ছবি : অন্তর্জাল
আজকে বেলা ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে যেথানে নতুন তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের পর্ষদ সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে নতুন ব্যাংক অনুমোদন। অনুমোদন পেতে যাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে ‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ জন্য আবেদন করেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন নোয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, যিনি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক। এর আগে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মোরশেদ আলম। এছাড়া তিনি ইউনাইটেড হসপিটাল ও পিপলস ইউনিভার্সিটির পরিচালক। পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের জন্য আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এ অধিবাসী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে। সিটিজেন ব্যাংকের আবেদনটি এসেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরিবার থেকে। আনিসুল হকের মা জাহানারা হককে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।
ছবি : প্রথম আলো অনলাইন
বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। এরশাদ সরকারের মেয়াদে (১৯৮২-৯০) নয়টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকারের সময় নতুন আট ব্যাংক অনুমোদন পায়। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি কোনো ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি। আর ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১৩ ব্যাংক ও ২০০৯ থেকে এখনো পর্যন্ত ১১টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশের আর্থিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লাইসেন্স নিয়ে নতুন ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তারা শুরু করছেন লুটপাট। ঋণ ভাগাভাগি করে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা। নিজের ব্যাংকের পাশাপাশি ঋণ নিচ্ছেন অন্য ব্যাংক থেকেও। আবার বেনামেও ঋণ নিচ্ছেন কেউ কেউ। বর্তমানে এ ধরনের বেশির ভাগ ঋণই খেলাপি হয়ে পড়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থার এ অবস্থায় মনে পড়ছে একটি প্রবাদ বাক্য -
''পুরান পাগলে ভাত পায় না, নতুন পাগলের আমদানি!!!''
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা, বণিক বার্তা, প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১