মানুষ যখন সভ্য নামক মুখোশ ধরতে শুরু করে জন্ম হয় বিভাজনের, কখনও পরিবার,কখনও সমাজ,কখনও রাষ্ট্র নাম নেয় । মানুষগুলোর বিভাজন হয় । সম্পর্কের ক্ষেত্রে কারো নাম মা,কেউ বাবা,কেউ সন্তান ।আমরা যখন জন্মগ্রহন করি তখন নিজের চোখে দেখি নি যে যাকে মা ডাকছি তিনিই আমার মা, কিংবা যাকে বাবা ডাকছি তিনিই বাবা । সমাজ/রাষ্ট্র বলেছেন তিনি বাবা, তিনিই মা, আর ঔরসগত ভাবে আঁকার আকৃতি মিলেছে বলেই বলেছি যাহা মিলে গেছে । তাতেই আমরা মেনে নিয়েছি ।
অত:পর পরিচয় আসেন,আসেন কে জনক-জননী । কেউ বলেন ডাক্তারের ছেলে,কেউ বলেন মেজরের ছেলে, কেউ রেন্জারের ছেলে, কেউ আইনজীবীর ছেলে,কেউ নেতার সন্তান,কেউ পাগলের ছেলে,নতুবা পাগলীর ছেলে । পাগলী জন্ম পাগল হয়ে জন্ম নেন নি, পরিবেশ/পারিপার্শ্বিক/শারিরীক/মানসিক/বাস্তবতার চাপে সময়ের সাথে অ কার্যকর হয়ে পড়েন বুদ্ধিদীপ্ততা । সুস্থ বিবেকে ধরে অ-সুখ ।
#সঙ্গ ।
মায়ের কোল থেকে জড়তা আর লোল পড়া মুখে হামাগুড়ি যুদ্ধ দিয়ে শুরু । নরম মাংসের গোড়ালী পরিনত হয় হাঁটার উপযোগিতে । শক্ত কোন দন্ডরুপ । সে পর্ব শেখা হলে তাকে এ হাঁটা পা নিয়ে মেঠো পথের পথিক । পাথুরে হতে পারে । কাঁদামাটির হতে পারে, হতে পারে চৈত্রের দাবনলে ফেটে যাওয়া মাটি । জড়তার মুখে মাস্টার মশায়দের মুখে তুলে দেওয়া অ-ক-১-A বর্ণমালা । পাওয়া যায় একই বয়সের কিছু শিশু । প্রথম সখ্যতা একই বয়সের সাথে । পরিবারের বাইরে একটি সম্পর্ক যোগ হয় বন্ধু নামে । নতুন মানুষ ।
পাগল সবকিছু ভুলে যান, হারান ঠিকানা, কেউ বা শিকল পায়ে গারদে থাকেন । কেউ রাস্তায় । একটি সমাজে পাগলের অবস্থান নিগৃহীত কারন সমাজ তাকে পুঙ্গুত্ব বিকলাঙ্গ করে ফেলেন । এ পাগলী তো নিজেই জানেন না যে সে কেন এসেছেন এ ধরায়, কেউ দিলে খান, কোথাও আবার ছেলেপেলে ঢিল ছুঁড়েন, ডাস্টবিনের খাবার খান, ময়লা আর মাটি যেন আকৃষ্ট করেন । মাটির গায়ে ডোরকাটা দাঘ কাটেন । আরও কত কি । তবুও পাগলী নারী একজন মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া মা । বিচ্ছেদের সুঁই সুতো উঠলেও পাগলী বেধে রাখেন । ভালোবাসে কষ্ট তাপিয়ে পাগলীর পুতুলটাকে পাহারা দেন ।
শত সন্তান মাকে রেখে চলে যান, কেউ সুখ তাপাতে গিয়ে এককাপড়ে বের করে দেন, কেউ রেখে আসেন সো কলড বৃদ্ধাশ্রমে । কেউ আবার বন্ধ মনে শোরগোল করেন, বন্ধ আলমিরাতে মূল্যবান কিতাবের ঠাঁই হয়,বন্ধ হৃদয়ে সুখের উপস্থিতি হয় না । না পাওয়া পর্যন্ত অ-মূল্যায়নের সকল কিছুই মূল্যায়িত হয় যিনি পান নি ।
মা পাগল হলেও আপনার পরিচয় আছে আপনি পাগলীর সন্তান । আম্র কানন কে আম্র কানন বলে, লিচু কে লিচু, গোলাপের কান্ড থেকে উৎপন্ন হওয়া ফুল কে গোলাপ বলে, সর্ব উৎকৃষ্ট হবার পরও শিকড় বা উৎস জননী ভুলে গেলে আপনি শিকড়হীন, অজাতীয়,জাতবিহীন,জন্মপূরুষ থাকা পরও আপনি জারজ কিংবা জাতবিহীন মনুষ্যত্ব ।মানুষ যখন সভ্য নামক মুখোশ ধরতে শুরু করে জন্ম হয় বিভাজনের, কখনও পরিবার,কখনও সমাজ,কখনও রাষ্ট্র নাম নেয় । মানুষগুলোর বিভাজন হয় । সম্পর্কের ক্ষেত্রে কারো নাম মা,কেউ বাবা,কেউ সন্তান ।আমরা যখন জন্মগ্রহন করি তখন নিজের চোখে দেখি নি যে যাকে মা ডাকছি তিনিই আমার মা, কিংবা যাকে বাবা ডাকছি তিনিই বাবা । সমাজ/রাষ্ট্র বলেছেন তিনি বাবা, তিনিই মা, আর ঔরসগত ভাবে আঁকার আকৃতি মিলেছে বলেই বলেছি যাহা মিলে গেছে । তাতেই আমরা মেনে নিয়েছি ।
অত:পর পরিচয় আসেন,আসেন কে জনক-জননী । কেউ বলেন ডাক্তারের ছেলে,কেউ বলেন মেজরের ছেলে, কেউ রেন্জারের ছেলে, কেউ আইনজীবীর ছেলে,কেউ নেতার সন্তান,কেউ পাগলের ছেলে,নতুবা পাগলীর ছেলে । পাগলী জন্ম পাগল হয়ে জন্ম নেন নি, পরিবেশ/পারিপার্শ্বিক/শারিরীক/মানসিক/বাস্তবতার চাপে সময়ের সাথে অ কার্যকর হয়ে পড়েন বুদ্ধিদীপ্ততা । সুস্থ বিবেকে ধরে অ-সুখ ।
#সঙ্গ ।
মায়ের কোল থেকে জড়তা আর লোল পড়া মুখে হামাগুড়ি যুদ্ধ দিয়ে শুরু । নরম মাংসের গোড়ালী পরিনত হয় হাঁটার উপযোগিতে । শক্ত কোন দন্ডরুপ । সে পর্ব শেখা হলে তাকে এ হাঁটা পা নিয়ে মেঠো পথের পথিক । পাথুরে হতে পারে । কাঁদামাটির হতে পারে, হতে পারে চৈত্রের দাবনলে ফেটে যাওয়া মাটি । জড়তার মুখে মাস্টার মশায়দের মুখে তুলে দেওয়া অ-ক-১-A বর্ণমালা । পাওয়া যায় একই বয়সের কিছু শিশু । প্রথম সখ্যতা একই বয়সের সাথে । পরিবারের বাইরে একটি সম্পর্ক যোগ হয় বন্ধু নামে । নতুন মানুষ ।
পাগল সবকিছু ভুলে যান, হারান ঠিকানা, কেউ বা শিকল পায়ে গারদে থাকেন । কেউ রাস্তায় । একটি সমাজে পাগলের অবস্থান নিগৃহীত কারন সমাজ তাকে পুঙ্গুত্ব বিকলাঙ্গ করে ফেলেন । এ পাগলী তো নিজেই জানেন না যে সে কেন এসেছেন এ ধরায়, কেউ দিলে খান, কোথাও আবার ছেলেপেলে ঢিল ছুঁড়েন, ডাস্টবিনের খাবার খান, ময়লা আর মাটি যেন আকৃষ্ট করেন । মাটির গায়ে ডোরকাটা দাঘ কাটেন । আরও কত কি । তবুও পাগলী নারী একজন মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া মা । বিচ্ছেদের সুঁই সুতো উঠলেও পাগলী বেধে রাখেন । ভালোবাসে কষ্ট তাপিয়ে পাগলীর পুতুলটাকে পাহারা দেন ।
শত সন্তান মাকে রেখে চলে যান, কেউ সুখ তাপাতে গিয়ে এককাপড়ে বের করে দেন, কেউ রেখে আসেন সো কলড বৃদ্ধাশ্রমে । কেউ আবার বন্ধ মনে শোরগোল করেন, বন্ধ আলমিরাতে মূল্যবান কিতাবের ঠাঁই হয়,বন্ধ হৃদয়ে সুখের উপস্থিতি হয় না । না পাওয়া পর্যন্ত অ-মূল্যায়নের সকল কিছুই মূল্যায়িত হয় যিনি পান নি ।
মা পাগল হলেও আপনার পরিচয় আছে আপনি পাগলীর সন্তান । আম্র কানন কে আম্র কানন বলে, লিচু কে লিচু, গোলাপের কান্ড থেকে উৎপন্ন হওয়া ফুল কে গোলাপ বলে, সর্ব উৎকৃষ্ট হবার পরও শিকড় বা উৎস জননী ভুলে গেলে আপনি শিকড়হীন, অজাতীয়,জাতবিহীন,জন্মপূরুষ থাকা পরও আপনি জারজ কিংবা জাতবিহীন মনুষ্যত্ব ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১