কলকাতায় প্রথম গিয়েছিলাম ১৯৮৭ সালে। তখন পাসপোর্ট ভিসা যেমন ছিলনা তেমনি ছিলনা আমার ক্যামেরাও। ভিক্টোরিয়ার সাথে সেই ১৯৮৭ সালেই আমার পরিচয় হয়েছিল, কিন্তু ছবি তোলা হয়নি। পরিচয়ের পর দীর্ঘ ৩১ বছরে আরো অনেক বারই কলকাতা চষে বেড়িয়েছি। কিন্তু ভিক্টোরিয়ার সাথে আবার দেখা হলো ৩১ বছর পর ২০১৮ সালে। এবার কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসা ক্যামেরা কোন কিছুরই ঘাটতি ছিল না। তাই ভিক্টোরিয়ার ছবি তুলতে ভুল করিনি। ভিক্টোরিয়াকে আপনারা চিনতে পারছেন তো? ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়া, যিনি ৬৩ বছরেরও অধিক সময়ের জন্য রাজকীয়ভাবে গ্রেট ব্রিটেনের দায়িত্ব পালন করেন। তাহলে আসুন আমার ক্যামেরায় দেখে নেই ভিক্টোরিয়াকে।
(২) কলকাতায় জওহরলাল নেহেরু রাস্তার নিকটে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল, ভারতীয় ও বিদেশীদের জন্য একটি অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্যস্থল। ওখানে প্রবেশ করতে হলে টিকেট নিতে হবে, ভারতীয়দের জন্য ৩০ রূপি আর বিদেশীদের জন্য ৫০০।
(৩) আমি ৩০ রূপিতেই ঢুকে গেলাম।
(৪) প্রধান ফটক দিয়া প্রবেশ করার পর বিশাল ভাস্কর্য্যের পাশ কাটিয়ে লাল ইটের ফুটপাত এবং লন ঢাকা সাদা পাথরে।
(৫) লনের পাশের দেবদারু গাছে বসে দেবদারু ফল খাচ্ছে একটা কাঠবিড়ালী।
(৬) কেন্দ্রিয় গম্বুজের শীর্ষে ৪.৯ মিটার লম্বা ও পাঁচ টন ওজনের “এঞ্জেল অফ ভিক্টরি”-র একটি মূর্তি রয়েছে।
(৭) আমরা আস্তে আস্তে হেটে গিয়ে প্রবেশ করলাম সাদা মাকরানা মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত ভিক্টোরিয়া প্রাসাদে।
(৮/৯) গ্যালারিতে প্রাচীন নিদর্শন।
(১০) প্রাচীন কলকাতার কিছু চিত্র।
(১১) প্রাসাদের দোতলায় উঠার সিড়ি।
(১২) প্রধান গম্বুজের ভেতরের দিকের ছবি।
(১৩) গম্ভুজের ঠিক মাঝখানের ফ্লোরে রানী ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য্য।
(১৪) নিচের গ্যালারিও দ্বোতালার বারান্দা সহ পুরোটা এক ক্লিকে।
(১৫) ৬৪ একর জায়গা জুড়ে লন, পুকুর, গুল্মরাজি ও লতাপাতায় ঘেরা বিশাল উন্মুক্ত সবুজ অঙ্গন, যা সত্যিই খুবই চমৎকার।
(১৬) প্রাসাদের ডান পাশ থেকে তোলা ছবি এটি।
(১৭) প্রাসাদের পেছনের লন এটি।
(১৮) সাদা এই ফুলটার নাম ফুরুস।
(১৯) অনেক তো হলো এবার একটু জিরিয়ে নেয়া যাক।
(২০) বেড়িয়ে আসার আগে শেষ ক্লিক।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০১