somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষের ইতিহাস নিয়ে ভুল শিক্ষাঃ ইসলামে আদম/হাওয়া সত্য নাকি ব্লগার কালবৈশাখী'র জানা বিবর্তন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার গত পোস্টে কালবৈশাখী' মন্তব্য করেছেন যেইটা আবার গেছো দাদা অন্তর থেকে গ্রহণ করে রিপোস্ট করেছেন। এইদিকে আমার সময় দিতে না পারায় বড্ড দেরি হইয়া যাইতেছে। তাই আজকে ভাবলাম পুরোটা সময় ইহাকেই দিয়ে দেই।
উনার মন্তব্য-
হোমোসেপিয়েন্সের আবির্ভাব ২-৩ লাখ বছর শেষদিকে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, মাদুর বোনা কাপড় বোনা পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। নিমনাঙ্গে মাদুর বা কাপড় দিয়ে ঢাকে। তখনো ঈশ্বর ভাবনা আসে নি।
অনেক পর আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কোন নেতা প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। এভাবেই মুলত ঈশ্বর ভাবনা।

এরপর ছোট ছোট উপাসনা পর্বত উপাসনা সুর্য উপাসনা ইত্যাদি ধর্মের মত আবির্ভাব মানে হাজার ছোট ধর্মের ভেতরে যেগুলো টিকে গেল , সেগুলোই বড় ধর্ম হয়ে গেল।
৬ হাজার বছর আগে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভারতে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুছার ইহুদিজম, ইষ্ট এশিয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর পুর্ব ভারতে বৌধ্যিজম। মধ্যপ্রাচ্যে দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
একপর আরবে ইসলাম আসে এই সেদিন। মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।

কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা ডাকাত দল গঠন করে, মরুভুমির ছোট ছোট ডাকাত দলকে ঐক্যবদ্ধ করে। ডাকাতি বা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে, এসব কে যুদ্ধ বলা যায়? মরুভুমির গ্রাম থেকে বিতারিত আরেক গ্রামে আশ্রয়, চাচা মামা আত্নীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে মারামারিকেই বিশাল ধর্মযুদ্ধ বলা হচ্ছে। তাহলে তো চরমানাই চর দখল লাঠিয়াল, আটরশীতে গদি দখলও যুদ্ধ।
এভাবেই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, ডাকাত দল তৈরি করে। স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে ডাকাত দলের সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এর আগে মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে পরে নিজেকে
দৃশ্বমান ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে। বা তলোয়ারের ভয় দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা আধুনিক বিজ্ঞান বর্ননা করে ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল আবির্ভাব পরবর্তি কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন জঙ্গলে গুহায় কাটিয়ে গেছে।



আমি উনার প্রশ্নের খন্ড খন্ড করে বিশ্লেষণ করে উত্তর দিতে পারি। কিন্তু ব্লগে এইসকল জিনিস এত বেশিবার আলোচনা হইয়াছে যে আমি যদি উত্তর দেই তাহা হইলে বিশেষ লাভ হইবে না। বরং আমি অন্য কাজ করি- যে জিনিস জানি (ও জানার প্রচেষ্টায় আছি) সেইটা উনাকে সহ যারা বিবর্তনে মানব জাতির জন্ম হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করেন তাহাদের নিমিত্তে পেশ করি।

আল্লাহ মহাবিশ্ব/মহাশুন্য, পৃথিবী, চাঁদ, তারকা/সুর্য তৈরি করেছেন। কেন করেছেন তার সঠিক উত্তর উনি'ই জানেন। তবে এটা জানা আছে আল্লাহ পৃথিবীতে তার খলিফা/প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে চান। কেন?

১। তারা যেকোন অবস্থায় আল্লাহর গোলামী করবে। সিচুয়েশন অনুযায়ী আল্লাহ যেভাবে আচরণ করতে বলবেন সেইভাবে আচরণ করবে।

২। যেন তারা শান্তি স্থাপন করে।

৩। যেন তারা জ্ঞানের চর্চা করে নিজেদের আরো উন্নত করতে পারে।

৪। পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে।

আরো কারণ থাকার কথা তবে পোস্ট লিখনের সময় যা মনে করতে পেরেছি তাহাই উল্লেখ করিলাম। উপরের কারনসমুহের ফলাফল হইল আল্লাহ মানব তথা বনী আদম সৃষ্টি করিলেন।

উল্লেখ্য উপরের ২ নং পয়েন্ট (এই কারণেই ইসলাম, ইসলাম শব্দের অর্থই হইতেছে শান্তি। ইহা ইসলাম ধর্মের লেবাস লাগানো লোকেরা ভুলে যায়।)

আমাদের মষ্তিষ্ক এবং বিবেক দেওয়া হইয়াছে যাহাতে আসলে মহান স্রস্টারই একটা মাইক্রো ভার্সনই লুক্কায়িত আছে।(এই কারণে মানুষ ক্রিয়েটিভিট এক্টিভিটি করতে পারে)
এখন, কেন দেওয়া হইয়াছে? আমার মনে হচ্ছে উনি(গড) চান মানুষ যেন পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলে। (পারলে স্বর্গের মত করে সুন্দর করুক।)

আমি আমার আকল তথা কমন সেন্স এর জ্ঞানকে অবজ্ঞা করি না। আমার কেন পৃথিবীর যেকোন মানুষেরই উচিত আকল'কে মানা যতক্ষণ না কনফ্লিক্ট হয়, ফাসাদ শুরু হয়।

এই কমন সেন্স হইতে বলি- মানুষের শুরুর বিষয়ে বিবর্তনের ব্যাপারটা সত্য হইলে অন্তত মানুষ প্রজাতির কাছাকাছি আরো প্রজাতি থাকার কথা। যেমন- পাখির হাজারো প্রজাতি আছে।যেমন কাক, শকুন, কোকিল, চড়ুই, টুনটুনি, হাড়গিলা, বক, বালিহাস, রাজ হাস, পাতিহাস, মুরগী, মোরগ এমনকি বাজপাখি এবং ঈগল। মানুষ বিবর্তনের ফসল হইলে, এই মানুষের মধ্যে বিস্তর তফাৎ থাকার কথা। কোন কোন মানুষের প্রজাতের মইধ্যে লেজ থাকার কথা, শিং থাকার কথা কিংবা হাতির মত শূড় থাকার কথা।
এদিকে বানর, হনুমান, শিম্পাঞ্জি, গরিলা ইহারা সকলেই প্রাকৃতিক নির্বাচনের ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ। কিন্তু মানব/প্রাইমেটস এর অন্তর্গত আর কোন প্রাণি পাওয়া যাচ্ছে না যাহারা -

* ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পারে
* কথা বলিতে পারে
* হাতের তালু ও বৃদ্ধাংগুলি ব্যবহার করিতে পারে
* দয়া, মায়া, নিষ্টুরতা, যৌনতা, আকাংখা, লোভ, আক্রোশ, হিংসা, ঘৃণা, পরোপকার, রাগ, ধৈর্য, সাহস, ধৃষ্টতা, ভিরুত্ব, কাপূরুষতা সহ অগনিত গুণাবলী পাওয়া যাইতেছে।
* শিল্প/আর্ট তৈরি করতে পারে

অতএব, কমন সেন্স হইতে প্রশ্ন জাগে-
উপরোক্ত কাজ/বৈশিষ্ট মানুষ ব্যতীত আর কোথাও পাওয়া যায় না। অথচ দেখেন-
পাখি জাতের মইধ্যে সহস্র জাত হইতে পারে, এবং সবার মধ্যে আকার/উপস্থিতির মধ্যে বিস্তর তফাৎ হইলেও আচরণ সকলের সমান।
কুকুরের কাছাকাছি শেয়াল, হায়েনা সকলেই টিকিয়া আছে, আচরণেও তেমন দুরত্ব নাই। বাঘের মইধ্যে চিতা বাঘ, বেংগল, সুমাত্রা, বালি, মেছো বাঘ প্রথ্যেকেই টিকিয়া আছে যারা অতিশয় নৃশংস। অপেক্ষাকৃত কম/অ নৃশংস জন্তুর গরিলা, শিম্পাঞ্জি, বানর, হনুমানও টিকে আছে যাহাদের মইধ্যে বিবর্তন টুকটাক আচরণ আনতে পেরেছে। যেমন কাপড় কাচার ঘটনা, সুন্দরী মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু মানুষ জাত এমনই এক জাত যে অন্য কোন প্রজাতির সাথে মেলে না। বরং মানুষের কাছাকাছি কোন জাতও নাই।
পৃথিবীর বয়স তো কম হইল না, তাহা হইলে এই অবস্থা কেন?
বিবর্তন সত্য ইহা অস্বীকার করা অসম্ভব। প্রতি দিনে যদি একটা করোনাভাইরাস তার মিউটেশন প্রক্রিয়ায় নিজেকে টিকিয়া রাখতে পারে তাহইলে দেখেন অন্য কোন প্রাইমেটস যেমন গরিলা বা শিম্পাঞ্জির কাছাকাছি কেন কোন প্রাণি নাই যারা মানুষের মত গুণ ধারণ করতে পারে?
আস্ক ইউর কমন সেন্স/(আকল), ওয়াঈ?
পৃথিবীর বুকে যত প্রাণি আছে সকলের মধ্যে তিনটা জিনিসই মুখ্য (ক্ষেত্রবিশেষে দুই)।
১। খাবার
২। যৌনতা
৩। বাসা/গর্ত/থাকার জায়গা

একমাত্র মানুষই এই তিনটা জিনিস থেকে অনেক বেশি জিনিস নিয়ে দিন যাপন করেন। কেন??

উত্তর একটাই আসিবে আর সেইটা হইতেছে খোদার প্রতিনিধি। আল্লাহ আমাদেরকে সিলেক্ট করেছেন অন্য সব পশু বাদ দিয়ে, তাই অন্য পশুর মইধ্যে বিশেষ কিছু করিবার উপায় দেন নি।
পৃথিবীর অন্য সব প্রাণির নিরাপত্তা দান করিবার দায় তাই মানুষের ওপর বর্তায়, এমনকি একটা পিঁপড়াও যেন মানুষ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেইটা খেয়াল রাখা মানুষের কাজ। (বরং পারলে তাদের উপকার করা উচিত।)
অভুক্ত প্রাণি/কুকুর ইত্যাদি যদি মানুষের আশেপাশে থাকে তাহা হইলে মানুষের কর্তব্য হইয়া পড়ে উহাকে আহার দেওয়ার। কারন ওই একটাই- খোদা আমাদের বিবেক, মগজ দিয়েছেন এর সাথে এইসকল দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।

কুরআনের কোথাও বিবর্তনের বিপক্ষে বলা হয়নি, বরং ক্রমাগত পরিবর্তন, উন্নতিসাধন এইগুলো কোরআনেই আছে। এমনকি প্রাণ উৎপত্তির ব্যাপারটি কোরআন প্রচলিত বিজ্ঞানের আগেই বলে ফেলেছে।
মহাবিশ্বের সকল গ্রহ উপগ্রহ, নক্ষত্র/ইত্যাদি যে গতিশীল সেইটা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। এমন নয় যে বিজ্ঞান উদ্ভাবন করেছে আর কোরআন কপি করে ফেলেছে। বরং হাজার বছর আগেই সেইটা কোরআনে মেনশন করা হইয়াছিল।
এমন সব ফ্যাক্ট কোরআনে আছে যা সায়েন্স দ্বারা স্বীকৃত হোক না হোক তাতে কুরআন'এর কিছু আসে যায় না। তাতে বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিগণ কেয়ার না করতে পারেন কিন্তু সত্য জানতে আগ্রহী যেকোন আত্মার জন্য কোরআন কাজের জিনিস।

যাইহউক- আমি উপরের ভুল ইতিহাসের বিপক্ষে সত্য ইতিহাস তুলে ধরছি।

পুরো পৃথিবী ছিল মরুভুমি আর জংগল। মোটামুটি ছয় হাজার বছর আগে আদম ও হাওয়া আলাইহিওয়াসালাম'কে পৃথিবিতে পুনঃ প্রেরণ করা হয়েছিল যাতে তারা মানুষ জাতের সূচনা করতে পারেন।উল্লেখ্য যে, সাথে ইবলিশ নামক শয়তানকেও পাঠানো হয় (প্যাক্ট)। যার কাজ মানুষের অন্তরে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি দৃষ্টি পাইয়ে দেওয়া।
শুরুতে, জোড়ায় জোড়ায় আল্লাহ আদম ও হাওয়া (আঃ) কে সন্তান দান করেন যারা এক জোড়া ভাই অন্য জোড়ার বোনকে বিবাহ করতেন। ইসলামের প্রথম নবী হিসেবে আদম আঃকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এইভাবে প্রথম প্রজন্ম শেষ হইলে আল্লাহ কাজিন বিবাহ করতে নির্দেশনা দিলেন, তারপর পরিবার ভিত্তিক আলাদা হইয়া এক পরিবার থেকে আরেক পরিবারের পুরুষ ও মহিলার মইধ্যে বিবাহ করার নির্দেশ দিলেন। পরিবারের/গোত্রের যুবকেরা দল বেঁধে বনে গিয়ে হরিণ ইত্যাদি শিকার করে প্রোটিনের চাহিদা মিটাতে লাগল। সমতলের সুবিধাজনক জায়গায়, গাছের মইধ্যে ঘর বানানো শুরু করল, কিছু মানুষ গুহায় বসবাস করতে থাকল। যার যেইটা সুবিধা। আবার জংগল কেটে কেটে আবাদ শুরু করল, একে অন্যের সাথে কৃষি পণ্য বিনিময় শুরু করল, পুরোদমে সূচনা হয়ে গেল মানব জাতির।
এদিকে প্রতিটি মানুষকেই শয়তান টার্গেট করে মানুষকে উল্টা পথে নিতে। তাই তাকে সে প্ররোচিত করে ক্ষিপ্ত হতে, বেয়াদবি, অহংকার করতে, একে অন্যের তুলনায় উচ্চতর ভাবতে, সত্য ও সুন্দরকে স্বার্থের বিনিময়ে পরিহার করতে।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে শয়তানকে সফল বলেই দেখা যাবে। কিন্তু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করেন, যারা শয়তানের পথ থেকে ফিরে আসে। এই সহজ সমীকরণই শয়তানকে পরাজিত করে।
মানুষ আল্লাহর দান করা মগজ ব্যবহার করে যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে, নানান পদ্ধতি বের করে খাদ্য বস্ত্র ও ঘর উন্নত করে। কবিতা ও সাহিত্য রচনা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মাণ সবই উন্নত মষ্তিষ্কের ফসল। শিল্প ও প্রযুক্তি এসে যায় এই মস্তিষ্কের কারণেই। মানুষ মহা উন্নত বিল্ডিং নির্মাণ করে ভাবতে শুরু করে আমার উপরে কেউ নেই। শয়তানই মানুষের এইসকল ভাবনা এনে দেওয়ার চেস্টা করে। মস্তিষ্কের মধ্যে সে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়, এমনকি কোন কোন মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়। আর এই সকল কারণেই আল্লাহ যুগে যুগে নবী পাঠাতে শুরু করেন। মানুষ গাফেল হয়ে যায় বারবার তাই নবীও পাঠাতে হয় বারংবার।
যেমন লুত আঃ কে পাঠানো হয়েছিল এমন এক জাতির জন্য যারা পুরুষে পুরুষে সেক্স করত। এটা মানুষের অন্যতম একটি দিক যে সে পর নারীর প্রতি আকৃষ্ট হবে। কিন্তু আল্লাহর বিধান যাতে মানুষ অমান্য করে সেই জন্য শয়তান কিছু লোক নিয়োগ দেয় যারা গে-সেক্স ধারণার সূচনা করে। সে এ কাজে ব্যবহার করে মানুষের মস্তকের একটি অংশ। গে-সেক্স হইল বিকৃত মস্তকের এক ফসল। চুরি করা যেমন খারাপ, লোভ করা যেমন খারাপ এই জিনিসটাও খারাপ। এই সহজ ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করে শয়তান।
আল্লাহ নুহ আঃকে পাঠালেন; দাউদ, মুসা, ঈসা নবী আঃকে পাঠালেন কিন্তু তাদের অনুসারীগণ শয়তান কর্তৃক বিভ্রান্ত হইয়া খোদার পাঠানো বাণী বিকৃত করে ফেলল। তাদেরকে শেষ নবীর কথা আল্লাহ বলেছিলেন, তাদের কিতাবে এখনো উল্লেখ আছে শেষ নবীর কথা। কিন্তু ঈসা আঃ এর বাণী বিকৃত করে রোমানরা খ্রিস্ট ধর্ম বলে নতুন এক ধর্ম শুরু করল।
আর বনী ইসরাঈলের জন্য আল্লাহ যে সকল সুবিধা দিয়েছিলেন তারা নিজেদের অহং থেকে ইসলাম ধর্মের পথ থেকে সরে গিয়ে ইহুদি ধর্ম শুরু করে দিল। তাদেরকে তাওরাত দেওয়া হয়েছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে, তারা ইহা বিকৃত করে নিজেদের মত করে এটা সেটা যোগ বিয়োগ করেছে।
যাইহোক, ঈসা আঃকে আল্লাহ শেষ নবীর ব্যাপারে বলতে বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেনও। এখনো ঈভেঞ্জেলিক্যাল বাইবেল/সোসাইটি আছে যাদের মধ্যে নুন্যতম ঈঞ্জিল কিতাবের ছোঁয়া আছে। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন।
এইভাবেই মানব সভ্যতা বিকশিত হইয়াছে। পুরো সময়টা জুরেই ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সভ্যতা বিকাশের অন্যতম প্রধান ভিত্তি ছিল। ইসলামের সূচনা মূলত মানব সভ্যতার সূচনা। এই সহজ বিষয়টা বুঝতে পারলেই মানব মনের অজানা প্রশ্নের উত্তরগুলো পাবার রাস্তা খুলে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×