রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে তাদের কে দেয়া হয়েছে অনেক বেশি। এবার ক্রিকেটে দেয়ার পালা। সামনে নির্বাচন। লিটন দাসের আউট..টা না হয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্মারক হিসেবে থাকুক!
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিংবা বাণিজ্যের নামে যতগুলো রাষ্ট্রীয় চুক্তি, NDA, কিংবা MoU স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো যদি জনগণের নিকট উপরের ছবির ন্যায় জুম করে দেখানো যেত তাহলে এদেশের জনগণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র নামক কথিত বন্ধুর আসল চরিত্র ও দেশের পাচাটা দালালদের আসলরুপ দেখতে পেত।
যেদেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দেশের জনশক্তির উত্তাপ অনুভব করতে পারেনা এবং নিজ দেশের জনগণ কে পাশ কাটিয়ে অন্য দেশের জোতা চাটনে উদগ্রীব হয়ে থাকে সেদেশের রাষ্ট্রীয় অবকাঠাগুলো আস্ত আস্তে ভেঙে যেতে থাকে। প্রথম অবস্থায় এই বিষয়টি (রাষ্ট্র কাঠামো নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার) তেমন পরিলক্ষিত না হলেও পরবর্তীতে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ফলে পরবর্তী প্রজন্মের মেরুদণ্ড খাড়া করে বেঁচে থাকাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা ভারতের উপর কতটুকু দায়িত্বশীল বা আমরা ভারতের উপর কতটুকু নির্রভরশীল তা এদেশের পলিসি মেকারদের পরিসংখ্যানগত ও বাস্তব ভিত্তিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যথাযথ রিপোর্ট আকারে উপস্থান করতে হবে। এবং আমরা ভারতের উপর যে সমস্ত বিষয়ে অধিক দায়িত্বশীল সে সমস্ত বিষয়ে বিকল্প কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা খুঁজে বের করতে হবে। আর বিকল্প ব্যবস্থা নিতে গেলে কি কি প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হতে পারি সে সম্পর্কে আগাম ধারণা নিয়ে তার জন্য যথেষ্ট প্রতিরোধমূলক লজিস্টিক সাপোর্ট প্রস্তুত করে রাখতে হবে।৷
ভারত আমাদের কে পুরোপুরি কব্জায় নিতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। এলক্ষে তারা বস্তা পচা নাটক, সিনেমা রিলিজ দিচ্ছে। পরকীয়া আর ঘুমটা গোটানো বউ শ্বাশুড়ির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দের বীজ রোপণ করে আমাদের যৌথ পরিবার কাঠামোর অবশিষ্ট অংশে পচন ধরাচ্ছে। তারা এদেশে কিছু মানুষ কে হাত করে নতুন একটি জিগির চালু করেছে, তারা এই জিগিরের নাম দিয়েছে প্রগতি! অথচ এই প্রগতি আমাদের দরকার ছিলো না, আমাদের দরকার ছিলো সু-শিক্ষা এবং মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা। যারা এই প্রগতির জিগির করে তারা কখনো মানুষের শিক্ষা ও মানবিক চাহিদার কথা বলছেন না, কিন্তু তারা সব সময় একটি কাজ খুব জোড়ে শোড়ে প্রচার করে থাকেন, তাহলো মৌলবাদীদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার। অথচ দেশে মৌলবাদী শক্তি প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় রয়েছে।
কোলকাতার বাবুচোদারা প্রায় একটি কথা বলে " এপার বাংলা" অথবা "ওপার বাংলা"! তাদের মুখ দিয়ে বাংলাদেশ উচ্চারণ করতে কিযে শরম! এতো শরম কিসের? ভাসুরের নাম নিতে যদি এতই শরম হয়ে থাকে তাহলে তোমরা ভারত থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশে যোগদান করো, তারপর বলো এপার বাংলা বা ওপার বাংলা। এপার আর ওপার বলতে কোন শব্দ রাষ্ট্রীয় সংবিধানে লেখা নাই, জাতিসংঘে লেখা নাই। জেনে রাখ, এটা বাংলাদেশ আর ওটা ভারত। বড়জোড় ঢাকা দিল্লী বলতে পারো।
দেশে কয়েক ধরণের মানুষ বসবাস করে-
এক. পাখি দালাল।
দুই. রেন্ডি দালাল।
তিন. য়ূরোপ/আম্রিকার দালাল।
চার. সাধারন জনগণ।
এই চার শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে সাধারণ জনগন। কারণ এই জনগণের ভিতর দেশ প্রেমের তাজা বারুদ এখনো সুপ্ত অবস্হায় রয়েছে। তাই দালাল শ্রেণিতে যারা রয়েছে তারা বিভিন্ন সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় সহযোগী শক্তি হয়ে সাধারণের উপর বিভিন্ন অবাঞ্চিত প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে রাখে, যাতে সুপ্ত বারুদ তপ্ত হতে না পারে। তাই এখন সাধারণের সময় হয়েছে "দালাল খেদাও" আন্দোলন করার।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮