পাথর ঘষে এখন কেউ আগুন জ্বালানোর কসরত করেন না, কেউ রংধনু দেখেন না, দেখেন না সূর্যের রশ্মিতে মরুর উত্তাপ । সবাই ভাড়া করা ঝিকিমিকি লাইটের উপর নির্ভরশীল । ভাড়া করার পর দিন দুয়েক আলোর ঝিকমিকি নিয়ে আবার ফেরত দিতে হয় । কেউ পড়াশুনা করে জ্ঞান রপ্ত করছেন, আবার চরিত বিসর্জন দিয়ে পা চাঁটার কৌশল রপ্ত করছেন । কেউ স্বীয় পায়ে ছোট পায়ে হোঁচট খাবার পরও আবার দাঁড়িয়ে যান । কেউ ঘি বাড়ির উদ্দেশ্য ম্যারাথন দৌড় মারেন । বাবা-ছেলের গল্প এখন ভালো লাগে না, মায়ের কাছে অফিস ফেরত মেয়ে বিষণ্ণতার কথা মাকে বলেন না । শহরজুড়ে কথা রটায় অসভ্য/মূর্খ রা সে শহরে চিঠিয়াল লিখেন না । নিজস্ব সক্রিয়তা উৎপন্ন করেন না যেমন আলু, আলু তৈরী করলে আপনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ম্যাশ সবই করতে পারবেন । সুচিন্তা আসে না নিষিক্ত জলে । যে সাফ্যলতার গল্প মা কিংবা বাবা কে বলতে পারেন নি সে সাফল্যতা আপনাকে বারংবার মনে করিয়ে দিবে, দাঁড় করাবে ব্যর্থতার চিলে কোঠায় ।
পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ জল । জীবনেরও বেলায়ও জলে কানায় কানায় পূর্ণ । শ্যাওলার বানে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ কমে গেছে । পাথর এখন রেললাইনের রাস্তায় পড়ে থাকে । মেজবাতী এখন দোকানে পায় । ভালোবাসা হয়ে গেছে লোকাল সার্ভিস । উঠে বার কয়েক চালিয়ে অতপর ভ্রমন করে নেমে যান । ভালোবাসার গুরুত্ব এখন ম্যাক/লেঙ্কম লিপিস্টিক দোকানে, চকলেট ফ্যাক্টরী, না হয় বার্গার দোকানে । সুচিত্রা বতর্মান সমাজে বেকার সানী লিওনীর জয়জয়করা । সব নষ্টদের দখলে ।
যে যে যেখান যেমনটি আছেন, যেভাবে আছেন । গরীবের হ্বজের দিন জুমাবার । সকলের মনের আশা পরিপূর্ণ হোক । সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ভালোরাখুক ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮