somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমা করো বাহে

২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্ষমা পরম গুন৷ স্বয়ং স্রষ্টাও নিজেকে ক্ষমাশীল বলে নিজের মহত্ব প্রচার করে থাকেন৷ আমাদের কি সৌভাগ্য, আমরা পরম ক্ষমাশীল একজন রাস্ট্রপতি আমাদের মাঝে পেয়েছি৷ এমন ক্ষমাশীল রাস্ট্রপতি পাওয়া দুর্লভ৷ এই মাত্র সেদিন, ২০১০ সালে নাটোরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনকে ক্ষমা করে দেয়ার পর এবার রাস্ট্রপতি আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী লক্ষ্মীপুরের বিপ্লবকে ক্ষমা করে দিলেন৷ আহা কি আনন্দ৷ জাতির জন্য এ মাহেন্দ্রক্ষণ, পরম আনন্দের মুহূর্ত৷ বাংলাদেশে আতশবাজি নিষিদ্ধ৷ এখন, এই মুহুর্তে সরকারের উচিৎ আতশবাতি থেকে নিষেধাক্কা তুলে নেয়া৷ আমরা তাহলে পরম আহলাদে রাস্তায় আতশ বাজি পুড়িয়ে উৎসব করতে পারি৷ উৎসবের এমন মাহেন্দ্রক্ষণ বৃথা বয়ে যেতে পারে না৷

আজ পত্রিকার খবরে প্রকাশ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি। কি করেছিলো এই বিপ্লব? না, সে এবং তার দুই ভাই লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলামকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ এই তিন ভাই- বিপ্লব, লাবু ও টিপু ঐ রাতেই নুরুল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করে৷ এরপর তার লাশ টুকরা টুকরা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়৷ জবাই করে হত্যা- কি শৈল্পিক হত্যাকাণ্ড!

এরপর এ ঘটনার মামলায় আবু তাহেরের তিন ছেলেসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আহা, এ কোনো কথা হলো? খুন করলেই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে? তাহলে ক্ষমা কোথায়? বিচারক কি ক্ষমাশীল হতে পারে না?

বিচারক না হলো, সৌভাগ্যক্রমে আমাদের রাস্ট্রপতি পরম ক্ষমাশীল৷ তিনি তার নিজের দলের যে কাউকে যে কোনো অপরাধে ক্ষমা করে দিতে পারঙ্গম৷ এ বিষয়ে তার দক্ষতা অবিশ্বাস্য৷ তিনি একসাথে ২০ জনের প্রাণদণ্ড মওকুফ করে দিতে পেরেছেন শুধুমাত্র তার নিজের দল করার জন্য, আর এখানে মাত্র একজনকে করতে পারেন না? পারেন, তাই পলাতক বিপ্লব যখন আত্মসমর্পন করে প্রাণভিক্ষা চাইলো, ক্ষমাশীল রাস্ট্রপতি ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করে দিলেন৷ কেনো করবেন না, তারা যে একই গোয়ালের গরু; থুক্কু, তারা সবাই যে আওয়ামী লীগের৷ আমি জানি না রাস্ট্রপতি কি বলেছিলেন৷ হয়তো বলেছিলেন- আরো আগে আসতে পারলি না ব্যাটা? খামোখা এতোদিন পালিয়ে বেড়ালি!

আমাদের এমন ক্ষমাশীল রাস্ট্রপতি আছেন, এ আনন্দ আমরা রাখবো কোথায়? আমাদের আনন্দ রাখার জায়গা নেই৷ হে খোদা, মাটি ফাঁক করে দাও, আমরা সেখানে আমাদের আনন্দগুলা জমা করি৷ শোনা যাচ্ছে বড় ধরণের ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশ হচ্ছে পরবর্তী টার্গেট৷ সেটাই না হয় দাও৷ রাস্ট্রপতির আরো আরো ক্ষমাশীলতা দেখার আগে আমরা ভূমিকম্পের কম্পনের তালে তালে লাফিয়ে আনন্দ করে নিই৷ আমরা যে বড় আনন্দিত৷

দুঃখ শুধু একটাই, আমরা এমন ৬ জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলি মদ আর গাঁজা পর্যন্তই যাদের দৌড়৷ এইসব রাস্ট্রপতি আর বিপ্লবেরা আমাদের পিটনের বাইরে থেকে যায়৷

Click This Link

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×