somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমোশনাল মার্কেটিং

১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কেটিং একটা মজার বিষয়। আপনি মার্কেটার হিসাবে যত সুন্দর করে ক্রেতার সাথে খেলা করতে পারেন; ক্রেতার চিন্তা-চেতনা-বুদ্ধি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে খেলা করতে পারেন, এটা ব্যবসায়ের অন্য কোন ডিপার্টমেন্টে হয় না তেমন একটা।



আমি বইয়ের পোকা যাকে বলে, এক সময় তাই ছিলাম। এখন পড়া হয় কম। যাও পড়া হয় তাও নির্দিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে খুব আস্তে ধীরে পড়া হয়।

যদিও চাপে পড়ে চাকরী করছি; তবে ব্যবসা আমার ব্লাড সেল এর মধ্যে আছে। তাই সময় সুযোগে ব্যবসা সম্পর্কে ভাবি, ব্যবসার প্লান করি, ব্যবসা নিয়ে স্বপ্ন দেখি, ব্যবসা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি, আর ব্যবসা সম্পর্কিত বই পড়ি।

ইমোশনাল মার্কেটিং, বইটির লেখক মুনির হাসান। উনাকে নিজের কাছের একজন মানুষ হিসাবেই ভাবতে পছন্দ করি। খুব সম্ভবত ২০১০ সালে উনাকে আমি প্রথম দেখেছি (উনি অবশ্য এটার সম্পর্কে জানেন না)। কোন একটা সেমিনারে উনি ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ধারণা দিচ্ছিলেন। উনার উপস্থাপনা বেশ ভালো লেগেছিলো।

এরপর অন্য জায়গায়, অন্যভাবে পরিচয় হয়েছে। স্যারের লেখা কয়েকটি বই আমি পড়েছি। শরবতে বাজিমাত (বই রিভিউ) এবং পড়ো পড়ো পড়ো বই দুইটির ছোটখাট একটা রিভিউ আগেই লিখেছি।

ইমোশনাল মার্কেটিং বইটি আমার হাতে আসে গত বছর। মূলত স্যারের কাছ থেকেই উপহার পাওয়া। যেহেতু মার্কেটিং আমার প্রিয় বিষয়, খুব ভালো করে পড়তে হবে হিসাব করে বইটি তখনই পড়া হয়নি। ঈদের ছুটিতে মন লাগিয়ে বইটা পড়লাম। আর আগের মতই একটা রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

বলা বাহুল্য, স্যারের প্রেজেন্টেশন সব সময়ই আলাদা। উনার কোন বক্তব্য যেমন শুনে মজা, লেখা পড়েও তেমন মজা। গল্পেরছলেই উনি অনেক সমস্যার সহজ সমাধান দিয়ে ফেলেন। ইমোশনাল মার্কেটিং এ উনি একইরকম ভাবে গল্পের ছলেই অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন।

মার্কিটিং এর ক্ষেত্রে ইমোশন যে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, এবং এটা যে কত সফল একটা বিষয়, এটা এই বইটি পড়লে একটা উপলব্ধী চলে আসে। বইটিতে সেই উপলব্ধী তৈরীর কাজটিই করা হয়েছে। সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে গাদিখানেক উদাহরণ, তথ্য-উপাত্ত, ভিডিওর লিংক ইত্যাদি।

মার্কেটিং এ ইমোজি এর ব্যবহার নিয়ে চাপ্টারটা ছিলো বেশ মজার। এমন একটা কিছু সত্যিই বই নিয়ে বসার সময় ধারণাই করিনি। ইমোজির ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হয়েছে; তবে ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারের ইমোজি গুলির কথা বলা হয়নি দেখে খারাপ লেগেছে। এখনকার সময়ের ইমোজি গুলি ইয়াহুর চলতিফিরতি ইমোজি গুলির পায়ের কাছে যাওয়ারও যোগ্য নয়!

একটা বই পড়ার মূল মজাটা পাওয়া যায় যখন বইটি চিন্তার খোরাক জোগায়। আর যদি বইটি সফল ভাবে একটা বদ্ধমূল ধারণা ভাঙ্গতে পারে, তাহলেতো কথাই নাই। এই বইটি যেমন চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে; তেমনি "দুঃসংবাদ বাতাসের আগে ধায়" এর মত একটা কু-ধারণাকে পরিবর্তন করে নতুন ধারণায় প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও ছিলো উপভোগ্য।

শেষ কথা
বইটি পড়ে আপনি মার্কেটিং গুরু হতে পারবেন না; একদিনেই হয়ত আপনার পণ্যের মার্কেটিংএ বিশাল কোন পরিবর্তণ আনতে পারবেন না। তবে যেটি হবে, সেটি হচ্ছে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিংকে দেখবেন অন্য চোখে। যা আগে কখনও চিন্তায় আনেন নি; তা চিন্তায় আসবে। এবং আশা করা যায় এর থেকে ভালো কোন ফলই পাবেন।

বইটি কিনতে পারেন রকমারী, দারাজ কিংবা আদর্শ এর অনলাইন শপ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×