ইট কাঠ আর হাফ ভয়েলের শহরে কোথায় পাবো । যা দেখে সুঁই সুতোঁর শিল্পী নিজ হাতেই বুনেন সবুজ গ্রাম ’'
হেমন্তের শেষের দিকে ধানের চারাগাছগুলো র পাতায় কুয়াশা বসে,ধোঁয়াটে হয় জলরাশি । ফসলের মাঝে হাটু জলে মাছগুলো ছোটাছুটি করে । মাচাং দেওয়া হচ্ছে উঁচু ডিবিতে । কৃষক জমিনে আগাছা পরিস্কার করছেন আর গান গাইছেন । দোহাল তার সাইকেলের টুংটং বেল বাজিয়ে ছুটছেন গঞ্জের পথে । ডোরাকাটা/ধবল/কালো ছাগলের বাছুরগুলো খেলছেন মা ছাগলের চারিপাশে । খালের জলগুলো খড়কুঁটো/বাঁশের ভেলা বয়ে যাচ্ছেন মিলিত হবেন কোন নদীতে । পাড়ের দুধারে ধবল কাঁশফুলের ঘন জঙ্গল । এ জঙ্গলের ফাঁক ফোকরে শিয়াল রা রাত হলে ডেকে যায় । জোনাকির পেটে হলদে আলোগুলো সাথে যোগ দেয় ঝিঝিদের ছন্দ । অন্ধকারের রাজত্ব ।
কুয়াশার জল ভর করে মাকড়শার কারুকার্যের উপর , তার আবাস । কুয়াশায় মাকড়শার জালটি মনে হচ্ছে রুপার অলংকার । একদল চড়ুই/বাবুপাখি কিচিরমিচির করে মাতিয়ে যাচ্ছেন । খাল পাড়ের ঝোপে জন্ম নেয়া তালগাছের ডালে । প্রকৃতির এ সৌন্দর্য্য লুঁটোপুটি খায় । নববধূ'র মেহেদী কারুমন্ডিত হাতে নকশী পিঠা তুলে দিচ্ছেন সবার থালীতে । এত সুন্দর ছবির দৃষ্টপট যেন স্রগীয় কোন এক সৃষ্টির তীর্থ । মগডাল থেকে পুকুরে ঝাপ, স্কুল চুরি, কারো বাগানবাড়ীর আম,নারিকেলে হানা
কোন উঠতি মেয়ের শরীরের ভাঁজরেখায় উষ্ণতা খেলে । প্র্যতাশা ঘনীভূত নিশ্বাসে ঠোঁটের ব্যারিকেড । তালপাতায় চিঠি হাতে প্রেম নিবেদন কোন স্কুল পড়ুয়া ছেলে । নিষিদ্ধ যাত্রায় স্বপ্ন রা নামে ঘুমে । করে বিদ্রোহ চিৎকার নচেৎ বাসনা । সে এক পরিশুদ্ধ শিহরিত বক্ষযুগলে____________প্রথম স্পর্শ । একদিন এ আয়োজন ধুয়ে যাবে টিনের চালায় ঝুমবৃষ্টিতে । যাত্রা হবে কাঙ্খিত স্বর্গে নতুবা নন্দিত নরকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭