কোন এক বিখ্যাত কবি আবেগের তাড়নায় পড়িয়া উচ্চস্বরে গাহিয়াছেন-
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে।
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
কি সাধু, কি শয়তান, কি উত্তম কি অধম , কি ধার্মিক কি অধার্মিক আমরা কেউই মরিতে চাহি না। সবাই বাচিঁতে চাহি।
এই পৃথিবীতে আমরা এক বারের জন্যই এসেছি। আর কখনোই আসা হবে না। তাই পৃথিবীর মায়া আমরা কেউই ছাড়তে পারি না। তাই যিনি মহা ধার্মিক তিনিও শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেন বেঁচে থাকার জন্য।
জানি না কবি কোন অদৃশ্য কারণে বলেছিলেন-
মরণ রে , তুহু মম শ্যাম সমান!
পৃথিবীতে সবাই বেঁচে থাকুন সুখে। নিজের পূর্ণ অধিকার নিয়ে। কারো ক্ষতি না করে। পরের উপকার করে। বেচেঁ থাকার মধ্যে সুখ আছে।
যারা মানুষের অকল্যাণ করে, মানুষকে খুন করে, পুড়িয়ে মারে তারা কিসের আশায় এই সব করে? তারা কি মানুষ ? নাকি মানুষের রূপধারী দানব?
পৃথিবীতে সবাই বেঁচে থাকুন সুখে। নিজের পূর্ণ অধিকার নিয়ে। কারো ক্ষতি না করে। পরের উপকার করে। বেচেঁ থাকার মধ্যে সুখ আছে। সবারই অধিকার আছে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করার।
কলামিস্ট গাছপাথর বলেছিলেন- স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।
কলামিস্ট চলে গেছেন অনেক আগে। এখনো মানুষ তার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পায়নি। প্রায় ৫০ বছর চলে গেছে। একটি দেশের জন্য এটা অনেক বড় সময়। এখনো কেন মানুষ অপমৃত্যুর জন্য আতঙ্কে থাকবে? মানুষ কেন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাবে না? এই প্রশ্নগুলো আমি কাউকে করি না। যখন একা থাকি বার বার নিজের মনকেই প্রশ্ন করি। আমার মনও তো এর উত্তর জানে না।
কেউ কি এর উত্তর জানেন? জানলে আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৩