও ক্যাটরিনার ভাগটি বাদ দিলে মুভির কাহিনীতে কোনই পরিবর্তন হবে না।

কোন মুভির অন্যতম সেরা দিক যদি হয় ক্যাটরিনা কাইফের অভিনয়, তাহলে বুঝেন বাকি মুভির কী অবস্থা। মুভির কাহিনীর ছিড়ে কুটিকুটি করে ফেললে কিছু বলতাম না। কিন্তু যদি তার উপর গরম মোম ফেলে, তার উপর কাপড় রেখে টান মারা হয় তখন সহ্য করা মুশকিল। একটা মুভির এক কাহিনী থাকে। কিন্তু এই মুভির কাহিনীর সংখ্যা সময়ের সমানুপাতিক। প্রতি সেকেন্ডে নতুন কাহিনীর জন্ম হয়। এখনই বামন মানুষ, এখনই প্রেম, তারপর বিয়ে পালানো, সুপারস্টারের কষ্টের জীবন, সায়েন্স ফিকশান। এমন কি লাস্ট দৃশ্যে আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির “কাল দীর্ঘায়ণ” তত্ত্বের প্রমাণ পর্যন্ত দেখানো হয়। এই দৃশ্যে দেখে শকে নড়াচড়া করতে পারছিলাম না।
নির্দেশক আনন্দ রাই এবং লেখক হিমাংশু শর্মা নিশ্চয়ই ভাস্কো ডি গামার নিজের চাষ করা গাঞ্জা সেবণ করে এই মুভি বানিয়েছেন।

মুভির আরেক খারাপ দিক হলো আনুশকা শর্মার অভিনয়। মুভির অন্যতম মূল চরিত্রে তিনি। সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত মানুষের অভিনয় এতটা খারাপ করেছেন যে দেখলেই মেজাজটাই গরম হয়ে যাচ্ছিল। আর এদিকে মুভির সব দৃশ্যেই তিনি।

তবে আমার মতে মুভিটির ব্যর্থতার মূল দোষী হলেন “প্রযোজক” শাহরুখ খান। তার মুভিতে একটা আইটেম সং লাগবে, ভালোবাসার হাত ছড়ানো দৃশ্য থাকতে হবে, ১০-২০ জন অতিথী শিল্পী থাকতে হবে। মুভির চিত্রনাট্য ভালো হবার কোন দরকার নেই। ভাই একটু থামেন।

মুভিটির একটি গান “মেরে নাম তু” একটু ভালো। বাকিগুলি মোটামুটি চলে। কিছু কিছু বেশ হাসির সংলাপ আছে। শাহরুখের বিরাট ভক্ত হলেও এ মুভি ভালো লাগার কথা না। রুপালি পর্দার গাঁজাখুড়ি থেকে বেঁচে গেলেও মুভিটি বোরিং দৃশ্যগুলি থেকে পাড় পাবেন না।

ইতিমধ্যে মুভিটি ফ্লপের মর্যাদা পেয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খুবই হতাশাজনক।

রেটিং – ১.০ / ৫.০
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×