somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আমার সান্ধ্যলিপি,

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১) আমি প্রায় ই বিকালে একটু হাটতে বের হই। আজ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাযের পর হাটছি৷ অনেক কিছুই রাস্তায় দেখি৷ তার মধ্যে একটা ঘটনা চিরন্তন এটি। একটি ২, ৩ বছরের শিশু তার মা আরো দুই জন হাটছে রাস্তায়। যা হয় সাধারণত, শিশুরা বাবা মার হাত ধরে হাটে। এই মেয়েটিও তার মার হাত ধরে হাটছে। অনেক সময় দেখা যায়। বড় রা এতো স্পিডে হাটে। পিছনে বাচ্চা কেউ হাত ধরলে তাকে রেস করে করে হাটতে হয়। এইখানেও তাই হচ্ছে, মেয়েটি হাত ধরে আছে মায়ের, মা হাটছে, মেয়েটি তার পিছনে হাতে ধরে আছে, আর হাটার সাথে তাল মিলাতে পারছেনা৷ কি করেই বা তাল মিলিয়ে সে হাটে? তার পা তো এতো বড় নয়। সে কোন এরকম লাফ দিয়ে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। ( আমরা অনেক সময় এই বিষয়টা খেয়াল করিনা। আমার হাত যে ধরে আছে, তার হাত পা কত বড়)



২) বাসায় ফিরে আসছিলাম৷, দেখি এলাকার এক বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে খুব ঢাক, ঢোল, সানাই বাজাচ্ছে তারা। সানাই বাদক এনেছে বিয়ে বাড়ির লোকেরা।

আর সেই তালে এলাকার সব বাচ্চা কাচ্চা নাচতে আরম্ব করেছে৷ দেখি আমার দেহেও তাল উঠে যাচ্ছে। একে তো এলেকা আমার অপরিচিত তার উপর আমাকে কেউ চিনেনা। নাচলে কে কি বলে৷।

সানাইয়ে সুর তুলেছে, নাচ মেরি ময়না, তুই পয়সা পাবিরে, । একটু পর, ও বন্ধু লাল গোলাপি,৷ তারা কোন গানের সুর ই এক লাইনের বেশি বাজাচ্ছে না। তবে সুন্দর বাজাচ্ছে।
আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই বাজনা বাদক, সানাই বাদক, পাওয়ায় যায়না। ধারণা করা হয় মোঘল সাম্রাজ্যের অনেক আগে থেকেই ধনী পরিবারের বিয়েতে সানাইয়ের ব্যবহার করা হতো। ধনীবৃত্তের কিংবা প্রাচুর্যের প্রতিচ্ছায়া ছিলো বিয়েতে সানাইয়ের ব্যবহার। কোনো হিন্দু-মুসলিম নয়। সানাই বাদকের উপস্থিতি ছিলো সব ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের অনুষ্ঠানেই।


আমার এক ফুফাত বোনের বিয়েতে ফুফা মশাই এনেছিলো এই গ্রামীণ বাদক দল সাথে এনেছিলেন সানাই। ৩ দিন অনুষ্ঠান হয়েছিল৷ আর গাজি কালুর গানের জন্য ময়মনসিংহ হতে শিল্পী এসেছিল। এখন সেই দিন নাই , আর সারাদিন চলেছিল ফকিরি মুর্শিদি গান। এখন আমাদের বিয়ে হয় কমিউনিটি সেন্টারে। সবার হাতে থাকে বিয়ের কার্ড। কার্ড যাকে দিবে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবে৷

সানাইয়ের কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল উস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের নাম। সানাইকে ভারতের উচ্চাঙ্গসঙ্গীত জগতের যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একক কৃতিত্ব ভারতের উচ্চাঙ্গ ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেবের।

(ছবিতে উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব) ছবি ইন্টারনেট থেকে।।

৩) আমার ছোট কালে মনে পড়ে। আর খালুজানের খুব গাজি গানের প্রতি টান ছিলো৷ সে বাড়িতে এই গাজি কালু গানের আসর বসাতেন।
গানে
রাজকন্যা চম্পাবতীর সঙ্গে গাজীর বিবাহ, পরিশেষে সকলকে নিয়ে গাজীর গৃহে প্রত্যাবর্তন ও সুখে জীবন যাপনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে
।গাজী পীরের কাহিনি বর্ণিত আছে এই গান গুলোতে। এতে গাজী-কালুর ফকিরবেশে দেশভ্রমণ,, পীর ফকির গাজি কালুর নানান কাহিনি শুনানো হতো গানে গানে । এখন আর সেই গান গুলো দেখি না। কোথাও আসর ও বসে না৷

মানুষ এখন হিপহপ আর রেপ গানে মাতাল।




৪)গাজীর বাবা ছিলেন বৈরাটনগরের শাসক সেকেন্দার শাহ। এই শাহের প্রথম রানী অজুফা সুন্দরীর গর্ভে গিয়াসউদ্দিন, যিনি জুলহাস নামেও পরিচিত এবং বরখান গাজী জন্মগ্রহণ করে। অজুফা সুন্দরীর পালিত ছেলের নাম ছিল কালু। রাজা ও রানীর বড় ছেলে জুলহাস শিকারে গিয়ে হারিয়ে গেলে এরপর বয়সেযোগ্য গাজীকে রাজকর্মভার গ্রহণ করতে বলা হয়।

গাজীর দ্বিতীয় পর্বটি শুরু হয় ছাপাইনগরের মুকুট রাজার (মতান্তরে শ্রীরাম রাজা) কন্যা চম্পাবতীর প্রেমে পড়া নিয়ে। চম্পাবতী সাত ভাইয়ের এক বোন। গাজী চম্পাবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে ভাই কালুর মাধ্যমে রাজার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এসব ঘটনাই মুলত গানের মাধ্যমে গাওয়া হয়।


সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৯
৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×