somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রফেসর ডঃ লুৎফুল হাসান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত।

০১ লা জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর মোঃ আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান-কে ৩০ মে ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৪(চার) বছরের জন্য নিয়োগ দান করেছেন । তিনি আজ বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০১৯ বাকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেছেন।
প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বাংলাদেশ কৃষি বিশ বিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম ভাইস-চ্যান্সেলর। তিনি এই বিশ্ববি ¦ দ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অন্তর্গত কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে প্রবীণ শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ১৯৫৬ সনের ২৮ জানুয়ারি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার নয়াবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবি মরহুম আবুল হাসান ও মাতা জনাবা ফাতেমা বেগম।
শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ১৯৭৬ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ইন এগ্রিকালচার -অনার্স (প্রথম শ্রেণীতে চতুর্থ)এবং ১৯৭৭ সালে এমএসসি ইন জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং ডিগ্রী (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) লাভ করেন।
পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অভ ওয়েলস থেকে ১৯৮৯ সনে কমনওয়েলথ স্কলার হিসাবে পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে রয়েল সোসাইটি স্কলার হিসাবে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন এবং১৯৯৬ সালে জাপান সোসাইটি ফর দি প্রোমোশান অব সাইন্স ফেলো হিসাবে তিনি জাপানের মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৯৯-২০০১ সালে আলেকজ্যান্ডার ভণ হামবোল্ট ফাউন্ডেশন ফেলো হিসাবে জার্মানীর গুটিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ২০০৬ সালে নরম্যান ই বোরলগ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ফেলো হিসাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন। ২০১৫ সালে রিসার্চ ম্যানেজমেন্টে বিশেষ অবদানের জন্য অষ্ট্রেলিয়ার জন ডিলন মেমোরিয়াল ফেলো অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ১৯৮১ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯১ সনে সহযোগী প্রফেসর ও ১৯৯৫ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। এ ছাড়াও তিনি ২০০২ সনে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে খন্ডকালীন প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর কৃষিসংশ্লিষ্ট ৫টি বইসহ ১৬৬টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি শতাধীক এম.এস ও ২২জন পিএইচ.ডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণা সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।এছাড়াও তিনি ৩০টি দেশী-বিদেশী গবেষণা প্রকল্প সফল ভাবে পরিচালনা করেছেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, আহবায়ক প্রভোস্ট পরিষদ, পরিচালক বাউরেস, কো-অর্ডিনেটর উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি, ক্রপ সায়েন্স সোসাইটি অভ বাংলাদেশ এর সভাপতি, বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সভাপতি, সদস্য বাংলাদেশ সরকারের পে এন্ড সার্ভিস কমিশন ২০১৪, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর বায়োটেকনলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শহীদ শামসুল হক হল ছাত্র সংসদ এর সহ-সভাপতি এবং কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি এর দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাগত, সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বিবাহিত এবং চার সন্তানের জনক।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×