somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১১টায় প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয়। Germany signed an armistice (an agreement for peace and no more fighting) that had been prepared by Britain and France. ১৯১৯ সালের ২৮ জুন ভার্সাই শান্তি চুক্তি অনুসারে জার্মান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে। এদিকে বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ঐতিহাসিক এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর ১৯১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আইসিএস পরীক্ষার জন্য সুভাষ চন্দ্র বসু ইংল্যান্ড গমন করেন।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে বৃটেন একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশ শাসিত কলোনিয়াল দেশগুলোকে একে একে স্বাধীনতা প্রদান করবে। ফলে যুদ্ধ শেষ হলেও ভারতে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হয়। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতস্বরের জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির কমান্ড্যান্ট কর্নেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে প্রায় দুই হাজার বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে যা জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা বা অমৃতস্বর গণহত্যা নামে পরিচিত।

জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেন। কিন্তু জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা নিয়ে ভারত যখন প্রচণ্ডভাবে উত্তপ্ত তখন ইংল্যাডে আইসিএস পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অনেকটা চুপচাপ। ঐতিহাসিক ওই গণহত্যা নিয়ে নেতাজি'র নিরব থাকার কারণ কী?

ব্রিটিশ পত্রপত্রিকায় জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা নিয়ে অত্যন্ত কৌশলী খবরাখবর প্রকাশ করত। ফলে ইংল্যান্ডে বসবাসরত ভারতীয়রা ঘটনার ভয়াবহতা ঠিকমত উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আবার সুভাষ তখন আইসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এত বড় একটা ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু কেন এত নিরব ছিলেন?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৭
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×