ইদানিং কাজের চাপটা বেড়ে গেছে। ইচ্ছে থাকলেও ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে উঠতে পারি না। অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে কয়েকজন মিলে সারা দিনের জন্য বেড়িয়ে পড়লাম। কোথায় যাওয়া যায় তার সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমারই কাধে। ভাবনা চিন্তা করে সবাইকে জানিয়ে দিলাম ট্যুরের নাম হবে "বট বৃক্ষ সনে"। মানে সারা দিন কোন বট গাছের ছায়ায় বসেই কাটিয়ে দেবো, সেই সাথে কিছু পাখির ছবি টবিও তোলা হয়ে যাবে। এটাই তো আমার জন্য স্বর্গ সমান। তো সময় করে বেড়িয়ে পড়লাম একদিন.......... বাকীটা শুধুই ছবি ব্লগ।
(২) প্রথম বট গাছটা দেখার পরিকল্পনা হলো মাধবপুরের সুরমা চা বাগানের ভেতরের মন্দির সংলগ্ল বট গাছটা, যার ছবি পোষ্টের প্রথমেই দেওয়া আছে। বাগানে ঢোকার মুখেই দেখলাম সুরমার চা শ্রমিকদের গাদাগাদি কর্মযাত্রা।
(৩/৪) লাল সবুজের এমন পথ ধরে আরো অনেক শ্রমিকদেরই আসতে দেখলাম। আমাদের যেতে হবে লাল মাটির কাদাচ্ছন্ন পথটা দিয়ে।
(৫) বিশাল এই বট গাছটার ডালগুলো অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, পোষ্টের প্রথম ছবিটাও এই গাছটারই। গাছের নিচে রয়েছে একটা মন্দির।
(৬/৭) বৃষ্টি ভেজা এমন ফুলগুলো ওখানে আমাদের অভ্যর্থনা জানালো স্বানন্দে।
(৮) মন্দিরে চলছে শিশু পাঠ।
(৯) ওখান থেকে বেড়িয়ে চললাম হবিগঞ্জের দিকে, দুই পাশ চা বাগান, মাঝখান দিয়ে পিচঢালা সুনশান পথ। সত্যিই মন জুড়ায়।
(১০/১১) ১০৩ টাকা হাজিরার চা শ্রমিক ওরা।
(১২) শাহ সুলেমান ফতেহ গাজী বাগাদাদীর, মাজার এটা। পাশের টিলায় রয়েছে বিশাল বট গাছ।
(১৩) মাজারের পাশ ঘেষে বয়ে চলেছে ঢাকা সিলেট রেললাইন।
(১৪) পাগলে পাগল চিনে
(১৫/১৬) ফতেহ গাজীর মাজারের টিলার উপরের বট গাছ, তবে একটা দুঃখ এই ট্যুরে থেকেই গেল। কোন বট গাছেই পাখিদের দেখা পেলাম না। বর্ষাকালে পাখিরা মনে হয় বেড়াতে যায়
(১৭/১৮) আমাদের শেষ গন্তব্য ছিল নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা ফতেহ আলীর মাজারের বট গাছ। এখানেও বেশ কয়েকটি বট এবং প্রাচিন তেতুল গাছ রয়েছে। এখানে এসে দেখলাম মাজার ব্যাপক সরগরম, তাদের অনুষ্ঠান চলছে। এখানে এসে পেলাম অন্য রকম বিনোদন।
(১৯) বট তলের ধান্ধাবাজি।
(২০) অবশেষে চা খেয়ে বটবৃক্ষ দর্শনের সমাপ্তি টানলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২১