somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজিন রিভিউ- War

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


টাইগার শ্রফকে খুব একটা পছন্দ করি না। এদিকে আমি হৃতিক রোশন এর বেশ বড় ভক্ত। তার উপর হৃতিক দুই তিন যুগের আগে কোন মুভিই করে না। সুতরাং “War” মুভিটি দেখা বাদ দেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। দেখলাম মুভিটি। কিন্তু মুভিটি কি আসলেই হৃতিকের?

কাহিনী জানা যাক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর “সুদর্শন পুরুষ” গ্রুপের নেতা হলেন কবীর (হৃতিক)। সেই গ্রুপের সদস্য খালিদ (টাইগার) এক কথায় কবীর এর একনিষ্ঠ ভক্ত। কিন্তু দুবছর পরে দুনিয়া বদলাইসে। কবীর এখন প্রতারণা করে মানুষ খুন করা শুরু করেছেন। সেই কবীরকে থামাতে পারবেন শুধুমাত্র টাইগার। শুরু হয় দুই নায়কের মাংসপেশী দেখানোর প্রতিযোগীতা “War”।

মুভির সেরা দিক অবশ্যই এ্যাকশান। সত্যি কথা বলতে এই মুভিতে মানুষজনের মুখের চাইতে হাত-পা বেশি নড়েছে। টাইগার শ্রফের প্রথম দৃশ্যটি সত্যিই দারুণ! শুধুমাত্র এক টেকে একের পর এক মানুষরে লোকটা যেভাবে পিটালো!

টাইগার শ্রফকে যতই অপছন্দ করি না কেন, ছেলেটা খাটে অনেক। তবে যখনই সে সংলাপ বলা শুরু করে, তখন মনে হয় এই পোলা কথা না বলে হাত-পা ছুড়লেই বেশি ভালো লাগে। টাইগারের এ্যাকশান এবং নাচ ভালো হলেও মাঝের মধ্যেই জিমন্যাস্টিকস এর লাফ ঝাফ দেয়া শুরু করে দেয় যেটা মাঝে মাঝে একটু বিরক্তিকর লাগে। তবে সব মিলিয়ে এ মুভিতে তাকে বেশ ভালোই লেগেছে।

হৃতিক রোশন এমনিতেই ভারতীয় মুভির একজন লিজেন্ড। সেকারণে সে যাই করে না কেন প্রশংসা করতেই হয়। এই মুভিতে যদিও হৃতিকই মূল নায়ক তবে তার চরিত্রটি আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। হৃতিককে দেখতে অবশ্যই সুদর্শন লেগেছে। তবে বেশ কিছু দৃশ্যে মনে হয়েছে যে পরিমাণ শ্রম সাধারণত তিনি দিয়ে থাকেন, এই মুভিতে কিঞ্চিৎ কম দিয়েছেন। টাইগার এর সাথে একটি ধাওয়া করার দৃশ্যে গ্রাফিক্সের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। যেখানে হৃতিক নিজের স্টান্ট নিজেই করেন দেখে গ্রাফিক্সের সবুজ পর্দা কম ব্যবহার করতে হয়। তবুও হৃতিকের ভক্তদের জন্য এই মুভি অবশ্যই দেখা উচিত।
হৃতিক-টাইগার এর মুভি, সুতরাং ব্যাপক নাচগান আশা করেছিলাম। কিন্তু গান মাত্র ২টি। “ঘুংরু” গানটি বেশ ভালো। হৃতিক ভাই শুধু ডান পা ব্যবহার করে এমন এক নাচ দিসে যে কাইত হইয়া গেসি। অথচ সেই নাচ মাত্র ৩০ সেকেন্ড! আরো কয়েকটা গান দিলে কী সমস্যা হইতো তোদের?

মুভির সাথে ২০১৪ সালের হৃতিক অভিনীত ব্যাং-ব্যাং এর তুলনা চলেই আসে। এই মুভির থেকে ব্যাং-ব্যাং অবশ্যই অনেক ভালো। শুধু ক্যাটরিনার জায়গায় টাইগার থাকার কারণে এই “War” ই বেশি ব্যবসা সফল প্রমাণিত হচ্ছে!

মুভির কাহিনী শেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাঁচ আছে যেটা বেশ ভালো লেগেছে । কাহিনী “বাহুবালী” এর মত অসাধারণ না হলেও চলনসই। দারুন এ্যাকশন দিয়ে মুভিটি বেশি ভালোই টাইম-পাস বানিয়েছে। সব মিলিয়ে খারাপ না।

রেটিং – ২.৫ / ৫.০
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×