১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১১টায় প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয়। Germany signed an armistice (an agreement for peace and no more fighting) that had been prepared by Britain and France. ১৯১৯ সালের ২৮ জুন ভার্সাই শান্তি চুক্তি অনুসারে জার্মান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে। এদিকে বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ঐতিহাসিক এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর ১৯১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আইসিএস পরীক্ষার জন্য সুভাষ চন্দ্র বসু ইংল্যান্ড গমন করেন।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে বৃটেন একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশ শাসিত কলোনিয়াল দেশগুলোকে একে একে স্বাধীনতা প্রদান করবে। ফলে যুদ্ধ শেষ হলেও ভারতে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হয়। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতস্বরের জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির কমান্ড্যান্ট কর্নেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে প্রায় দুই হাজার বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে যা জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা বা অমৃতস্বর গণহত্যা নামে পরিচিত।
জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেন। কিন্তু জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা নিয়ে ভারত যখন প্রচণ্ডভাবে উত্তপ্ত তখন ইংল্যাডে আইসিএস পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অনেকটা চুপচাপ। ঐতিহাসিক ওই গণহত্যা নিয়ে নেতাজি'র নিরব থাকার কারণ কী?
ব্রিটিশ পত্রপত্রিকায় জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা নিয়ে অত্যন্ত কৌশলী খবরাখবর প্রকাশ করত। ফলে ইংল্যান্ডে বসবাসরত ভারতীয়রা ঘটনার ভয়াবহতা ঠিকমত উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আবার সুভাষ তখন আইসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এত বড় একটা ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু কেন এত নিরব ছিলেন?